• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল করার পরদিনই পরীক্ষায় বসল কিশোর

    ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল করার পরদিনই পরীক্ষায় বসল কিশোর    

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে কারাবাও কাপের তৃতীয় রাউন্ডে গোল করেছিলেন রশডেল এফসির ১৬-বছর বয়সী কিশোর লুকে ম্যাথেসন। ইউরোপের অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম ওল্ড ট্রাফোর্ডে লক্ষ্যভেদ, বা শৈশবের ক্লাবের সবচেয়ে তরুণ গোলদাতা বনে যাওয়া- এত কিছুর পরেও ম্যাথেসেন তার আসল কাজটা ভুলে যাননি। ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচের কারণে পরীক্ষা পিছাতে হয়েছিল, ম্যাচের পরদিন ছুটিও পেয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাথেসন ম্যাচের পরদিনই মনোবিজ্ঞান পরীক্ষা দিতে স্কুলে ফিরেছেন।

     

     

    রশডেলের হয়ে এর আগেও অবশ্য ইতিহাস গড়েছেন ম্যাথেসন। গত বছর মাত্র ১৫ বছর বয়সে ক্লাবটির হয়ে অভিষেক হয়েছিল তার, বনে গিয়েছিলেন তাদের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার। গতকাল রশডেলের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ডটাও নিজের করে নিলেন ম্যাথেসন। ফলাফল অবশ্য নিজেদের পক্ষে আসেনি রশডেলের, তবে ইউনাইটেডকে সমানে সমান টেক্কা দিয়েছে তারা। হারলেও টাই খুব একটা দুঃখ নেই ম্যাথেসনের, "সবকিছু এত হঠাৎ করে হয়েছিল যে বুঝেই উঠতে পারিনি। ডিবক্সে বল পায়ে আসতেই কিছু চিন্তা না করেই শট নিয়েছিলাম, গোল হবে ভাবিনি একদমই। আরেকটু হলেই জিততে পারতাম, কিন্তু তারপরও হতাশ হওয়ার চেয়ে নিজেদের নিয়ে গর্বিত আমরা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলা অনেক বড় সম্মানের ব্যাপার, গোল করতে পারাও দারুণ এক অনুভূতি।"

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে গোলটি নিজের মাকেই উৎসর্গ করেছেন ম্যাথেসন, "মা অনেকদিন ধরেই অসুস্থ, সেজন্য মাঠে আসা হত না তার। কিন্তু ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচটি মিস করতে চাননি। পাঁচ বছর পর মাঠে খেলা দেখলেন তিনি, আমার গোলটি তার জন্যই।" এত কম বয়সেই ফুটবলে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎই যেন অপেক্ষা করছে ম্যাথেসনের জন্য। কিন্তু রশডেলের তরুণ ডিফেন্ডার মনে করেন; ক্যারিয়ারে প্ল্যান বি দরকার আছে, "ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়া অবশ্যই আমার স্বপ্ন। কিন্তু বিকল্প চিন্তাভাবনা সবারই করে রাখা উচিত। কখন কী হয়, ঠিক বলা যায় না। এজন্যই পড়াশোনার দিকেও সমান মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।"