• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    সাউদাম্পটনকে হারিয়ে চেলসির চারে চার, আর্সেনালকে জেতালেন লুইজ

    সাউদাম্পটনকে হারিয়ে চেলসির চারে চার, আর্সেনালকে জেতালেন লুইজ    

    লিভারপুলের কাছে হারের পর টানা তিন জয়ে স্বরূপে ফিরেছিল ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চেলসি। ট্যামি আব্রাহাম, মেসন মাউন্ট, এন'গোলো কান্তে এবং মিচি বাতশুয়াইয়ের সাউদাম্পটনকে তাদেরই মাঠে ৪-১ গোলে হারিয়ে টানা জয়ের রেকর্ডটা চার-এ নিয়ে গেল 'ব্লুজ'রা। আজকের জয়ে টেবিলের পাঁচ-এ উঠে আসল ল্যাম্পার্ডের দল। চেলসির মত জয় পেয়েছে লন্ডনের আরেক ক্লাব আর্সেনাল। 'গানার'দের হয়ে ডেভিড লুইজের প্রথম গোলে বোর্নমাউথকে ১-০ গোলে হারিয়েছে উনাই এমেরির দল, উঠে এসেছে টেবিলের তিন-এ।

    মাউন্ট-আব্রাহামদের ঠেকাতে ৫-৪-১ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন 'সেইন্টস' ম্যানেজার রালফ হাসেনহুটেল। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি খুব একটা, আব্রাহাম-মাউন্টদের গতির সামনে রীতিমত অসহায় মনে হয়েছে সাউদাম্পটনকে। তবে চেলসির প্রথম গোলের জন্য নিজেদের ডিফেন্সকে দুষতেই পারেন সাউদাম্পটন ম্যানেজার। ১৭ মিনিতে বাঁ-প্রান্ত থেকে ক্যালাম হাডসন-ওদোয়ের লম্বা পাস ক্লিয়ার করতে যেয়ে গোলরক্ষক অ্যাঙ্গাস গান এবং ডিফেন্ডার মায়া ইয়োশিদার ভুল বুঝাবুঝিতে চিপ করেন আব্রাহাম। ইয়োশিদা গোললাই থেকে ক্লিয়ার করলেও 'গোল লাইন প্রযুক্তি' ব্যবহার করে গোলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ব্যবধান দ্বিগুণ করতেও সময় নেয়নি চেলসি।

     

    বদলি হিসেবে নেমেই গোল করলেন বাতশুয়াই

     

    ২৪ মিনিটে আব্রাহাম এবং উইলিয়ানের সাথে দারুণ দুটি 'ওয়ান টু' করে ডিবক্সে বল পেয়ে যান মাউন্ট, এগিয়ে আসা গানকে ফাঁকি দিয়ে বল পাঠান সাউদাম্পটনের জালে। মিনিট পাঁচেক পর আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মাউন্ট, কিন্তু গানকে একা পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। চেলসির গোল মিসের সুযোগে সাউদাম্পটনের ম্যাচে ফেরার আশা জাগিয়েছিলেন ড্যানি ইঙ্কস। ইয়ান ভ্যালেরির ক্রসে আলতো টোকায় চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগাকে পরাস্ত করেন তিনি। তবে প্রথমার্ধে শেষদিকে কান্তের গোলে দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করে চেলসি।

    ৪০ মিনিটে মার্কোস আলোন্সোর পাসে ডিবক্সের বাইরে থেকে ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডারের শট পিয়ের-এমেরিক হোয়েবার্গের গায়ে লেগে জড়ায় সাউদাম্পটনের জালে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবারও গোল পেতে পারতেন ইঙ্কস, কিন্তু তাকে ফিরিয়ে দেন জর্জিনহো। কেপাকে কাটিয়ে ইঙ্কসের নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের বেশকিছু সু্যোগ হাতছাড়া করেছিল চেলসি। কিন্তু সাউদাম্পটন ফরোয়ার্ডরা ব্যবধান কমাতে না পারায় ভুগতে হয়নি 'ব্লুজদের। শেষদিকে ৮৮ মিনিটে ব্যবধান ৪-১ করেন আব্রাহামের বদলি হিসেবে নামা বাতশুয়াই। 

     

    আর্সেনালের জার্সিতে প্রথম গোলের পর লুইজের উল্লাস

     

    চেলসির মত অবশ্য জয়টা এত সহজ আসেনি আর্সেনালের। ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য লিড নিতে পারত তারা, কিন্তু ৬ মিনিটে গোলের প্রায় ২০ গজ দূর থেকে পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াংয়ের শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন অ্যারন র‍্যামসডেল। সেজন্য অবশ্য খুব একটা ভুগতে হয়নি এমেরির দলকে, ৯ মিনিটে নিকোলাস পেপের কর্নারে হেড করে দলকে এগিয়ে নেন লুইজ। অষ্টম ফুটবলার হিসেবে আর্সেনাল এবং চেলসি- দুই ক্লাবের পক্ষেই গোল করলেন তিনি।

    ১৭ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারত বোর্নমাউথ, কিন্তু ডিয়েগো রিকোর ফ্রিকিকে ডিবক্সে ফাঁকা জায়গা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন লিভারপুল থেকে ধারে আসা ডমিনিক সোলাঙ্কে। প্রথমার্ধে পেনাল্টির আবেদনও জানিয়েছিল আর্সেনাল, ২৩ মিনিটে পেপেকে ডিবক্সে ফেলে দেন রিকো। কিন্তু 'ভিএআর'-এ আর্সেনালের আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতায় ফেরার আরও এক দারুণ সুযোগ পেয়েছিল এডি হাওয়ের দল। কিন্তু ৫১ মিনিটে আর্সেনাল গোলরক্ষক বার্নড লেনোকে কাটিয়েও গোল করতে পারেননি ক্যালাম উইলসন।

    ৫৭ মিনিটে আবারও সুযোগ, এবার হ্যারি উইলসনের ক্রস থেকে রাইটব্যাক জ্যাক স্টেসির হেড ফিরিয়ে দেন লেনো। তবে দ্বিতীয়ার্ধের সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন জশ কিং। ম্যাচের শেষদিকে বদলি ফরোয়ার্ড গ্রোয়েনভেল্ডের মাইনাস নাগালই পাননি তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণাত্মক খেলা আর্সেনাল অবশ্য যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু অবামেয়াংয়ের শট ফিরে আসে বারপোস্টে প্রতিহত হয়ে। শেষ পর্যন্ত লুইজের গোলেই স্বস্তির তিন পয়েন্ট পায় আর্সেনাল।