• লা লিগা
  • " />

     

    এইবারে নতুন ত্রয়ীর দেখা পেল বার্সেলোনা

    এইবারে নতুন ত্রয়ীর দেখা পেল বার্সেলোনা    

    লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজরা তো আগে থেকেই ছিলেন। সঙ্গে এবার যোগ দিয়েছিলেন অ্যান্টোয়ান গ্রিযমান। আক্রমণের এই তিনজনের একইদিনে জ্বলে ওঠার দিন দেখতে বার্সেলোনা সমর্থকদের অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় তিন মাস। এইবারে অবশেষে দেখা মিলেছে বার্সা ত্রয়ীর। তিনজনই গোল করেছেন, তাতে ইপুরুয়া মিউনিসিলিপল স্টেডিয়ামে বার্সেলোনাও জয় পেয়েছে ৩-০ গোলে। আপাতত রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও উঠে গেছে এর্নেস্তো ভালভার্দের দল। 

    পয়েন্ট টেবিলের ১৪তম দল এইবারের বিপক্ষে রক্ষণে পরিবর্তন এনেছিলেন ভালভার্দে। জেরার্ড পিকেকে বসিয়ে স্যামুয়েল উমতিতিকে নামিয়েছিলেন তিনি। পিকেকে ছাড়া লিগে শেষ ৬ ম্যাচ জিততে পারেনি বার্সা। সেই ধারায় ছেদ পড়েছে। পিকের অভাব বুঝতে পারেনি বার্সা।  উমতিতির সেন্টারব্যাক পার্টনার ক্লেমেন্ত লেংলে নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে অবদান রেখেছেন বার্সার প্রথম গোলেও। 

    ১৩ মিনিটে এইবারের ডিফেন্সিভ হাইলাইনের পেছনে জায়গাটা দেখেছিলেন লেংলে। এরপর নিজের রক্ষণ থেকে লং বল পাঠিয়েছিলেন গ্রিযমানের উদ্দেশ্যে। তিনি বল রিসিভ করে প্রায় ২৫ গজ দৌড়ে বক্সের ভেতর ডান পাশ থেকে শট মারেন, বারপোস্টে লেগে সেই বল ঢুকে যায় এইবারের জালে। লা লিগায় গ্রিযমান পেয়ে যান চতুর্থ গোল আর লেংলে বার্সার হয়ে পান প্রথম অ্যাসিস্ট।  

    প্রথমার্ধে নিখুঁত হতে পারলে অবশ্য সমতায়ও ফিরতে পারত এইবার। সুযোগ নষ্ট করেছে বার্সাও। মেসিকে ওয়ান অন ওয়ানে গোলরক্ষক মার্কো দিমিত্রিচ ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রথমার্ধ তাই শেষ হয় ১-০ ব্যবধানেই। বিরতির পর সার্জি রবার্তোকে বসিয়ে নেলসন সেমেদোকে নামিয়েছিলেন ভালভার্দে। 

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের ইঙ্গিত দিচ্ছিল বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধের ১৩ মিনিটেও দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় তারা। এই গোলে অবদান থাকল বার্সার আক্রমণভাগের সবার। ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের বক্সের বাইরে থেকে দেওয়া পাস সুয়ারেজকে গোলের দিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন, সুয়ারেজ প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করে পাস বাড়ান পাসে, গ্রিযমানও গোলে চেষ্টা না করে দিয়ে দেন তাঁর পাশে থাকা মেসিকে। বাম পায়ের কোনাকুনি নিচু শটে গোল করে লা লিগায় নিজের দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যান আর্জেন্টাইন।   

    ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পাস বার্সা সফল হতে পারত আরও আগে। সুয়ারেজ দুর্বল শট করে পার পাননি। পরে বল গোলে জড়িয়েও খালি অফসাইড ফাঁদে গোল পাননি সুয়ারেজ। তাঁর অপেক্ষা আর আক্ষেপ ঘোঁচে ৬৬ মিনিটে। মিডফিল্ড থেকে দারুণ এক থ্রু পাস দেন গ্রিযমান। মেসির সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক। নিজে শট না নিয়ে স্কয়ার পাসে তিনি খুঁজে নেন সুয়ারেজকে। 

    সহজ পাসে গোল করে ম্যাচের ২৪ মিনিট বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে ফেলে বার্সা। এরপর আর্তুরো ভিদাল, ইভান রাকিটিচদের নামিয়ে বাকিদেরও বাজিয়ে দেখার সুযোগ পান ভালভার্দে।