হ্যামিল্টনে ব্রড-ওকসের আঘাতের পরও এগিয়ে নিউজিল্যান্ড
হ্যামিল্টন টেস্ট
দ্বিতীয় দিন শেষে
নিউজিল্যান্ড ১২৯.১ ওভারে ৩৭৫ অলআউট
ইংল্যান্ড ১৮ ওভারে ৩৯/২
বৃষ্টি হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম দিনের অনেকটুকু কেড়ে নিয়েছিল। তবে নিজেদের দাপট প্রথম দিনেই জানান দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনে অবশ্য ইংল্যান্ড একটু ঘুরে দাঁড়াল, মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের মতো এবার বড় কিছু করতে দেয়নি কিউইদের। তারপরও দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডই এগিয়ে থাকবে একটু হলেও।
আগের দিনের সেঞ্চুরির পর আজ সকালে বড় একটা ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। টম ল্যাথাম সেঞ্চুরি পেয়ে গিয়েছিলেন প্রথম দিনেই, আজ কালকের সঙ্গে ৪ রান করে যোগ করেই আউট হয়ে গেছে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে। অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা ছেড়ে দিতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। হেনরি নিকোলস ফিরে গেছেন ১৬ রান করে, ১৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড কিছুটা ব্যাকফুটে।
প্রথম টেস্টে এরকম একটা পরিস্থিতি থেকেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন বিজে ওয়াটলিং। সেবার কলিন ডি গ্র্যান্ডমকে পেয়েছিলেন, আজ পেলেন ড্যারিল মিচেলকে। দুজন পঞ্চম উইকেটে যোগ করলেন ১২৪ রান। তবে ওয়াটলিং আগের দিনের মতো কিছু করতে পারলেন না। এবার ৫৫ রান করে ব্রডের বলে ক্যাচ দিলেন গালিতে। তবে ৫৫ রান করতে খেলেছেন ১৯২ বল। মিচেল তুলনামূলক আগ্রাসী ছিলেন, ৭৩ রানও করে ফেলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকেও ফেরালেন ব্রড।
স্যান্টনার অবশ্য আগের ম্যাচের সেঞ্চুরির মতো আজ কিছু করতে পারলেন না। দুইটি ছয় মেরেছিলেন বটে, কিন্তু আর্চারকে পুল করতে গিয়ে ২৩ রান করে ক্যাচ দিলেন স্ক্যয়ার লেগে। সাউদি দ্রুত ১৮ রান করে ওকসের বলে ক্যাচ দিলেন। আর ওয়াগরনারকে প্রথম বলে আউট করে লেজটা ছেঁটে দিয়েছেন কারান। ৩৭৫ রানে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড, তবে সেজন্য খেলেছে ১২৯ ওভার।
নতুন বলে ইংলিশ বোলারদের চেয়ে মুভমেন্ট পাচ্ছিলেন সাউদি আর ম্যাট হেনরি। প্রথম ধাক্কাটা দিলেন সাউদি, ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এলবিডব্লু হয়ে ৪ রানে ফিরলেন ডম সিবলি। এরপর হেনরির পালা, ডেনলিকে ৪ রানে ক্যাচ বানালেন উইকেটের পেছনে। ইংল্যান্ডের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত, যদি বার্নস দুইবার জীবন না পেতেন। স্লিপে রস তেলর আর জিট রাভাল সুযোগ নিতে পারেননি, দুই উইকেট হারিয়েই শেষ পর্যন্ত দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। তবে রুট-বার্নসদের কাজ বাকি অনেকটাই।