• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    সিলেটের জয়ে ইমতিয়াজে ম্লান মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি

    সিলেটের জয়ে ইমতিয়াজে ম্লান মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি    

    ঢাকা মেট্রো-সিলেট, বগুড়া
    ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ২৪৬ অল-আউট ও ২য় ইনিংস ২৭৩ অল-আউট
    সিলেট ১ম ইনিংস ৩১৯ ও ২য় ইনিংস ২০৪/২
    সিলেট ৮ উইকেটে জয়ী


    আগের ম্যাচে দুই দিনেরও কম সময়ে বরিশালের কাছে হেরে বসেছিল সিলেট। পরের রাউন্ডে জয় দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো তারা। আবু জায়েদের দারুণ বোলিংয়ের পর ইমতিয়াজ হোসেনের সেঞ্চুরি ও জাকির হোসেনের ৭২ রানের ইনিংসে ম্লান হয়ে গেছে তাই মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি, সিলেটকে আটকাতে পারেনি ঢাকা মেট্রো। 

    ঢাকা মেট্রোর দেওয়া ২০১ রানের লক্ষ্য সিলেট টপকে গেছে ৮ উইকেট বাকি রেখেই। ইমতিয়াজ হোসেন করেছেন অপরাজিত ১১০ রান, শেষ মুহুর্তে এসে আউট হওয়ার আগে জাকির করেছিলেন ৭২ রান। এর আগে মাহমুদউল্লাহদের প্রতিরোধ ভেঙে দিয়েছিলেন রাহি, ৪ উইকেট নিয়ে। 

    বগুড়ায় রানতাড়ায় লাঞ্চের আগে ২ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল সিলেট। বিরতির পর ইনিংসের ১০ম ওভারে গিয়ে ওপেনার তৌফিক খানকে হারিয়ে ফেলেছিল তারা, আরাফাত সানির বলে তিনি ক্যাচ দিয়েছিলেন ১০ রান করে। এরপরের গল্পটা শুধুই ইমতিয়াজ-জাকিরের জুটির। চা-বিরতির আগেই ফিফটি হয়ে গেছে ইমতিয়াজের, এটি পূর্ণ করেছেন তিনি ৯৪ বলে। বিরতির পর ফিফটি পূর্ণ করেছেন জাকির, ৮১ বলে। 

    ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ইমতিয়াজ খেলেছেন ১৭০ বল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৭৮ বলে ১১০ রান করে, ১১টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। মানিক খানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে জাকির করেছেন ৭২ রান, ১০৫ বলের ইনিংসে চার মেরেছিলেন ৭টি। 

    এর আগে ৬ উইকেটে ২২৫ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ঢাকা মেট্রো, এদিন প্রথম ব্রেকথ্রু পেতে সিলেটকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১০ম ওভার পর্যন্ত। ৪২ রান করে আবু জায়েদের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন শহিদুল। আগের দিন ৯৫ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরিটি অবশ্য হয়ে গিয়েছিল এর আগেই, মাইলফলক ছুঁতে তিনি খেলেছিলেন ২১৪ বল। আবু জায়েদকে চার মেরে তিন অঙ্কে গেছেন, এরপর চেষ্টা চালিয়ে গেছেন টিকে থাকার। 

    সে চেষ্টায় অবশ্য বেশিক্ষণ সফল হতে পারেননি তিনি, রাহির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে করেছেন ১১১ রান, ২৪৩ বল খেলে ৬টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। ক্রিজে মোট ৩৫৬ মিনিট ছিলেন, তার উইকেটের পর মেট্রোকে অল-আউট করতে খুব বেশি সময় নেয়নি সিলেট, আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে সময় নেননি রাহি। নিজের পরের দুই ওভারে এসে তিনি ফিরিয়েছেন যথাক্রমে আরাফাত সানি ও আবু হায়দারকে। ২৫ ওভার বোলিং করে এই পেসার ৪ উইকেট নিয়েছেন ৪৯ রান খরচ করে। 

    এ ম্যাচে মোট ১০.২ পয়েন্ট পেয়েছে সিলেট, ঢাকা মেট্রোর সংগ্রহ সেখানে ১.৫।