• অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    রেকর্ড ভাঙার জন্য ওয়ার্নারকে ৩ মিনিট 'বেশি' সময় দিয়েছিলেন পেইন

    রেকর্ড ভাঙার জন্য ওয়ার্নারকে ৩ মিনিট 'বেশি' সময় দিয়েছিলেন পেইন    

    ‘রেকর্ড ভাঙার’ জন্য ‘নির্ধারিত’ সময়ের চেয়ে ৩ মিনিট অতিরিক্ত ডেভিড ওয়ার্নারকে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক টিম পেইন। তবে সে রেকর্ড শুধুই স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ৩৩৪ রান টপকে যাওয়ার। ম্যাথু হেইডেনের ৩৮০ রানের অস্ট্রলিয়ান রেকর্ড বা ব্রায়ান লারার ৪০০ রানের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার কথা মাথাতেই ছিল না ওয়ার্নারের, ম্যাচশেষে জানিয়েছেন এই ওপেনার। 

    ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষেই মার্ক টেইলর ৩৩৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছিলেন, পরদিন আর নামেননি। মাইকেল ক্লার্ক ভারতের বিপক্ষে ৩২৯ রানে অপরাজিত থেকে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ইনিংস। দুজনের সামনেই সুযোগ ছিল ব্র্যাডম্যানের ৩৩৪ রানের রেকর্ড টপকে যাওয়ার। অবশ্য টেইলরের পর ক্লার্কের আগে সে রেকর্ড শুধু নয়, তখনকার বিশ্ব রেকর্ড ব্রায়ান লারার ৩৭৫ টপকে গিয়ে হেইডেন করেছিলেন ৩৮০ রান। হেইডেনের সে রেকর্ড ভেঙে লারা করেছিলেন ৪০০ রান। অ্যাডিলেড ওভালে ডেভিড ওয়ার্নারের সামনে সুযোগ ছিল সবাইকেই টপকে যাওয়ার, অন্তত তার ব্যাটিংয়ের ধরনে মনে হচ্ছিল তেমনই। 

    তবে ওয়ার্নারদের মাথায় ছিল শুধু ম্যাচের পরিস্থিতি ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস, “মোটেই তেমন কিছু মনে হয় না আমার। আগামীকালের আবহাওয়ার দিকে চেয়ে আমরা নিজেদের অনেক সময় দিতে চেয়েছি। আমরা যাতে আজকে যতো ওভার পেলাম বোলিংয়ের, তেমন পাই, কয়েকটি উইকেট পাই- ভাবনা ছিল এমনই। আমরা ছয় উইকেট নিতে পেরেছি। আর কাল যদি বৃষ্টি হয় একটু, বোলাররা ভাল একটু বিশ্রাম পায়, তাহলে পরের দুই দিনে ১৪ উইকেট নিতে হবে শুধু। আমাদের মাথায় রেকর্ড বা এ ধরনের কিছু ছিল না মোটেও।” 

    ইনিংস ঘোষণা নিয়ে পেইনের মনোভাব ওয়ার্নার প্রথম শুনতে চেয়েছিলেন স্মিথের কাছে, “ব্যাটিংয়ের সময় আমি স্মিথিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। বলেছিলাম, আমরা আজ কতো ওভার বোলিং করব, এবং এটা ঠিকঠাক ছিল (ওভারের সংখ্যা)। এরপর চা-বিরতিতে এসে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কখন ইনিংস ঘোষণা করব। তখন তারা বলেছে ৫.৪০-এর কথা।”

    ওয়ার্নার সে বিরতিতে গিয়েছিলেন ২৬১ রান নিয়ে। ব্যাটিংয়ে ফিরে ঘড়ির দিকেই নজর ছিল তার, “আমি শুধু জিজ্ঞাসা করছিলাম, কটা বাজে। ৫টা, ৫টা ১০। বার্তাটা আগের মতোই আছে কিনা, সেটাও জিজ্ঞাসা করছিলাম, এবং সেটা তাই ছিল। আমার মনে হয় শেষ ওভারের ঠিক আগে ৫.৪০ পেরিয়ে গিয়েছিল। তবে পেইনি চেয়েছিল আমি যাতে ৩৩৪ পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।”  

    ওয়ার্নার অবশ্যই জানতেন ব্র্যাডম্যানসহ অন্যদের ইনিংসের কথা, “অবশ্যই আমি ইতিহাস জানতাম। এসব মাইলফলকের কথা শুনেই তো বড় হয়েছি। আপনি সবসময়ই ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের কথা আলোচনা করবেন। আমার মনে আছে, যখন মাইকেল ক্লার্ক ৩২৯ রানে এসসিজিতে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। এসব ইনিংস দেখে মনে হতো, “কীভাবে করে- এ তো অনেক সময় ক্রিজে থাকতে হয়। ক্রিজে আমি এতক্ষণ থেকে এটা করেছি, তবে অনেক ধৈর্য্য লেগেছে। আমি নিজেই বিস্মিত হয়ে গেছি!” 

    ওয়ার্নার শেষ পর্যন্ত ছুঁয়েছেন মাইলফলক। ইফতিখারের ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৫ রানে পৌঁছে গেছেন তিনি। অ্যাডিলেডের ঘড়িতে তখন ৫.৪৩, পেইন যে সময় ইনিংস ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন তার চেয়ে ৩ মিনিট বেশি।