• ইংল্যান্ডের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    বৃষ্টির আগে ল্যাথামের সেঞ্চুরি আর ইংল্যান্ডের হতাশা

    বৃষ্টির আগে ল্যাথামের সেঞ্চুরি আর ইংল্যান্ডের হতাশা    

    ২য় টেস্ট, ১ম দিন, স্টাম্পস
    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস ১৭৩/৩* (ল্যাথাম ১০১*, টেইলর ৫৩, ওকস ২/৪১)


    হ্যামিল্টনে ইংল্যান্ডের সমস্যা মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের চেয়ে কমেনি, বেড়েছেই শুরু। টম ল্যাথামের ১০ ইনিংসের মাঝে ৫ম সেঞ্চুরি ও রস টেইলরের ফিফটিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনের যতখানি খেলা হয়েছে, তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন থেকে আগে শুরু হবে খেলা, প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড কতো করে থামবে, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা থাকার কথা ইংল্যান্ডের। 

    উইকেটে ঘাস দেখে জ্যাক লিচের বদলে ক্রিস ওকসকে দলে ডেকে 'অল-আউট' পেস আক্রমণ নিয়ে নামা ইংল্যান্ড নেমেছিল ফিল্ডিংয়ে। ৭ম ওভারে ব্রেকথ্রু দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড, তার রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলে পা-টা না নড়িয়েই খোঁচা মেরে ফিরেছিলেন জিট রাভাল। ততক্ষণ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডই চাপে ছিল কিছুটা। 

    সে চাপ বাড়িয়ে দিলেন ওকস। সিমে পড়ে হালকা মুভমেন্টের বলটা ছুঁয়ে গেল কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট, ওকস পেলেন ইনিংসে নিজের প্রথম উইকেট, রুট নিলেন দ্বিতীয় ক্যাচ। তবে এরপর ইংল্যান্ডকে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের স্মৃতির কিছুটা ফিরিয়ে দিল নিউজিল্যান্ড, ল্যাথামের সঙ্গে রস টেইলর এসে যোগ দেওয়ার পর। 
     


    লাঞ্চের আগে-পরে দুজন মিলে তুললেন ১১৬ রান, ব্যাটিং করলেন প্রায় ৩৪ ওভার। ৯৯ বলে ৮ চারে ফিফটি করার পরের বলেই ওকস-রুট জুটির শিকার হলেন তিনি, তবে ল্যাথামের সঙ্গে তার জুটিটা ম্যাচের প্রেক্ষিতে হয়ে যেতে পারে শেষ পর্যন্ত দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। 

    ওপাশে ল্যাথাম অবশ্য অপরাজিত আছেন ঠিকই। প্রথমে নিজে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন, এরপর ইংল্যান্ড তার বিপক্ষে রিভিউ নিলেও সফল হয়নি। ৮৭ বলে ফিফটি পূরণ করার পর সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১৫৯ বলে, অপরাজিত আছেন ১৬৪ বলে ১০১ রানে। ১৫টি চার মেরেছেন, ল্যাথাম হ্যামিল্টনে প্রথম দিনটা করে নিয়েছেন নিজের। এ ইনিংস দিয়ে তার শেষ ১০ ইনিংসের রূপ এমন- ১০১*, ৮, ১৫৪, ৪৫, ৩০, ৪, ১৬১, ১৭৬, ১০, ২৬৪*। শেষ সেশনে ৩ বল হওয়ার পর জমতে থাকা মেঘ থেকে নেমেছে ঝুম বৃষ্টি, যেটি শেষ পর্যন্ত আর শুরুতে হতে দেয়নি খেলা। 

    এর আগে স্বীকৃত স্পিনার ছাড়া খেলতে নামা ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয়েছিল কেন্ট ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্রলির। জস বাটলার চোটে পড়ে এ টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, অতিরিক্ত উইকেটকিপার ছাড়াই এ সিরিজ খেলতে আসা ইংল্যান্ডের গ্লাভস তুলে নিতে হয়েছে এর আগে ৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে উইকেটকিপিং করা ওলি পোপকে। সঙ্গে এ দিনে আছে কিছু প্রশ্ন, যেগুলো ইংল্যান্ডকে ঠেলে দিতে পারে আরও অনিশ্চয়তার দিকে- এ উইকেটে স্পিনার ছাড়া নামা ঠিক হলো কিনা, বেন স্টোকসের হাঁটুর চোট কতোখানি ভোগাবে তাদের (৪৪তম ওভারে আসার পর মাত্র ২ ওভার করেছেন তিনি), রিজার্ভ উইকেটকিপার ছাড়াই আসার সিদ্ধান্তটা কতোখানি যুক্তিসম্পন্ন- এসব। 

    তবে সব ছাপিয়ে বড় হয়ে দাঁড়াতে পারে আরেকটি প্রশ্ন- বে ওভালের মতো সেডন পার্কেও কি ইংল্যান্ডকে নিয়ে খেলতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড?