• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    'অ-চট্টগ্রামীয়' উইকেটেই এলো বাংলাদেশের 'বড় জয়'

    'অ-চট্টগ্রামীয়' উইকেটেই এলো বাংলাদেশের 'বড় জয়'    

    কাগজে কলমে ম্যাচটার আসলে গুরুত্বই নেই কোনো। ফাইনালের আগে দুই দলের শক্তিমত্তা বাজিয়ে দেখা ছাড়া এই ম্যাচ থেকে আর কিছু পাওয়ারও ছিল না দুই দলের। বরং আফগানিস্তানই তাদের রশিদ খানের চোট আর পরাজয়ে কিছুটা হলেও হারাল আত্মবিশ্বাস। তবে বাংলাদেশ একটু আত্মবিশ্বাস পেতে পারে অ-চট্টগ্রামীয় উইকেটে আফগানদের হারিয়ে। তাও আবার পাক্কা পাঁচ বছর পর, যখন টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ব্যবধান মেনে নিয়েছেন খোদ বাংলাদেশ অধিনায়কই। মিরপুরে আজকের জয় হয়তো পরিকল্পনায় আরেকটু ভূমিকা রাখবে সাকিবদের জন্য।

    এমনিতে চট্টগ্রামের উইকেট বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যাটিং বান্ধব হিসেবেই পরিচিত। প্রতিবার বিপিএলের সময়ই এই প্রমাণ পাওয়া যায়। আজকের উইকেট যেমন টার্ন করছিল বেশ। শিশিরের সম্ভাবনার কারণে টস জিতে বোলিং নিয়েছিলেন সাকিব। যদিও আফগান পেসার নাভিন ম্যাচ শেষে বলে গেছেন, সেটা বড় ভূমিকা রাখেনি। তবে উইকেটে যে স্পিন ধরছিল, সেটা নাভিন আর মোসাদ্দেক দুজনেই এসে বলে গেছেন।

    নাভিন যেমন বলেছেন, এই উইকেটে ১০-১৫ রান কম হয়ে গেছে। একটু অনুযোগ নিয়ে বললেন, টি-টোয়েন্টিতে আরেকটু ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হলে ভালো হলো। মোসাদ্দেকও আজকের উইকেট দেখে একটু অবাক, ‘আসলে আমরা যখন বোলিং করলাম, চার পাঁচ ওভার পর বুঝতে পারলাম উইকেট ঠিক চট্টগ্রামের ঊইকেটের মতো ঠিক ছিল না। উইকেটে স্পিন ধরছিল। আর উইকেট  স্পিনিং হলে  স্পিনারদের সুবিধা থাকবেই। তখন হয়তো স্পিনারদের খেলা কঠিন।আর চট্টগ্রামের উইকেটে সাধারণত ব্যাটসম্যানদের সুবিধা থাকে, স্পিনারদের সুবিধা তেমন থাকে না।’

     

     

    তবে আজ বিপ্লবকে চোটের জন্য হারিয়ে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও আফিফ চমকে দেওয়া বল করে আজ পরিকল্পনাটা কেঁচে যেতে দেননি। মোসাদ্দেকও স্বীকার করে নিলেন, বিপ্লব খেলতে পারলে ব্যাপারটা অন্যরকম হতে পারত, ‘দলে একজন লেগ স্পিনার থাকা সবসময়ই বড় সুবিধা, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। বিপ্লব ইনজুরিতে ছিলো, যার কারনে খেলতে পারেনি। আমরা বেশিরভাগ ম্যাচেই একজন কম বোলার নিয়ে খেলি। এটা কোন সমস্যা নয়। তবে আজকে বিপ্লব থাকলে এই সমস্যা হতোনা।’

    ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিবও বললেন, ‘বিগ উইন’। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারে, ‘আমাদের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড গত কিছু দিনে খুব একটা ভালো ছিল না।আমাদের উন্নতি করার দরকার হতো, সেটা নিয়ে আমরা কাজও করছি। আশা করি, ফাইনালের আগে এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।’

    মোসাদ্দেকও সেটা মানলেন, সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, ‘ফাইনালের আগে এমন একটি ম্যাচ জিতা খুব প্রয়োজন ছিল। তবে জিতেছি বলে আকাশে উড়ছি না, আবার হেরে গেলেও মাটিতে পড়ে যেতাম না। তবে এই জয় নিশ্চিত ভাবেই আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে।’

    মোসাদ্দেক মনে করছেন, এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারবে দল, ‘ফাইনালে যে কোন কিছুই হতে পারে। তবে জেতা সব সময়ই আত্মবিশ্বাস দেয়। শেষ দুটি ম্যাচে আমার ধারাকিহ ভাবে ভালো খেলেছে। এভাবে ফাইনাল খেলতে পারলে সিরিজ জেতা কঠিন কিছু না।’

    আপাতত সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই মিরপুরে ফিরছে বাংলাদেশ দল।