• ইউরোপা লিগ
  • " />

     

    আস্তানায় নাস্তানাবুদ ইউনাইটেড, হেরে গেল ২৭ বছরে সবচেয়ে হতাশাজনক আর্সেনালও

    আস্তানায় নাস্তানাবুদ ইউনাইটেড, হেরে গেল ২৭ বছরে সবচেয়ে হতাশাজনক আর্সেনালও    

    ফুল-টাইম
    আস্তানা ২-১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

    আর্সেনাল ১-২ আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট


    এই মৌসুমে ‘অ্যাওয়ে’ ম্যাচে লিড হারানোকে যেন রুটিনই বানিয়ে ফেলেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গত সপ্তাহে শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোল হজমে ড্র নিয়েই সন্তষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের। প্রতিপক্ষের মাঠে আবারও লিড হারিয়ে কপাল পুড়ল ইউনাইটেডের, এবার হেরেই গেল তারা। ইউরোপা লিগে ‘এল’ গ্রুপে কাজাখস্তানের ক্লাব আস্তানার কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ‘রেড ডেভিল’রা। ইউনাইটেডের মত হেরে গেছে আর্সেনালও, ‘এফ’ গ্রুপে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে এমিরেটসে একই ব্যবধানে হেরেছে তারা।

    আস্তানার কাছে হার নিয়ে হয়তো খুব একটা চিন্তিত হবেন না ইউনাইটেড ম্যানেজার ওলে গানার সোলশার। ইউরোপা লিগের শেষ ৩২-এ আগেই পা দিয়েছিল ইউনাইটেড। সেজন্য আস্তানার বিপক্ষে একাডেমির তরুণদের নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন সোলশার। ইউনাইটেডের মূল দলে ব্রাত্য জেসি লিনগার্ড ছিলেন অধিনায়ক। বের্নার্দ, গার্নার, লেভিট, চংদের নিয়ে সাজানো ইউনাইটেডকে লিড এনে দিয়েছিলেন তিনিই। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা লুক শ’র পাস থেকে ১০ মাস ইউনাইটেডের জার্সিতে নিজের প্রথম গোল করেন লিনগার্ড।

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ব্যবধান দ্বিগুণের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন চং, কিন্তু গোলের সামনে থেকেও বল বাইরে মেরেছেন তিনি। এতেই কপাল পুড়ে ‘রেড ডেভিল’দের, মিনিটখানেক পরই শোমকোর গোলে সমতায় ফেরে আস্তানা। ৬২ মিনিটে লিড নেয় আস্তানা, শোমকোর শট ক্লিয়ার করতে যেয়ে বল নিজেদের জালে ঠেলে দেন বের্নার্দ। শেষ পর্যন্ত হারের তেতো স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ইউনাইটেডকে।

    ইউনাইটেডের মত সময়টা ভাল যাচ্ছে না আর্সেনালেরও। এমিরেটসে ফ্রাঙ্কফুর্টের সাথে ম্যাচে ‘গানার’ সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য, হুট করে দেখলে হয়তো আর্সেনালের বয়সভিত্তিক দলের ম্যাচও ভেবে বসতে পারেন আপনি। পুরো ম্যাচেই দুয়ো শুনতে হয়েছে আর্সেনাল ম্যানেজার উনাই এমেরিকে। তবে মাঠের খেলায় এগিয়ে ছিল আর্সেনালই। স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলির দুটি শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে না দিলে প্রথমার্ধের বড় ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত এমেরির দল। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াংয়ের গোলে লিড নেয় তারাই।

     

     

    তবে লিড নেওয়ার স্বস্তি খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি আর্সেনালের। ৫৫ মিনিটে দুর্দান্ত বাঁকানো শটে দলকে সমতায় ফেরান কামাডা। মিনিট দশেক পর কর্নার থেকে আর্সেনালের দূর্বল ডিফেন্ডিংয়ের সুযোগে দলকে লিড এনে দেন তিনিই। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফেরা হয়নি আর্সেনালের। শেষ ৭ ম্যাচে জয়হীন থাকল তারা, ১৯৯২-এর পর কোনো মৌসুমে সবচেয়ে বাজে শুরু করল তারা।

    ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষেই আছে তারা, ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ফ্রাঙ্কফুর্ট। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন-এ আছে স্ট্যান্ডার্ড লিয়েজ, শেষ ম্যাচে তাদের মাঠেই খেলবে আর্সেনাল। ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং লিয়েজ জিতে গেলে হয়তো গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হতে পারে এমেরির দলকে, বিদায়ঘণ্টা হয়তো বেজে যেতে পারে এমেরির নিজেরও।