• অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    বাবর-রিজওয়ানের ঝলকের পরও ইনিংস ব্যবধানেই হেরে গেল পাকিস্তান

    বাবর-রিজওয়ানের ঝলকের পরও ইনিংস ব্যবধানেই হেরে গেল পাকিস্তান    

    ব্রিসবেন টেস্ট

    পাকিস্তান ২৪০ ও ৮৪.২ ওভারে ৩৩৫ অলআউট

    অস্ট্রেলিয়া ৫৮০

    ফলঃ অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ৫ রানে জয়ী


     

    চার দিনেই হেরে গেল পাকিস্তান। হারটা অবশ্য প্রত্যাশিতই ছিল, চার দিনে হওয়াটা কোনো বিস্ময় হয়ে আসেনি। তবে কাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া যত সহজ ভেবেছিল তত সহজ হয়নি কাজ। বাবর আজম আজ দেখিয়েছেন, কেন তাকে ইউনুস, মিসবাহদের উত্তরসূরি মনে করা হয়। সেঞ্চুরি পেতে পেতেও পাননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে এত কিছু করেও শেষ পর্যন্ত ইনিংস পরাজয় ঠেকাতে পারেনি পাকিস্তান। গ্যাবার ফ্ল্যাট উইকেটে দারুণ বোলিং করে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দিয়েছেন হ্যাজলউডরা।

    শান মাসুদ আর বাবর মিলে দিন শুরু করেছিলেন আজ। প্রথম ঘন্টায় শান আর বাবর কোনো বিপদ হতে দেননি। কিন্তু কামিন্সকে হুক করে গিয়েই গড়বড় করে ফেলেন মাসুদ, ৪২ রান করে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ইফতেখার আহমদের প্রথম ইনিংসের দুঃস্বপ্নটা কাটেনি এবারও। দারুণ এক বলে তাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন হ্যাজলউড, কোনো রান না করেই ফিরে গেছেন ইফতেখার। ৯৪ রানে ৫ উইকেট নেই পাকিস্তানের, খেলা চা বিরতি পর্যন্ত যাবে কি না সেটি নিয়েই প্রশ্ন। ইনিংস পরাজয় এড়াতে তখনও দরকার ২৪৬ রান।

    এরপর বাবর আর রিজওয়ান যেভাবে ব্যাট করছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার আবার ব্যাট করাটা সম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল। বাবর খেলছিলেন দারুণ, ফিফটি পেয়েছিলেন ৯২ বলে। রিভিউ নিয়েও তাকে আউট করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া, দুজনের ষষ্ঠ উইকেটে ১০০ রান উঠল মাত্র ১৫৬ বলে। বাবর পেয়ে গেলেন টেস্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, উদযাপনটাই বলে দিচ্ছিল সাদা পোশাকে একটা সেঞ্চুরি কত প্রার্থিত ছিল তার কাছে। কিন্তু এর পরেই হারিয়ে ফেললেন মনযোগ, লায়নের বলে ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। ১০৪ রানে ফিরলেন বাবর, ভাঙল রিজওয়ানের সাথে ১৩২ রানের জুটি।

    পাকিস্তান অবশ্য হাল ছাড়েনি এরপরও। রিজওয়ান আর ইয়াসির শাহ মিলে চালিয়ে যাচ্ছিলেন লড়াই। রিজওয়ান প্রথম ইনিংসের দুর্ভাগ্যটা এবার পুষিয়ে দেবেন বলেই মনে হচ্ছিল, সেঞ্চুরির কাছাকাছিও চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরেই হ্যাজলউডের শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে এলেন থার্ড ম্যানে। পাঁচ রানের জন্য পাওয়া হলো না সেঞ্চুরি। ৭৯ রানের জুটিটা ভাঙার পরেই পাকিস্তানের পরাজয় হয়ে গেল সময়ের ব্যাপার। ইয়াসির শাহ ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৪২ রান করে আউট হয়ে গেলেন। শাহীন শাহ আফ্রিদি আর ইমরান খানরা শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে আর ব্যাট করাতে পারলেন না।

    অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪ উইকেট নিয়ে হ্যাজলউডই ছিলেন সফলতম বোলার। স্টার্ক নিয়েছেন তিন উইকেট, কামিন্স দুইটি। তবে প্রথম ইনিংসের দুর্দান্ত ১৮৫ রানের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে ল্যাবুশেনের হাতেই।