• ইংল্যান্ডের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    এবার সুপার ওভারেই নিউজিল্যান্ডকে হারাল ইংল্যান্ড

    এবার সুপার ওভারেই নিউজিল্যান্ডকে হারাল ইংল্যান্ড    

    নিউজিল্যান্ড ১১ ওভারে ১৪৬/৫

    ইংল্যান্ড ১১ ওভারে ১৪৬/৭

    ম্যাচ টাই, ইংল্যান্ড সুপার ওভারে জয়ী


    আরও একবার ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। আরও একবার টাই হলো স্কোর, আরও একবার খেলা গড়াল সুপার ওভারে। এবার অবশ্য টাই হলো না, তবে ইংল্যান্ডই বিশ্বকাপের মতো শেষ হাসিটা হাসল। সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেন মরগানরা।

    অকল্যান্ডের ম্যাচটা বৃষ্টির জন্য নেমে এসেছিল ১১ ওভারে। নিউজিল্যান্ড শুরু করেছিল তেড়েফুঁড়ে, আগের ম্যাচের ফর্মটা এই ম্যাচে টেনে নিয়ে এসেছিলেন মার্টিন গাপটিল আর কলিন মানরো। মাত্র ৫ ওভারের মধ্যে দুজন তুলে ফেলেছেন ৮৩ রান। গাপটিল ফিফটি পেয়ে গেছেন মাত্র ২০ বলে, মনে হচ্ছিল ১১ ওভারেই অন্তত ১৫০ পর্যন্ত করে ফেলবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এরপরেই ম্যাচে আসে ইংল্যান্ড। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের দুই হিরো ডেভিড মালান ও ম্যাট পারকিনসনকে বাদ দিয়ে আজ নিয়ে আনা হয়েছে জেমস ভিন্স ও আদিল রশুদকে। গাপটিলকে ফিরিয়ে রশিদই দিয়েছেন প্রথম ধাক্কা, এরপর ডি গ্র্যান্ডোমকে ৬ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন মাহমুদ।

    কলিন মানরো অবশ্য ১৫০র আশা বাঁচিয়ে রাখছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২১ বলে ৪৬ রান করে ফিরে যান তিনি। টম সেইফের্ট অবশ্য ঝড় তুলতে শুরু করেছিলেন, মাত্র ১৬ বলে করে ফেলেছিলেন ৩৯ রান। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত থাকতে না পারায় ১৫০ হতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের স্কোর। ১১ ওভারে ১৪৬ রানেই থেমেছে শেষ পর্যন্ত। ইংল্যান্ডের সব বোলারই ছিলেন ব্যয়বহুল, ওভারপ্রতি অন্তত ১০ রান করে দিয়েছেন সবাই।

    এই রান তাড়া করতে নেমে ৭ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। টম ব্যান্টন ও জেমস ভিন্স ফিরে যান ৭ ও ১ রানে।  প্রথম ওভারে বোল্টের পর দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেট নেন সাউদি। অধিনায়ক মরগান ৭ বলে ১৭ রান তুলে দ্রুত ফিরে যান। ইংল্যান্ডকে এরপর ম্যাচে রেখেছেন জনি বেইরস্টো ও স্যাম কারান। দুজন চতুর্থ উইকেটে ৬১ রান যোগ করেছেন ঠিক ৪ ওভারে। ১৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরেছেন বেইরটো, পরের ওভারে ২৪ রান করে আউট কারানও।

    শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। নিশমের প্রথম ২ বল থেকে এলো ৩ রান, তৃতীয় বলে আউট টম কারান। পরের বলে ছয় মারলেন্ম জর্ডান, এরপর বলে নিলেন ২। শেষ বলে ছয় মারলে জয় ইংল্যান্ডের, চার মারলে টাই। জর্ডান চার মারলেন, ম্যাচ গেল সুপার ওভারে।

    সেখানে সাউদির এক ওভার থেকে মরগান ও বেইরস্টো মিলে নিলেন ১৭ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে বল পেলেন জর্ডান, কিন্তু সেইফের্ট-গাপটিল ৮ রানের বেশি নিতে পারলেন না। সুপার ওভারেই জিতল ইংল্যান্ড।