• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ব্রাইটনের কাছে তিন গোল খেয়ে হারল টটেনহাম

    ব্রাইটনের কাছে তিন গোল খেয়ে হারল টটেনহাম    

    প্রিমিয়ার লিগ

    ফলাফল ব্রাইটন ৩-০ টটেনহাম হটস্পার


    বায়ার্ন মিউনিখের কাছে নিজেদের মাঠেই ৭-২ গোলে হারের পর ব্রাইটনের বিপক্ষে জয়ের ধারার ফেরার আশায়ই নেমেছিল টটেনহাম হটস্পার। কিন্তু কাজের কাজ তো হয়ই নি, উলটো সমস্যা আরও বেড়ে গেছে মাউরিসিও পচেত্তিনোর দলের। ‘সিগাল’দের কাছে ৩-০ গোলে হেরে গেছে স্পার্স। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে টটেনহাম অধিনায়ক হুগো লরিসের কনুই ভাঙার খবর।

    ব্রাইটনের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই বিপদে পড়ে টটেনহাম। ৩ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে প্যাস্কেল গ্রসের ক্রস তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন লরিস; গোলের একেবারে সামনে থেকে হেড করে দলকে লিড এনে দেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা স্ট্রাইকার নিল মঁপে। ক্রস তালুবন্দি করার সময়ই বাঁ কনুইয়ের ওপর বেকায়দায় পড়ে যান লরিস, সাথে সাথেই উঠিয়ে নেওয়া হয় তাকে। অধিনায়ককে হারিয়ে প্রথমার্ধে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্পার্স। বিবর্ণ স্পার্সকে পেয়ে প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাইটন।

     

     

    'ব্রিলিয়ান্ট ব্রাইটন-এ কিংকর্তব্যবিমূঢ় টটেনহাম

     

    ৩২ মিনিটে অ্যারন মইয়ের ক্রসে স্ট্রাইকার অ্যারন কনোলির ফ্লিক ফিরিয়ে দেন লরিসের বদলি হিসেবে নামা পাউলো গাজানিগা। কিন্তু ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি তরুণ আইরিশ ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে ম্যাচে ফেরার দারুণ সু্যোগ পেয়েছিল স্পার্স, কিন্তু ৪৪ মিনিটে এরিক লামেলার শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ব্রাইটন ডিফেন্ডার লুইস ডাঙ্ক। প্রথমার্ধে ব্রাইটনের ১১ শটের বিপরীতে স্পার্স নিয়েছিল মাত্র ২টি।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের আশায় টাঙ্গুয়ে এন’দোম্বেলের বদলে হ্যারি উইঙ্ককে নামিয়ে ৩-৪-৩ ফর্মেশনে দল সাজান পচেত্তিনো। কিন্তু দলকে ম্যাচে ফেরাতে পারেননি হ্যারি কেইন, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনরা। দুই গোলের লিড নেওয়া গ্রাহাম পটারের দল দ্বিতীয়ার্ধেও দমে যায়নি এতটুকু, উলটো ৬৩ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পেতে পারত তারা।

     

    রবি কিনের পর প্রথম আইরিশ টিনএজার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে জোড়া গোল। উল্লাসটা স্বভাবতই বাধভাঙ্গা অ্যারন কনোলির

     

    গাজানিগাকে গোললাইন ছেড়ে সামনে আসতে দেখে মাঝমাঠ থেকে চিপ করেন গ্রস। স্পার্স গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও বল প্রতিহত হয় ক্রসবারে। তবে ৬৫ মিনিটে আর শেষরক্ষা হয়নি স্পার্সের, আবারও আঘাত হানেন কনোলি। ডাঙ্কের লম্বা পাসে ডিবক্সে ঢুকে ডনপায়ের বাঁকানো শটে ব্যবধান ৩-০ করেন কনোলি। তিন গোলে পিছিয়ে পড়া স্পার্স অবশ্য চেষ্টা করে গেছে শেষ পর্যন্ত, কিন্তু ব্রাইটন গোলরক্ষক ম্যাট রায়ান ছিলেন রীতিমত অভেদ্য।

    শেষ দশ মিনিটে বদলি ফরোয়ার্ড লুকাস মউরার দুটি নিশ্চিত গোল ফিরিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক। তিন দিনের ব্যবধানে আরও এক বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল স্পার্স। সবধরনের প্রতিযোগিতায় প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ছয় দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল হজম করেছে পচেত্তিনোর দলই (২০)।