• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ব্রাইটনের বিপক্ষে উজ্জ্বল ইউনাইটেড

    ব্রাইটনের বিপক্ষে উজ্জ্বল ইউনাইটেড    

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৩-১ ব্রাইটন


    অ্যান্থনি মার্শিয়াল ও মার্কস র‍্যাশফোর্ড জুটির কাছ থেকে প্রত্যাশা বেশি ছিল ওলে গানার সোলশারের। ইউরোপা লিগে শেষ ম্যাচের পর প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটনের বিপক্ষে এই দুইজন ছিলেন উজ্জ্বল। মার্শিয়াল অবশ্য গোল পাননি, জোড়া অ্যাসিস্ট তার। র‍্যাশফোর্ড এক গোল করেছেন, সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে পেতে পারতেন আরও। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যান ইউনাইটেড ব্রাইটনকে হারিয়েছে ৩-১ ব্যবধানে। পয়েন্ট টেবিলের সাতে উঠে এসেছে সোলশাররের দল।  

    আগের দুই ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে এসেছিল এগারোতে থাকা ব্রাইটন।  সেই আত্মবিশ্বাস উবে যেতে সময়ও লাগেনি। ১৭ মিনিটে ইউনাইটেডকে এগিয়ে নিয়েছিলেন আন্দ্রেয়াস পেরেরা। মার্শিয়াল বক্সের ভেতর ভালো জায়গায় পাস দিয়েছিলেন পেরেরাকে। তার শট লখেই ছিল, কিন্তু ব্রাইটন ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে বল আর গোলরক্ষককে কোনো সুযোগ দেয়নি। 


     

    দুই মিনিট পর জটলা থেকে কোনোরকম বল গোললাইন পার করতে চেয়েছিলেন স্কট ম্যাকটমিনে। শেষ মুহুর্তে ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল ম্যাকটিমনের গোলটা ছিনিয়ে নিয়েছেন ব্রাইটনের ডেভি পেরেরা। আত্মঘাতী গোলে খেলার ২০ মিনিট হওয়ার আগেই দুই গোলের লিডে চলে যায় ইউনাইটেড।   

    দারুণ প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাইটনকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দিচ্ছিল ইউনাইটেড। ক্রমেই আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে থাকা ব্রাইটন ৬৪ মিনিটে গোল করে ম্যাচ জমিয়েও তুলেছিল। কর্নার থেকে হেডে এক গোল শোধ করেছিলেন লুইস ডাঙ্ক। অবশ্য তাদের ফিরে আসার লড়াই দুই মিনিটও টিকতে দেয়নি ইউনাইটেড। র‍্যাশফোর্ড আবার ইউনাইটেডকে পাইয়ে দেন দুই গোলের লিড। 

    ফ্রেডের মিডফিল্ড থেকে বাড়ানো বল ব্রাইটনের বক্সের ভেতর ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি অ্যান্থনি মার্শিয়াল। কিন্তু বল পুরোপুরি হারানোর আগে পাশে থাকা র‍্যাশফোর্ডের উদ্দেশ্যে বাড়ান তিনি। র‍্যাশফোর্ড জোরালো শটে টপ কর্নারে বল জড়ান গোলের ১০ গজ দূর থেকে।  

    পরের মিনিটে এরপর সুবর্ন এক সুযোগ হাতছাড়া করেন র‍্যাশফোর্ড। ড্যানিয়েল জেমসের ডানদিক থেকে করা ক্রস দূরের পোস্টে খুঁজে পেয়েছিল র‍্যাশফোর্ডকে। তিনি ছিলেন একেবারে ফাঁকায়। তার সামনেও গোলের রাস্তা ছিল ফাঁকা। সেখান থেকে ডান পায়ে র‍্যাশফোর্ড শট মেরেছেন বাইরে দিয়ে।

    ব্রাইটনের বিপক্ষে মার্শিয়াল গোল না পেলেও আলো ছড়িয়েছেন। দারুণ একটি একক প্রচেষ্টার গোল পেয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু ব্রাইটন গোলরক্ষক ম্যাট রায়ানের কাছে আটকে গেছেন তিনি। ম্যাট রায়ান আটকে দিয়েছেন জেমস আর ফ্রেডের শটও। তাই জয়ের ব্যবধান বড় হয়নি ইউনাইটেডের। আর ওল্ড ট্রাফোর্ডে কখনই জিততে না পারা ব্রাইটনের গল্পটাও থেকে গেছে পুরনো। 

    অবশ্য শেষটা স্বস্তির হয়নি সোলশারের। ম্যাকটমিনে বেকায়দায় পড়ে মাঠ ছেড়েছেন স্ট্রেচারে। তার চোট কতোখানি ভয়াবহ সেটা অবশ্য জানা যায়নি।