• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    নতুন পজিশনে খেলেই 'নতুন জীবন'

    নতুন পজিশনে খেলেই 'নতুন জীবন'    

    তিন বছর পর জাতীয় দলের হয়ে গোল পেয়েছেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়ে বড় ভূমিকা তার। প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেছিলেন। গোলখরা কাটিয়ে খুশি জীবন বলছেন, নতুন পজিশনে খেলেই ফর্মে ফিরেছেন তিনি।

    জীবন এদিন মাঠে নেমেছিলেন মূল স্ট্রাইকারের ঠিক পেছনে। দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন তিনি। ক্লাবের হয়ে নিয়মিত এই পজিশনে খেললেও জাতীয় দলের হয়ে এবারই প্রথম, "ক্লাবে এই পজিশনে খেলেছি, তাতে আমার আমার একটা অভিজ্ঞতা এসেছে। কখন স্ট্রাইকারের পেছনে থেকে দৌড় শুরু করতে হবে, ক্রস কীভাবে ধরতে হবে- সেসব আরও ভালো করে বুঝেছি। এই পজিশনে খেলতে আমার ভালো লাগে কারণ ক্লাবের হয়ে এখানে খেলে আমি অনেক গোল করেছি।"

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে গত মৌসুমে জীবন করেছেন ১৭ গোল। লিগের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। কিন্তু জাতীয় দলে বারবার গোলের সামনে হতাশ করে যাওয়া জীবন বলছেন তিনি জানতেন গোল একদিন করবেন, এরপর আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসবে, "আমি এরকম কিছুই আশা করছিলাম। একটা ম্যাচে গোল পেলে কনফিডেন্সটা বাড়বে। জাতীয় দলের হয়ে গোল না পাওয়ায় আমার খারাপ লাগত। অনেকে অনেক কথা বলত। কিন্তু আমি জানতাম একদিন না একদিন গোল আসবে, আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসবে।"

    দলটা ভুটান হলেও ফিফা র‍্যাংকিংয়ে এই মুহুর্তে বাংলাদেশের চেয়ে তারা এগিয়ে আছে দুই ধাপ। ভুটান কোচ ও অধিনায়ক চেনচো দুইজনই দলের হারের জন্য দুষেছেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কাদা মাঠকে। চেনচো বলেছেন এ ধরনের মাঠে খেলে অভ্যস্ত নন তারা, তাই নিজেদের খেলাটাই খেলতে পারেননি। মাঠের অবস্থাকে ভুটান অধিনায়ক বলছেন, "ভয়াবহ"। আর ভুটান কোচ বলছেন এ ধরনের মাঠে কাতারর মতো দলও হেরে যেতে পারে।   

    জীবন অবশ্য বলছেন অন্যকথা। মনে করিয়ে দিয়েছেন মাঠ শুকনো থাকলে তারাও আরও ভালো খেলতে পারতেন, "ভুটান কেমন দল আমরা জানি। হ্যাঁ, আমরা ওদের কাছে একবার হেরেছিলাম। সেটা আসলে হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা জানি আমরা আসলে ওদের চেয়ে ভালো।"

    জীবনের সামনে এদিন দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন সাদ উদ্দিন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচ জেমি ডে তার প্রশংসাও করেছেন আলাদা করে। সাদ গোলের সামনে ততোটা ধারালো না হলেও প্রথমার্ধে ছিলেন দুর্দান্ত। আর স্ট্রাইকারের গোল পাওয়া তো ডের জন্য স্বস্তিরই। তবে ক্লিনশিট না রাখতে পারায় কোচের আফসোস আছে কিছুটা।

    ১০ অক্টোবর কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। বাংলাদেশ কোচ জানেন কাতারের বিপক্ষে এতোগুলো সুযোগ পাওয়া বাস্তবিক কিছু নয়, "আমরা আজ অনেক সুযোগ পেয়েছি, কাতারের সঙ্গে হয়ত হাতে গোণা দুই, একটি পাব। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে হলে এই ম্যাচ সুবিধা করবে হয়ত।"