লায়নের ঘূর্ণিতে অ্যাডিলেডেও ইনিংস ব্যবধানে হার পাকিস্তানের
অস্ট্রেলয়া ৫৮৯/৩
পাকিস্তান ৩০২ ও ২৩৯ অলআউট
ফলঃ অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ৪৮ রানে জয়ী
বাবর আজম পারেননি কাল। ইয়াসির শাহও দেখালেন, রূপকথা প্রতিদিন হয় না। শান মাসুদ, আসাদ শফিকরা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। অ্যাডিলেডে শেষ পর্যন্ত তাই ব্রিসবেনেরই পুনরাবৃত্তি, চেষ্টা করেও ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারেনি পাকিস্তান। চতুর্থ দিনের মধ্যেই জিতে গেছে অস্ট্রেলিয়া, সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের সঙ্গে ব্যবধানও কমিয়েছে একটু।
পাকিস্তানের পরাজয়ে একরকম ছিল সময়ের ব্যাপার। কাল ফলো অনে নেমেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল তারা। দিবারাত্রির টেস্টে সকালের সেশনটা বেশ ব্যাটিং বান্ধব থাকে, আজও তা দেখা গেল। শান মাসুদ ও আসাদ শফিক মিলে সকালে ভালোই খেলছিলেন। স্টার্কের পর পর পর দুই চারে আগ্রাসনের আভাস দিলেন মাসুদ, লায়নকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারলেন ছয়। দুজনের জুটিতে ১০০ রানও উঠে গিয়েছিল। এর পরে মনযোগ নড়ে গেল শানের, ৬৮ রানে লায়নকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে এলেন মিড অফে। আসাদ শফিক ফিফটি পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাকেও পরিকল্পনা করে আউট করলেন লায়ন। বাড়তি লাফিয়ে ওঠা বলটা খেলতে গিয়ে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিলেন শফিক, আউট হয়ে গেলেন ৫৭ রান করে। ১৫৪ রানে তখন ৫ উইকেট নেই পাকিস্তানের। আর কোনো উইকেট না হারিয়েই লাঞ্চে গেল তারা।
ইফতিখার ও মোহাম্মদ রিজওয়ান কিছুক্ষণ লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। ২০ ওভারের মতো লড়াই চালিয়েছিলেনও দুজন। এরপরেই ইফতিখার ক্যাচ তুলে দিলেন শর্ট লেগে, এই টেস্টে অবশেষে একটা ক্যাচ নিতে পারতেন ল্যাবুশেইন। ইয়াসির প্রথম ইনিংসের মতো কিছু করতে পারলেন না, ১৩ রান করে লায়নের বলে হয়ে গেলেন এলবিডব্লু। এরপর শাহীন শাহ আফ্রিদিকে আউট করে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন লায়ন, পাকিস্তানের বিপক্ষে পেলেন প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। শুধু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই এখন পর্যন্ত ৫ উইকেট পাননি। নতুন বল এলো, হ্যাজলউডের বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন রিজওয়ান। ৪৫ রানে ফিরলেন, ইনিংস পরাজয় এড়ানোর আশাও ওখানেই প্রায় শেষ পাকিস্তানের। আব্বাসকে সরাসরি থ্রোতে রানআউট করে শেষটা করলেন কামিন্স, চার দিনেই ম্যাচ শেষ হয়ে গেল। ডেভিড ওয়ার্নার অনুমিতভাবেই হয়েছেন ম্যাচসেরা, প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরির জন্য সিরিজসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।