• ইংল্যান্ডের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    নেপিয়ারে মালান-মরগানে লন্ডভন্ড নিউজিল্যান্ড

    নেপিয়ারে মালান-মরগানে লন্ডভন্ড নিউজিল্যান্ড    

    ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ২৪১/৩ (মালান ১০৩*, মরগান ৯১; স্যান্টনার ২/৩২)

    নিউজিল্যান্ড ১৬.৫ ওভারে ১৬৫ অলআউট (সৌদি ৩৯, পারকিন্সন ৪/৪৭)

    ফলঃ ইংল্যান্ড ৭৬ রানে জয়ী


    ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি রেকর্ডবুকটা ওলটপালটই হয়ে গেল আজ। নেপিয়ারে এডেভিড মালান আর অইন মরগান যা করেছেন, তাতে যে নতুন করে লিখতে হয়েছে অনেক কিছুই। দুজন এমনই ঝড় তুললেন, তাতে দিশেহারা নিউজিল্যান্ড। চার ম্যাচের সিরিজে এখন ২-২ সমতা, অপেক্ষা জমজমাট ‘ফাইনালের’।

    অথচ শুরুতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দেখে কেউ ভাবেনি, এমন একটা ঝড় আসছে। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৫ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড, চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান জনি বেইরস্টো। টম ব্যান্টন এরপর দারুণ কিছু শটে কেভিন পিটারসেনকে মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন, প্রমাণ দিচ্ছিলেন কেন তাকে নিয়ে এত মাতামাতি। মালানের সঙ্গে জুটিতে ৪২ রান উঠে গেল দ্রুতই। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ৩১ রান করে স্যান্টনারের বলে এলবিডব্লউ হয়ে গেলেন ব্যান্টন।  রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন ব্যান্টন, শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েই শেষ পর্যন্ত তাকে আউট করতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড।

    কিন্তু এরপর নিউজিল্যান্ড আর সেরকম হাসার উপলক্ষ পায়নি। মরগান আসার পর রানের চাকা আরও সচল হয়, ৬৩ বলেই চলে আসে ১০০ রান। মালান ফিফটি পান ৩১ বলে, তবে সেঞ্চুরি তখনও অনেক দূরে ছিল। ঝড়টা শুরু করলেন সেখানেই, পরের ৫০ করলেন মাত্র ১৭ বলে। এর মধ্যে নয় বলের ব্যবধানে মেরেছেন পাঁচটি ছয় ও একটি চার। ইশ সোধির ওপরেই বেশি গেছে তার ঝড়। ৪৮ বলে পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে যা দ্বিতীয়। পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬০ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন হেলস, মালানের সেঞ্চুরি তাই দ্রুততমও।

    একটা সময় মনে হচ্ছিল মালানের রেকর্ড মিনিট দশেকও টিকবে না। অন্তত মরগান যেভাবে ব্যাট করছিলেন, সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল তারও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৯১ রান করে আউট হয়ে গেছেন। ইংল্যান্ড অবশ্য ২০ ওভারে পৌঁছেছে ২৪১ রানে। টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর, যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি- এসব রেকর্ড তো হয়েছে। মালান-মরগানের ১৮২ তৃতীয় উইকেটে টি-টোয়েন্টির রেকর্ডও বটে।

    এমন রান তাড়া করে জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে করতে হতো দুর্দান্ত কিছু। মার্টিন গাপটিল আর কলিন মানরোর শুরুটা ভালোই হয়েছিল, পাঁচ ওভারের মধ্যে দুজন তুলে ফেলেছিলেন ৫০ রান। ১৪ বলে ২৭ রান গাপটিল ফেরেন টম কারানের বলে, এরপরেই উইকেট হারাতে শুরু করে স্বাগতিকেরা। ডি গ্র্যান্ডোম ও মানরোকে পর পর দুই বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন লেগ স্পিনার ম্যাট পারকনসন। সেটা না পেলেও পারকিনসন পরে পেয়েছেন আরও দুই উইকেট, আউট করেছেন ড্যানিয়েল নিচেল ও টিম সাউদিকে। নিউজিল্যান্ডের পরাজয় অবশ্য নিশ্চিত হয়ে গেছে এর মধ্যেই, সাউদির ১৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংসটা খানিকটা বিনোদনই দিতে পেরেছে নেপিয়ারকে।