• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    অবশেষে পরের মাঠে জিতল বার্সেলোনা

    অবশেষে পরের মাঠে জিতল বার্সেলোনা    

    লা লিগা
    ফলাফল গেটাফে ০-২ বার্সেলোনা


    আপন, পর দুই শব্দের বৈপরীত্য বাড়িয়ে দিয়েছিল বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে রাজা, পরের মাঠে গেলেই হেরে আসা। টানা সাত 'অ্যাওয়ে ম্যাচ' জয়শুন্য থাকার পর ধারাটা ভেঙেছে এর্নেস্ত ভালভার্দের দল। লিওনেল মেসিকে দরকার হয়নি আর। দরকার হলেও অবশ্য তিনি মাঠে নামতে পারতেন না। কলোসিয়াম আলফোন্সো পেরেজে গেটাফের বিপক্ষে পুরো তিন পয়েন্ট পেয়েছে বার্সেলোনা।   

    গোল করেছেন লুইস সুয়ারেজ ও জুনিয়র ফিরপো। দুই অর্ধের দুই গোলের চেয়েও অবশ্য ম্যাচে উত্তাপ ছড়িয়েছে ৮২ মিনিটের লাল কার্ড। ক্লেমেন্ত লেংলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর বাকি সময় একজন কম নিয়ে খেলেছে বার্সা। তবে ক্লিনশিট হাতছাড়া হয়নি আর।

    ম্যাচ শুরুর আগেই নতুন করে ইনজুরিতে পড়েছেন উসমান ডেম্বেলে। তার ফেরার প্রক্রিয়া তাই আরও একবার পিছিয়ে গেছে। লুইস সুয়ারেজ, অ্যান্টোয়ান গ্রিযমানদের সঙ্গে নেমেছিলেন কার্লেস পেরেজ। বার্সার শুরুর আক্রমণটাও ছিল তার। যদিও ভালো শট করে খালি হাতেই ফিরেছেন সে দফায়। কিছুক্ষণ লুইস সুয়ারেজ একটি পেনাল্টি আবেদন তুলেছিলেন, রেফারির সাড়া মেলেনি তাতে।

    গ্রিযমান আরও একটি ম্যাচ কাটিয়েছেন অকার্যকর হয়ে। সুয়ারেজ অবশ্য গোলে শট করে যাচ্ছিলেন শুরু থেকেই। অন্যপ্রান্তে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানকে সুখে থাকতে দেয়নি গেটাফেও। দুইবার তারা গোলে ভালো শট নিয়েছিল। একবার বল গেছে বারপোস্টের ঠিক পাশ দিয়ে গড়িয়ে। আরেকবার অ্যানহেল রদ্রিগেজকে টের স্টেগান ঠেকিয়ে দিয়েছেন শরীর বড় করে তার সামনে দাঁড়িয়ে গিয়ে।

    ৪১ মিনিটে বার্সার কপাল খুলেছে স্টেগানেই। নিজের বক্স থেকে বেরিয়ে এসে সোজাসুজি বল কিক করেছিলেন অন্য ডিবক্সের সামনে। সুয়ারেজ দৌড়ে গিয়ে সেই বল ধরেছেন। বলের দিক আর বদলাননি। এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে চালান করে দিয়েছেন তার জালে। প্রথমার্ধ শেষে তাই স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সা।

    টের স্টেগান শেষে গিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন। বার্সা গোলরক্ষক হিসেবে এই শতাব্দীতে এতোদিন কেউ লা লিগায় অ্যাসিস্ট পাননি। জার্মান গোলরক্ষক পেয়ে গেছেন সেটাও। দুর্দান্ত সেভও করেছেন। প্রাপ্যটাই পেয়েছেন স্টেগান।

    জুনিয়র ফিরপো অভিষেকেই ভুল করেছিলেন। পরে বদলি হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। এদিন দ্বিতীয় সুযোগ পেলেন। কাজেও লাগালেন। পেরেজ পরের অর্ধের শুরুতেও গোলে শট নিলেন। এবার ডিবক্সের অনেক বাইরে থেকে। গেটাফে গোলরক্ষক প্রথম শট ঠেকালেও, সামনে থাকা ফিরপোর কাছ থেকে বল বাঁচাতে পারেননি। ফিরপো বলের ওপর চড়াও হননি, সামনে আসা বল আর দশটা পাসের মতোই ঠেলে দিয়ে গোললাইন পার করিয়ে দিয়েছেন। বার্সাও তাতে ৪৯ মিনিটে পেয়ে গেছে দ্বিতীয় গোল।

    ২০১৮ সালের শুরু থেকে লিগে এই নিয়ে ফিরপোর গোল দাঁড়াল ৬টি। এই সময়ের ভেতর ডিফেন্ডার হিসেবে তার চেয়ে বেশি আছে কেবল দুইজনের। সার্জিও রামোস ও কোকে আন্দুজারের। যথাক্রমে ১০ ও ৭। 

    প্রথমার্ধে তুলনামুলক বেশি সুযোগ তৈরি করা বার্সা বিরতির পর শুরুতেই গোল পেয়ে বাকিটা সময় পার করছিল হেসে খেলে। নেলসন সেমেদো, ইভান রাকিটিচরা বদলি হয়ে নেমেছিলেন ৭৫ মিনিটের পর। কাজটা হুট করেই কঠিন হয়ে যায় লেংলে ৩৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখার পর। এরপর একরকম বাধ্য হয়েই পেরেজকে বসিয়ে তদিবোকে নামাতে হয় ভালভার্দেকে। বাকিটা সময়ে অবশ্য আর তেমন একটা ঝামেলায় পড়তে হয়নি বার্সাকে।

    কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলানের ম্যাচের পরই নতুন চিন্তায় পড়তে হবে আবার ভালভার্দেকে। সেভিয়ার বিপক্ষে পরের লা লিগা ম্যাচে খেলা হবে না লেংলের। স্যামুয়েল উমতিতিও ইনজুরিতে। জেরার্ড পিকের সঙ্গে জুটিটা তাই তদিবোরই হওয়ার কথা।