আরও একবার শেষ মুহুর্তের গোলে পিএসজিকে জেতালেন নেইমার
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জিতিয়ে ফিরলেন নেইমার। এবার লিঁওর বিপক্ষে ৮৭ মিনিটে ব্রাজিলিয়ানের দুর্দান্ত আরেক গোলে জয় পেয়েছে পিএসজি। ৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পিএসজি তাই লিগ আ-তে শীর্ষস্থান মজবুত করেছে আরও।
গত সপ্তাহে স্ট্রসবুর্গের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ইনজুরি সময়ের গোলে নেইমার জিতিয়েছিলেন পিএসজিকে। ম্যাচ শেষে বলেছিলেন এখন থেকে সবই ম্যাচই তার জন্য অ্যাওয়ে ম্যাচ। বার্সেলোনায় সম্ভাব্য দলবদল ভেস্তে যাওয়ার পর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পিএসজির হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। সে ম্যাচে ঘরের মাঠের সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়ো শোনার পর এবার লিঁওর সমর্থকেরা মাঠে তার দিকে প্লাস্টিকের কাপ ছুড়ে মেরেছিল। একটা সময় মাঠে হয়েছে প্লাস্টিক কাপের বৃষ্টি।
নেইমার সবকিছু থামিয়ে দিয়েছেন আরেক গোল করে। অ্যানহেল ডি মারিয়ার কাছ থেকে পাস পেয়েছিলেন গোলের ১২ গজেরও বেশি কিছু দূর থেকে। এরপর দারুণ এক টার্ন নিয়ে লিঁওর তিন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে চোখ ধাঁধানো এক গোল করেন নেইমার। ওই গোলই পরে ভাগ্য নির্ধারক হয়ে গেছে ম্যাচের।
সাবেক ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার সিলভিনহোর দলের বিপক্ষে নেইমার অবশ্য গোল পেতে পারতেন আরও আগেই। প্রথমার্ধে দুইবার তাকে গোলবঞ্চিত করেছেন লিঁও গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেস। প্রথমার্ধে ১৩ বার গোলে শট করেও কোনো পায়নি পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ধার কমে এসেছিল, কিন্তু গোলটাও আর পাচ্ছিল না ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা। নেইমারের জন্যই তাই মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে ছিল আরও একবার।
নিষেধাজ্ঞার কারণে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে পারেননি নেইমার। পিএসজি ম্যানেজার থমাস টুখল এদিন ডি মারিয়া, নেইমারের সঙ্গে আক্রমণে নামিয়েছিলেন চুপো মটিংকে। মাউরো ইকার্দিকে এবার আর সুযোগ দেননি। মিডফিল্ডে নেমেছিলেন মার্কিনহোস, ইদ্রিসা গায়ার সঙ্গে ছিলেন অ্যান্ডার হেরেরা। মার্কো ভেরাত্তি নেমেছেন আরও পরে। গোলের পর অবশ্য বদলি মাঠ ছেড়েছেন নেইমারও। ঘরের মাঠে সমর্থকদের হতাশ করেছে লিঁও। পুরো ম্যাচে একবারও গোলে শট নিতে পারেনি তারা।