• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    পেসারদের ওভারকেই 'টার্গেট' করেছিলেন মুশফিক-সৌম্য

    পেসারদের ওভারকেই 'টার্গেট' করেছিলেন মুশফিক-সৌম্য    

    এই ভারতের সঙ্গে কত হিসেব চুকানোর বাকি ছিল তার। বেঙ্গালুরুতে সেই ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে চার মেরে মুশফিক উদযাপন করে ফেলেছিলেন। তিন বলে ২ রান দরকার ছিল, সেখান থেকে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবার একবার হাত মুষ্টিবদ্ধ করা ছাড়া খুব বেশি উদযাপন করেননি মুশফিক, ম্যাচ জেতানোর পরেও তার কোনো ভাবান্তর নেই। সংবাদ সম্মেলনে এসে অনেকটাই নির্লিপ্ত, শুধু বললেন ভারতকে তাদের মাটিতে হারানোর মতো আর কিছু হয় না। সেই হিসেবে জয়টা তার জন্য অনেক অনেক কিছু।

    শুধু বেঙ্গালুরু কেন, সেই ২০১১ এশিয়া কাপ থেকেই তো ভারতের বিপক্ষে স্বপ্নভঙ্গ শুরু মুশফিকের। সাকিবকে জড়িয়ে ধরে সেই কান্নার ছবি বাংলাদেশে ক্রিকেটে গোপন ক্ষত হয়ে থাকবে অনেকটা কাল, এরপর বেঙ্গালুরুর সেই তীরে এসে তরী ডোবানো দুঃখটা কেবল বাড়িয়েছেই। ভারতকে কখনো টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। তামিম ছিটকে গিয়েছিলেন আগেই, শেষ মুহূর্তে সাকিবও নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটই হয়ে পড়েছিল এলোমেলো। সেখান থেকে আজকের ম্যাচে জয় ছিল ঢাল তলোয়ার কিছু ছাড়া দিল্লির মসনদ জিতে যাওয়ার মতোই কঠিন।

    মুশফিক জানতেন কাজটা কতটা কঠিন। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। দর্শক বিপক্ষে, ফর্ম আর ইতিহাস সবই বিপক্ষে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কাজটা করার জন্য মুশফিককে নিতে হতো নেতৃত্ব। শুরুতে নাঈম ছিলেন, আর সৌম্য অনেকটা সময় সঙ্গ দিয়েছিলেন তাকে। ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছিলেন মুশফিক। ভারত দুইটি রিভিউ নিলে আর পান্ডিয়া ক্যাচ মিস না করলে তার হিরো হওয়া হয় না। তবে ভাগ্য পক্ষে থাকে বিজয়ীর, সেটাই আজ প্রমাণ হলো আরেকবার।

    ম্যাচ শেষে আগের মতো আর আনন্দে ফেটে পড়লেন না মুশফিক। যেন কাজটা করারই ছিল তার। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসেও অনেকটা ভাবাবেগহীন নিষ্কম্প গলায় বললেন, ‘এরকম মাঠভর্তি দর্শকের বিপক্ষে খেলা, যখন দল আপনার কাছ থেকে কিছু চাইছে... এরকম একটা ইনিংস তো অন্যরকম। আর ভারতকে ভারতের মাটিতে হারানোর সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না।’

    সৌম্যের সঙ্গে তার জুটিটাই বদলে দিয়েছে ম্যাচ। মাহমুদউল্লাহ এই দুজনের নাম আলাদা করে বলেছেন। মুশফিক শুধু বললেন, ‘সৌম্য আর আমার মধ্যে কথা হচ্ছিল, ম্যাচটা যত বেশি সম্ভব শেষে নিয়ে যাওয়া। আর কোনো একজন পেস বোলারের বলে ১৫-২০ রান নেওয়া। কারণ স্পিনাররা উইকেট থেকে সাহায্য পাচ্ছিল অনেক। সেজন্য ওদের মারা অনেক কঠিন ছিল। নাঈম শুরুতে খুব ভালো খেলেছে।’

    মুশফিকের কথায় আভাস পাওয়া গেল, সামনের ম্যাচগুলোর জন্য কিছু জমিয়ে রেখেছেন, ‘আমি ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে আরও ভালো করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের হয়ে প্রতিটা ম্যাচে আরও ভালো করার চেষ্টা করে যাব।’

    দিল্লী ডান, রাজকোট নেক্সট...