• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    নেইমার ফিরলেন পিএসজির হয়ে, ডর্টমুন্ড ফিরল তিন গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচে

    নেইমার ফিরলেন পিএসজির হয়ে, ডর্টমুন্ড ফিরল তিন গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচে    

    লিগ আঁ-তে নেইমারের ফেরার ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে লিলকে হারিয়েছে পিএসজি।  গোল করেছেন মাউরো ইকার্দি ও অ্যানহেল ডি মারিয়া। বুন্দেসলিগায় অবশ্য জয় পাওয়া হয়নি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল পেডারবোর্নের কাছে ৩-০ ব্যবধানে ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়ার পর শেষ পর্যন্ত দারুণ এক প্রত্যাবর্তনে ৩-৩ এ ম্যাচ ড্র করেছে মার্কো রয়েসের দল। 

    অক্টোবর ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের সময় ইনজুরিতে পড়েছিলেন নেইমার। পিএসজির জার্সিতে এই মৌসুমে মাত্র ৬ ম্যাচ খেলেছিলেন ব্রাজিলিয়ান। এক মাসেরও বেশি সময় পর ঘরের মাঠে লিলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।

    মৌসুমে প্রথমবারের মতো দলের ৫ ফরোয়ার্ডকেই ফিট পেয়েছিলেন থমাস তুখল। লিগে শেষ ৬ ম্যাচের ৫টিতেই জেতা পিএসজির প্রতিপক্ষ লিল একই সময়ে জিতেছিল মাত্র একটি ম্যাচ। শুরুতেই কেইলর নাভাসকে দিয়ে ভালো একটি সেভ করালেও প্রথমবার ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পর লিল আর সেভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারেনি।

    ১৭ মিনিটে ইদ্রিসা গায়ার ডানদিক থেকে করা দারুণ একটি ক্রস থেকে সহজ ফিনিশে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ইকার্দি। অক্টোবরের ১ তারিখে পিএসজির হয়ে প্রথম গোল পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার, লিলের বিপক্ষে তিনি পূরণ করে ফেলেছেন ১০ গোলের মাইলফলকও। তাও মাত্র এগারো ম্যাচে।

    ৩১ মিনিটে হুলিয়ান ড্রাক্সলারের পাস থেকে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করে ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন ডি মারিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে এই জুটিই তৃতীয় গোলটি প্রায় পাইয়ে দিয়েছিল পিএসজিকে। কিন্তু ড্রাক্সলার ডি মারিয়ার কাছ থেকে পাস পেয়ে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন। 

    নেইমার মাঠে ছিলেন ৬৫ মিনিট পর্যন্ত। গোলের তেমন সুযোগ না পেলেও নিজের স্বভাবসুলভ ফুটবল খেলার চেষ্টা করে গেছেন তিনি। কিলিয়ান এমবাপ্পের বদলি হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। পরে এডিনসন কাভানিও নেমেছিলেন, তবে তিনিও ভালো একটি সুযোগ হাতছাড়া করলে আর জয়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়নি পিএসজির। তবে লিগে শীর্ষ স্থানে ব্যবধান বাড়ানোর কাজ হয়ে গেছে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নদের। শীর্ষস্থানে এখন ১১ পয়েন্টের লিডে আছে থমাস তুখলের দল।

    তুখলের সাবেক ক্লাব ডর্টমুন্ড বড়সড় একটি আপসেটের হাত থেকে বেঁচে গেছে। বুন্দেসলিগায় নতুন আসা পেডেরবোর্ন প্রথম ৪৩ মিনিটের ৩-০ গোলের লিড নিয়েছিল সিগন্যাল ইদুনা পার্কে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জেডন সানচো এক গোল শোধ করে ডর্টমুন্ডের ফিরে আসার লড়াই শুরু করেছিলেন। ৮৪ মিনিটে অ্যাক্সেল উইটসেল দ্বিতীয় গোল করার পর ডর্টমুন্ডের খালি হাতি ফেরার সম্ভবা কমে আসে আরও। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সানচোর ক্রস থেকে গোল করে রয়েস পরে বাঁচিয়েছেন দলকে। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে উড়ে যাওয়ার পর তাই টানা দ্বিতীয় হারের হাত থেকে বেঁচেছে ডর্টমুন্ড। ২০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে তারা, আর তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের পয়েন্ট ২৫।