• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    আর্সেনালকে হারিয়ে দুইয়ে উঠে গেল লেস্টার সিটি

    আর্সেনালকে হারিয়ে দুইয়ে উঠে গেল লেস্টার সিটি    

    এই লেস্টার সিটিকে দেখলে আপনার তিন মৌসুম আগের কথা মনে পড়বেই। আর কিছু না হোক আর্সেনালের বিপক্ষে তাদের প্রথম গোলটি দেখে থাকলে না চাইতেও মিল খুঁজে পাবেন আপনি। দুর্দান্ত এক আক্রমণের পর জেমি ভার্ডি শুধু নিজের কাজটাই করেছেন। এরপর জেমস ম্যাডিসন নিশ্চিত করেছেন- আর্সেনালের আর ফেরার কোনো রাস্তা নেই। দ্বিতীয়ার্ধে এই দুইজনের গোলে লেস্টার সিটি হারিয়েছে আর্সেনালকে। আর প্রিমিয়ার লিগের ২০১৫-১৬ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা উঠে গেছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে।

    মাঠে আর মাঠের বাইরের বিভিন্ন ঘটনায় এমনিতেই চাপে ছিলেন উনাই এমেরি। সব প্রতিযোগিতায় আগের চার ম্যাচে ড্র করা এমেরির দলের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে এই ম্যাচ থেকে ভালো কিছু দরকার ছিল। হেরে উলটো এমেরির ওপর চাপ বেড়ে গেল আরও। প্রিমিয়ার লিগে এটি ছিল এমেরির আর্সেনালের ৫০ তম ম্যাচ, এই ৫০ ম্যাচ থেকে আর্সেনালের সংগ্রহ ৮৭ পয়েন্ট। আর্সেন ওয়েঙ্গারের শেষ ৫০ ম্যাচের হিসাবেও এক ম্যাচ কম জিতেছে এমেরির আর্সেনাল। 

    প্রথমবারের মতো তিনজনের ব্যাকলাইন নামিয়েছিলেন এমেরি। প্রথমার্ধে অবশ্য একেবারে খারাপ করেনি তারা। তবে নিচ থেকে খেলা বিল্ড আপ করতে গিয়ে ভুলভাল পাস দিয়ে লেস্টারকে আক্রমণে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছিল আর্সেনাল ডিফেন্ডাররা। প্রথমার্ধে লেস্টার একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করে গেছে। দ্বিতীয়ার্ধে এনদিদি গোল পাননি বারপোস্টের কারণে। শেষে ভার্ডি কাঙ্ক্ষিত গোলটি পাইয়ে দেন আর্সেনালকে।


     

    ৬৮ মিনিটে ভার্ডি শুধু দূরের পোস্ট থেকে বলটা আর্সেনালের জালে ঢুকিয়েছেন। বাকি কাজ করেছেন হার্ভি বার্নস ও ইউরি টিয়েলেমানস। প্রথমজনের দারুণ এক ব্যাকহিল পরের জনের কাছে গিয়েছিলেন, টিয়েলেমানস এরপর দূরের পোস্টে খুঁজে নিয়েছেন ভার্ডিকে। লেস্টারের ওই গোলটা খানিকটা স্মৃতিকাতরও করে দিতে পারে আর্সেনাল সমর্থকদের। এমন আক্রমণ তো আগে নিয়মতই করত আর্সেনাল!

    ভার্ডি এই মৌসুমে নিজের গোলসংখ্যা নিয়ে গেছেন এগারোতে। ভার্ডির গোলের সাত মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে হেক্টর বেয়ারিনের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল মেরে গোল করেন জেমস ম্যাডিসন। পুরো ম্যাচে আর্সেনালের আক্রমণ তেমন একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়নি ব্রেন্ডন রজার্সের দলের জন্য। পুরো ম্যাচে আর্সেনাল গোলে শট করেতে পেরেছে মাত্র একবার।

    এমেরিকে চাপে ফেলে তাই রজার্স আরেকবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ১২ ম্যাচ থেকে ২৬ পয়েন্ট তার দলের। আর ছয়ে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ১৭। সমান পয়েন্ট নিয়েও গোলব্যবধানে আর্সেনালের চেয়ে এগিয়ে আছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। টটেনহামের মাঠ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে এসেছে তারা। হিউং মিন সনের গোলে এগিয়ে গিয়েও জয় পাওয়া হয়নি টটেনহামের। ৭৮ মিনিটে জর্জ বালডক গোল শোধ করে দেন শেফিল্ডের হয়ে। তাই প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতা হয়নি মাউরিসিও পচেত্তিনোর দলের। লিগে মাত্র তিন জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে ১২ নম্বরে।