• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    বদলি হয়ে সুযোগ কাজে লাগালেন নাসির, জাতীয় লিগে ব্যাটসম্যানদের দিন

    বদলি হয়ে সুযোগ কাজে লাগালেন নাসির, জাতীয় লিগে ব্যাটসম্যানদের দিন    

    বৃষ্টি থেমে গেছে বটে, তবে জাতীয় লিগে আজ দুইটি ম্যাচ ভেজা আউটফিল্ডের কারণে শেষ পর্যন্ত শুরুই হতে পারেনি। বগুড়া ও রাজশাহীতে দ্বিতীয় স্তরের দুইটি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনও পন্ড হয়ে গেছে। তবে কক্সবাজারে প্রথম স্তরের দুইটি ম্যাচই হয়েছে। আজ অবশ্য বোলারদের চেয়ে ব্যাটসম্যানদেরই বেশি দাপট ছিল। নাসির হোসেন যেমন এই মৌসুমে পেয়েছেন নিজের প্রথম ফিফটি, সেটাও আবার বদলি হিসেবে নেমে।

                                                                ***

    ২য় দিন শেষে

    রাজশাহী ২০১

    রংপুর ১০৭ ওভারে ২৬৩/৬


    কক্সবাজারে রাজশাহীর ২০১ রানের জবাবে কালই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল রংপুর। তবে আজ সকালে রাজশাহীর বোলারদের হতাশ করে গেছেন রংপুরের মেহেদী মারুফ ও নাঈম ইসলাম। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারাতে দেননি দুজন, যদিও এই সেশনে রান উঠেছে মাত্র ৫৯। ১৭৪ বলে ফিফটি পেয়েছেন মেহেদী মারুফ, নাঈমের ফিফটি করতে লেগেছে ১৭৬ বল। শেষ পর্যন্ত দুজনের ১২৭ রানের জুটি ভেঙেছেন ইফতেখার সাজ্জাদ, ৭৮ রানে ফিরেছেন মারুফ। এর পরেই নাঈমকেও ফিরিয়েছেন সাজ্জাদ, ৫৪ রান করে আউট হয়েছেন।

    তবে আরিফুল হক নেমে রান বাড়ানোর দিকে একটু মনযোগী হয়েছেন। অন্যপাশে নাসির হোসেনও যোগ দিয়েছিলেন তার সঙ্গে। দুজন মিলে ৬১ রান তুলেছেন, এরপর ৬৮ বলে ৪৭ রান করে বোল্ড হয়ে গেছেন আরিফুল। নাসিরের অবশ্য নামারই কথা ছিল না এই ম্যাচে, আগের ম্যাচে আম্পায়ারকে গালি দিয়ে জরিমানা পেতে হয়েছিল। এই ম্যাচেও একাদশের বাইরেই ছিলেন। তবে রিশাদ হোসেনকে ভেট্টোরির সঙ্গে কাজ করার জন্য ডাকা হলে বদলি হিসেবে সুযোগ পেয়ে যান নাসির। দিন শেষে ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। ৬ উইকেটে ২৬৩ রান নিয়ে রংপুরও চলে গেছে শক্ত অবস্থানে।

                                                            *****

    ২য় দিন শেষে

    খুলনা ৩৭১ অলআউট

    ঢাকা বিভাগ ৬৩.৩ ওভারে ২০৬/২


    কক্সবাজারেরই অন্য ম্যাচে ৬ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল খুলনা। অলআউট হওয়ার আগে আজ করতে পেরেছে ৩৭১ রান। এর মধ্যে আহত অবসরে যাওয়া এনামুল হক বিজয়ও মাঠে নেমেছিলেন। আগের দিনের ১১২ রানের সঙ্গে আজ আরও ১৪ রান যোগ করে আউট হয়ে গেছেন। রুবেল হোসেন নেমে ২২ রান করেছেন। মিরাজ কাল অপরাজিত ছিলেন, তবে ঢাকায় ফিরতে হওয়ায় আজ আর ব্যাটই করতে পারেননি। তার জায়গায় নেমেছেন ইমরান উজ জামান, অন্যদিকে মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গা নিয়েছেন মইনুল ইসলাম। ঢাকা বিভাগের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সুমন খান ও তাইবুর রহমান।

    লাঞ্চের পর বাকি সময়টা খুলনার বোলারদের হতাশই করে গেছেন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও জয়রাজ শেখ গড়েছিলেন ১২৫ রানের জুটি। ৫১ রান করার পর রুবেল হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়েছেন। পরের ওভারেই মইনুলের বলে আউট রনি তালুকদার, ৭৩ রান করে। এরপর আর উদযাপনের উপলক্ষ পায়নি খুলনা, বাকি সময় হতাশ করে গেছেন সাইফ হাসান ও রকিবুল হাসান। দুজনের জুটিতে রান হয়ে গেছে ৮১। সাইফ অপরাজিত ৪১ রানে, রকিবুল শুরু করবেন ৩৮ রানে।