• শ্রীলংকার পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    আবিদ-ফাখার-হারিসের ফিফটিতে বৃথা গুনাথিলাকার সেঞ্চুরি

    আবিদ-ফাখার-হারিসের ফিফটিতে বৃথা গুনাথিলাকার সেঞ্চুরি    

    শ্রীলঙ্কা ২৯৭/৯, ৫০ ওভার 
    পাকিস্তান ২৯৯/৫, ৪৭.৪ ওভার 
    পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী ও ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে জয়ী 


    মোহাম্মদ আমিরের ৩ উইকেটের পর ফাখার জামান, আবিদ আলি ও হারিস সোহেলের তিনটি ফিফটিতে বৃথা গেছে দানুশকা গুনাথিলাকার সেঞ্চুরি। করাচিতে তৃতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার ২৯৭ রান ১০ বল ও ৫ উইকেট বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান, ৩ ম্যাচের সিরিজ জিতে গেছে ২-০ ব্যবধানে। ওপেনিংয়ে ফাখার ও আবিদের ৭০-পেরুনো ইনিংস ভিত গড়ে দিয়েছিল, তার ওপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করার বাকি কাজের মূল ভূমিকাটি পালন করেছে হারিসের ৫০ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। 

    এবার টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। শুরুতে আভিশকা ফার্নান্ডোকে হারালেও একপ্রান্ত ধরে ছিলেন গুনাথিলাকা। তার সেঞ্চুরিকে সমর্থন জুগিয়েছে লাহিরু থিরিমান্নে, মিনোদ ভানুকা ও দাশুন শনাকার তিনটি ৩০-পেরুনো ইনিংস। গুনাথিলাকার সেঞ্চুরির পর আর কেউই ফিফটি ছুঁতে পারেননি, দিনশেষে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে সেটিই। তবে এ তিনজনের সঙ্গে গুনাথিলাকার যথাক্রমে ৮৮, ৫০ ও ৭৪ রানের জুটি শ্রীলঙ্কাকে এনে দিয়েছিল লড়াই করার মতো স্কোর। 
     


    গুনাথিলাকার দারুণ সেঞ্চুরি যথেষ্ট হয়নি শ্রীলঙ্কার জন্য/পিসিবি


    গুনাথিলাকা ওপেনিংয়ে নামার পর টিকে ছিলেন ৪৫তম ওভার পর্যন্ত। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে দিয়েছেন একটা বার্তা, বিশ্বকাপ দলে জায়গা ছিল না তার। ৫৬ বলে ৮ চারে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তিনি ঠিক ১০০ বলে। পরের ধাপে অবশ্য স্ট্রাইক বদলানোর দিকে মনযোগ বেশি ছিল তার, ৫০-১০০ তে যেতে মেরেছেন আর ৪টি চারের সঙ্গে ১টি ছয়। মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড হওয়ার আগে শেষ পর্যন্ত করেছেন ১৩৪ বলে ১৩৩ রান, ১৬ চার ও ১ ছয়ে। 

    শেষদিকে শনাকার ২৪ বলে ৪৩ রানের ক্যামিও সহায়তা করেছে শ্রীলঙ্কাকে, শেষ ৫ ওভারে তারা তুলেছে ৫৪ রান। ঝড়ের বেশিরভাগ গেছে ওয়াহাব রিয়াজের ওপর দিয়ে, ১০ ওভারে ৮১ রান গুণেছেন এই পেসার, ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে একটি উইকেট তার জন্য হয়ে থেকেছে সান্ত্বনা, গুনাথিলাকাকে আউট করেও উইকেট পাননি নো-বল করায়। ৫০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দিনে পাকিস্তানের সেরা বোলার মোহাম্মদ আমির, রিয়াজ ছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন উসমান শিনওয়ারি, মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান। ফিল্ডিংয়েও এদিন বেশ এলোমেলো ছিল পাকিস্তান। 

    ইমাম-উল-হককে ছাড়া খেলতে নামা পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন ফাখার ও ওয়ানডে দলে ফেরা আবিদ আলি। ২০তম ওভারে গিয়ে তাদের জুটি ভাঙতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আবিদ করেছেন ৬৭ বলে ১০ চারে ৭৪ রান। বাবর আজমের সঙ্গে ২য় উইকেটে এরপর আরও ৫৮ রান তুলেছেন ফাখার। ২ ওভারের ব্যবধানে বাবর ও ফাখারকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নুয়ান প্রদিপ-- বাবর এলবিডব্লিউ ২৬ বলে ৩১ রান করে, ফাখার ফিরেছেন ৯১ বলে ৭৬ রান করে ক্যাচ দিয়ে। 

    তবে হারিস ও সরফরাজ আহমেদের ৫৫ রানের জুটি ঠিকপথে রেখেছিল পাকিস্তানকে। ২৩ রান করে সরফরাজ ফিরলেও ছিলেন হারিস, ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে পরে তুলেছেন আরও ৪৩ রান। ২২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকা ইফতিখার নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের জয়।