• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    সাদমানের ১৬২* রানের দিনে এবাদতের ৫ উইকেট

    সাদমানের ১৬২* রানের দিনে এবাদতের ৫ উইকেট    

    ২য় স্তর, চট্টগ্রাম
    ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৩৫৭/৪* (সাদমান ১৬২*, আল-আমিন ২/৮৩)


    ভারত সফরের আগে জাতীয় লিগে বড় সেঞ্চুরি করে নিজেকে ঝালিয়ে নিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। চট্টগ্রামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম দিনশেষে ১৬২ রানে অপরাজিত আছেন এই ওপেনার। সাদমানের বড় ইনিংসের সঙ্গে আল-আমিনের ৮৩, শামসুরের ৫০ ও অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবের ৪০ রানে ভর করে ৩৫৭ রান তুলেছে ঢাকা মেট্রো, বাকি এখনও ৬ উইকেট। 

    ঢাকা মেট্রোর শুরুটা অবশ্য সুবিধার ছিল না, টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পঞ্চম ওভারেই হাসাম মাহমুদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছিলেন ওপেনার আজমির আহমেদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে এরপর শামসুর রহমান ও মার্শাল আইয়ুবকে নিয়ে যথাক্রমে ৯৭ ও ৮০ রানের জুটি গড়েছেন সাদমান। শামসুরকে ফিরিয়েছেন নাঈম হাসান, আইয়ুব হাসামের দ্বিতীয় শিকার। 

    আল-আমিনকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে সাদমানের জুটি ১৬২ রানের, যেটি ভেঙেছেন মেহেদি হাসান রান। আল-আমিন ছিলেন আক্রমণাত্মক, ৮৩ রান করতে তিনি  খেলেছেন ১১০ বল, ১১টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়। দিনে তিন ওভার বাকি থাকতে আউট হয়েছিলেন আল-আমিন, জাবিদ হাসানকে নিয়ে দিনশেষে অবিচ্ছিন্ন আছেন সাদমান। 

    সাদমান ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন ১১০ বলে, ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি করতে লেগেছে ১৮৪ বল। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ‘ড্যাডি-সেঞ্চুরি’ পূর্ণ করেছেন তিনি ২৪২ বলে। ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২৫৭ বল, ২১টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়। ৫২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে সাদমানের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস, গত মৌসুমে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ১৮৯ রান হয়ে আছে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। 


    ****

    ২য় স্তর, কক্সবাজার
    বরিশাল ১ম ইনিংস ১৬২ অল-আউট (নুরুজ্জামান ৪০, এবাদত ৫/৩৬, নাসুম ৩/৫৭)
    সিলেট ১ম ইনিংস ৮২/১* (ইমতিয়াজ ৪৮, শাহনাজ ৩২) 


    এবাদত হোসেনের ৫ উইকেটে ১৬২ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যাওয়া বরিশাল প্রথম দিনশেষেই চাপে পড়েছে কক্সবাজারে। ইমতিয়াজ হোসেনের উইকেট হারিয়ে সিলেট প্রথম ইনিংসে এখন পিছিয়ে মাত্র ৮০ রানে, বাকি আছে ৯ উইকেট। 

    শুরুতে ব্যাটিং করা বরিশাল চাপে পড়েছিল শুরুতেই, ৩৫ রানের মাঝেই তারা হারিয়েছে ৪ উইকেট-- শাহরিয়ার নাফীস ও ফজলে রাব্বি আউট হয়েছেন শূন্যতেই, মোহাম্মদ আশরাফুল করেছেন ২০, রাফসান আল মাহমুদ ২০। 

    ৫ম উইকেটে নুরুজ্জামান ও সোহাগ গাজির ৪৮ রানের জুটি হয়ে আছে তাদের ইনিংসে সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ৪০ রান করে নাসুমের শিকার নুরুজ্জামান, সোহাগ করেছেন ২৩ রান। 

    শামসুল ইসলামের উইকেট দিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট পেয়েছেন এবাদত, ইনিংসে খরচ করেছেন ৩৬ রান। এর আগে ২০১৮-১৯ বিসিএলে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি ৫১ রানে, যা তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। নাসুম ৩ উইকেট নিয়েছেন ৫৭ রান খরচ করে। 

    ৭৮ রানের ওপেনিং জুটিতে এরপর দৃঢ় শুরু পেয়েছে সিলেট, ২ রানের জন্য ফিফটি মিস করেছেন ইমতিয়াজ। দিনশেষে ২ রানের ব্যাটিং করা এনামুল হক জুনিয়রকে নিয়ে ৩২ রানে অপরাজিত আছেন শাহনাজ আহমেদ।