• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    তাইবুর-শুভর সেঞ্চুরি, হালিমের ৫ উইকেট

    তাইবুর-শুভর সেঞ্চুরি, হালিমের ৫ উইকেট    

    ১ম স্তর, খুলনা
    খুলনা ১ম ইনিংস ২৭৩/৭* (তাইবুর ১১০, হালিম ৫/২৭) বনাম ঢাকা 


    পুরো স্কোরকার্ড


     

    ‘অলিখিত’ ফাইনালের প্রথম দিনে তাইবুর রহমানের সেঞ্চুরি ও আব্দুল হালিমের ৫ উইকেটে প্রায় সমানে সমান অবস্থায় ঢাকা ও খুলনা। খুলনায় তাইবুর রহমানের ১১০ ও আব্দুল মজিদের ৬৬ রানের সঙ্গে শুভাগত হোমের অপরাজিত ৫৬ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ঢাকা তুলেছে ২৭৩ রান। ২৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে খুলনাকে লড়াইয়ে রেখেছেন তরুণ পেসার আব্দুল হালিম। 

    টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া খুলনা হালিমের তোপে শুরুতেই চেপে ধরেছিল ঢাকাকে, ২ রানে ২ উইকেটের পর ৪৭ রানে তারা হারিয়েছিল ৩ উইকেট। উত্তম সরকার ও শফিউল হায়াতের উইকেট নিয়েছেন হালিম, জিয়াউর রহমানের বলে ফিরেছেন রকিবুল। 

    অবশ্য মজিদের সঙ্গে রকিবুল চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ক্রিজে থেকে। রকিবুল ফিরলেও চতুর্থ উইকেটে মজিদের সঙ্গে তাইবুর গড়েছেন ১২৯ রানের জুটি। ৩ উইকেটে ৫৬ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া ঢাকা চা-বিরতিতে গিয়েছিল ১৬৯ রান নিয়ে, আর কোনও উইকেট না হারিয়ে। 

    বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই ৬৬ রান করা মজিদকে বোল্ড করে সে জুটি ভেঙেছেন হালিম। তাইবুরের সঙ্গে এরপর যোগ দিয়েছেন শুভাগত, উঠেছে আরও ৭৪ রান। হালিম এবার করেছেন জোড়া আঘাত- ৮২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড সেঞ্চুরিয়ান তাইবুর, শেষ বলে গিয়ে এলবিডব্লিউ আরাফাত সানি। পরের উইকেটটি দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট হয়ে গেছে হালিমের, এখন পর্যন্ত তিনি খরচ করেছেন ২৭ রান। 

    ৬৮ বলে ফিফটি করা তাইবুর পরের ধাপে একটু ধীরগতিতে খেলেছেন, সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ১৭৬ বলে। ইনিংসে ৭ চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ৩টি ছয়। তাইবুর-সানির পর মাহবুবুল আলমও ফিরেছেন দ্রুতই, এরপর দিনের বাকিটা সময় নাজমুল ইসলামকে নিয়ে নিরাপদে পার করেছেন শুভাগত হোম, যিনি অপরাজিত ৫৬ রানে। 

    ****

    ১ম স্তর, রাজশাহী 
    রংপুর ১ম ইনিংস ২৬৩/৮* (শুভ ১০৫, আরিফুল ৫৭, দেলোয়ার ৪/৫৫, মোহর ৩/৫৩) বনাম রাজশাহী 


    প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচের মতো রাজশাহীতে ‘উত্তরের লড়াইয়ের’ প্রথম দিনশেষেও অবস্থা প্রায় একই। সোহরাওয়ার্দি শুভর সেঞ্চুরির সঙ্গে আরিফুল হকের ৫৭ ও নাঈম ইসলামের ৪০ রানে রংপুর তুলেছে ২৬৩ রান, দেলোয়ার হোসেনের ৪ ও মোহর শেখের ৩ উইকেটসহ রাজশাহী নিয়েছে ৮ উইকেট। 

    এখানেও টসে জিতে শুরুতে আঘাত করেছিল রাজশাহী, ১১ রানে ফিরেছিলেন রংপুরের দুই ওপেনার মেহেদি মারুফ ও জাহিদ জাভেদ। শুভ ও নাঈমের তৃতীয় উইকেট জুটিতে উঠেছে ৭৬ রান, এরপর আবার ৭ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়েছে তারা। 

    শুভ ও আরিফুল মিলে ৫ম উইকেটে যোগ করেছেন ১১১ রান। এরপর আর সেভাবে বড় হয়নি জুটি। শুভ শেষ পর্যন্ত করেছেন ২১৭ বলে ১৫ চারে ১০৫ রান। ২০৯ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন তিনি। 

    দিনশেষে তানভীর হায়দারের সঙ্গে ব্যাটিং করছেন রিশাদ। রাজশাহীর দেলোয়ার ৪ উইকেট নিয়েছেন ৫৫ রানে, মোহর শেখ ৩ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৫৩ রান। শেষদিকে আলাউদ্দিন বাবু হয়েছেন রান-আউট।