• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    ডি মারিয়ার জোড়া গোলে নিসকে উড়িয়ে দিল পিএসজি

    ডি মারিয়ার জোড়া গোলে নিসকে উড়িয়ে দিল পিএসজি    

    ইনজুরির কারণে স্কোয়াডে ছিলেন না নেইমার, একাদশে নেই কিলিয়ান এমবাপ্পে-এডিনসন কাভানিও। পিএসজিকে অবশ্য এই তিনজনের অভাবটা একদমই বুঝতে দিলেন না ডি মারিয়া। তাঁর জোড়া গোলেই নিসকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে ফ্রেঞ্চ লিগের শীর্ষস্থানটা আরও পাকাপোক্ত করল টমাস টুখেলের দল। 

    পিএসজি এগিয়ে যেতে পারত তিন মিনিটের মাথায়ই। প্রেসনেল কিমপেম্বের বাঁ পায়ের জোড়ালো শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন নিস গোলরক্ষক বেনিটেজ। পরের মিনিটে আবদু দিয়ালোকেও বল জালে জড়াতে দেননি তিনি। পিএসজির লিড নেওয়া থেকে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি বেনিটেজ। ১৫ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন ডি মারিয়া। প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া মাউরো ইকার্দির বাড়ানো বলে গোলকিপারকে একা পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ শটে গোল করেন ডি মারিয়া। 

    গোলের পর ডি মারিয়ার উচ্ছ্বাস 

     

    ছয় মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোল করে পিএসজির লিড দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। এবারের গোলটা অবশ্য খুব সহজে আসেনি। থমাস মুনিয়েরের পাসে বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন। কঠিন এক অ্যাঙ্গেল থেকে বেনিটেজকে পরাস্ত করেন তিনি। এটি এবারের মৌসুমে লিগে তাঁর সপ্তম গোল। ৩৬ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রসেই দারুণ এক হেড করেছিলেন কিমপেম্বে। সেটা বেনিটেজ ঠেকিয়ে না দিলে প্রথমার্ধে আগে ব্যবধানটা আরও বাড়ত। 

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচের প্রথম সুযোগ পায় নিস। পিয়েরে মেলুউয়ের হেড বাঁচিয়ে দেন নাভাস। ৬০ মিনিটে মারকুইনহোসের হেড পোস্টে লেগে ফিরে এলে গোল পাওয়া হয়নি তাঁর। সাত মিনিট পর নিসের হয়ে ব্যবধান কমান ইগনাতিয়াস গ্যানাগো। ৭৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নিসের ওয়াইল্যান সাপ্রিয়েন। এই ঘটনার পর রেফারির সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কারণে লাল কার্ড দেখেন ক্রিসটোফ হেরেলও। 

    নয়জনের দলে পরিণত হওয়া নিস শেষের দিকে খেয়েছে আরও দুই গোল। ৮৩ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এমবাপ্পে। চার মিনিট পরেই গোল পান তিনি। যোগ করা সময়ে এমবাপ্পের পাসেই পিএসজির হয়ে ম্যাচের চতুর্থ গোল করেন ইকার্দি। ৪-১ গোলের এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নঁতে।