• ইংল্যান্ডের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    স্যান্টনার-ওয়াটলিংয়ের দিনে বে ওভালে ইংল্যান্ডের অশনী সংকেত

    স্যান্টনার-ওয়াটলিংয়ের দিনে বে ওভালে ইংল্যান্ডের অশনী সংকেত    

    মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট

    চতুর্থ দিন শেষে

    ইংল্যান্ড ৩৫৩ ও ২৭.৪ ওভারে ৫৫/৩

    নিউজিল্যান্ড ৬১৫/৯ ডিক্লে (ওয়াটলিং ২০৫, স্যান্টনার ১২৬)


    শেষ ঘন্টায় হঠাৎ করেই যেন আরও বেশি গমগমে হয়ে উঠল বে ওভাল। বাজনা বাজছে আরও জোরে, এর মধ্যে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেছেন মিচেল স্যান্টনার। শেষ ওভারেও উইকেট হারাল ইংল্যান্ড, এই টেস্ট বাঁচাতে এখন তাদের করতে হবে অনেক কিছু। তবে তার আগে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছিলেন ওয়াটলিং- স্যান্টনার।

    বে ওভালের এখন যে অবস্থা, সম্ভাবনা আছে দুইটি ফলের। ইংল্যান্ডের হার বা ড্র। পরেরটির জন্য কাল সারাদিন ব্যাট করতে হবে রুটদের, হাতে আছে ৭ উইকেট। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই করতে হবে আরও ২০৭ রান। আজ যে ৩ উইকেট গেল, তার প্রতিটির জন্য নিজেদের দায়ই নিতে হবে ইংলিশদের।

    ডম সিবলির কথা ধরুন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্যান্টনারের বলটা ছেড়ে দিলেই পারতেন। কিন্তু অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলটা ক্যাচ দিয়ে এলেন উইকেটের পেছনে। ধরলেন ওয়াটলিং, ব্যাটিংয়ের মতো এখানেও স্যান্টনারের সাথে যুগলবন্দি। ররি বার্নস ভালোই খেলছিলেন, ৩১ রান করে ফেলেছিলেন। পেসাররা খুব বেশি সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না তাকে। কিন্তু স্যান্টনারের বলে নিজের উইকেট দিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন, সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন ডি গ্র্যান্ডোমকে।

    তবে জ্যাক লিচের আউট ছাড়িয়ে গেছে সবকিছু। দিনের শেষ ওভারে ডেনলি কেন তাকে স্ট্রাইক দিলেন, সেই প্রশ্ন আসবে আগে। যাই হোক, লিচ স্যান্টনারের বলটা সামলাতে পারলেন না, শর্ট লেগ থেকে ঝাঁপ দিয়ে দুর্দান্ত একটা ক্যাচ নিলেন ল্যাথাম। লিচ ভাবলেন রিভিউয়ের কথা, নিলেন না। অথচ রিপ্লেতে দেখা গেল, বল তার ব্যাট বা গ্লাভস কোথাও লাগেনি। ইংল্যান্ড যে মানসিকভাবে চাপে, সেটাও পরিষ্কার হয়ে গেল।

    স্যান্টনারের তিন উইকেটে স্বপ্নের মতো দিনই কেটেছে তার। টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি, সঙ্গে এমন বোলিং- এই দিনটা কোনো দিনই ভুলতে পারবেন না। ভুলবেন না ওয়াটলিংও, নিউজিল্যান্ডের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান যে আজ টেস্টে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন।

    স্যান্টনার আর ওয়াটলিং আজ দিন শুরু করেছিলেন ৩৯৪ রানে। সকালের সেশনে কোনো উইকেট হারাতে দেননি দুজন,। বে ওভালের উইকেট আরও যেন মন্তর হয়ে আসছিল। প্রথম সেশনে তাই ৬২ রান তোলেন দুজন। এর মধ্যেই ফিফটি পেয়ে গেছেন স্যান্টনার, এরপরেই একটু শট খেলতে শুরু করেন। ওয়াটলিংও রানের গতিটা একটু বাড়ান। পরের সেশনে তাই রান উঠতে থাকে দ্রুত। স্যান্টনার পরের ফিফটির জন্য খেলেন মাত্র ৮২ রান, পেয়ে যান নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। এর মধ্যে চারটি ছয়ও হয়ে গেছে তার। ওয়াটলিং ড্যাডি সেঞ্চুরি পেয়ে গিয়েছিলেন আগেই, নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিও পেয়ে গেছেন। শেষ পর্যন্ত স্যান্টনারকে ১২৬ রানে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছেন কারান, এরপর ওয়াটলিং ফিরেছেন ২০৫ রানে। ৬১৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে ওয়াটলিং-স্যান্টনার সপ্তম উইকেটে যোগ করেছেন ২৬১ রান, নিউজিল্যান্ডের হয়ে যা সর্বোচ্চ।