• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ডার্বিতে 'আনকোরা' লিভারপুলের দয়া পেল না এভারটন

    ডার্বিতে 'আনকোরা' লিভারপুলের দয়া পেল না এভারটন    

    ফুলটাইম
    লিভারপুল ৫-২ এভারটন


    ম্যাচের আগে লিভারপুলের একাদশ দেখে থাকলে চমকে ওঠার কথা আপনার। শীতের রাতে পুরো ম্যাচ না দেখে ঘুমিয়ে পড়লে ম্যাচ শেষের স্কোরলাইন দেখেও অবাক হওয়ার কথা। মার্সিসাইড ডার্বি, অথচ একাদশে মোহাম্মদ সালাহ, রবার্তো ফিরমিনো কেউ নেই। তাতে কোনো সমস্যাও হলো না লিভারপুলের। এভারটনকে গুণে গুণে ৫ গোল দিয়ে সম্ভবত মার্কো সিলভার এভারটন ক্যারিয়ারের ষোলকলা পূর্ণ করেছে ইউর্গেন ক্লপের দল। আর এভারটন সঙ্গে দুই গোল যোগ করায় অ্যানফিল্ড দেখেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের ডার্বি।

    ক্লপের আত্মবিশ্বাস তাই কাজে দিয়েছে শতভাগ। ১৯৮৩ সালের পর প্রথমবারের মতো এভারটন পাঁচ গোল খেয়েছে লিভারপুলের কাছে। সেবার লিভারপুলের ডাগ আউটে ছিলেন কিংবদন্তী বব পেইসলি। ক্লপ অবশ্য আরও একটি ম্যাচ জিতে নতুন রেকর্ড গড়েছেন আরও দুইটি। প্রিমিয়ার লিগে শততম জয়ের রেকর্ড হয়ে গেছে তার। সেঞ্চুরি পূরণ করতে ক্লপের দরকার হলো মাত্র ১৫৯ ম্যাচ। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তার চেয়ে কম ম্যাচে জয়ের সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে কেবল হোসে মরিনহোর। আর লিভারপুলের অপরেজয় থাকার রেকর্ড দাঁড়িয়েছে ৩২ এ। কেনি ডালগ্লিশের রেকর্ড ছাড়িয়ে নতুন ক্লাব রেকর্ড গড়েছে লিভারপুলের।

     


    অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের জয় নিয়ে কোনো সংশয় থেকে থাকলে সেটা ওই টিমশিট দেখেই কিছুটা জেগেছিল। আগের মায়চে লাল কার্ড দেখায় অ্যালিসনের জায়গায় ছিলেন আদ্রিয়ান। মিডফিল্ডে ছিলেন অ্যাডাম লালানা, আর সাদিও মানের সঙ্গী হিসেবে ডিভক অরিগি আর জের্দান শাকিরি নেমেছিলেন লিভারপুলের আক্রমণভাগে। এই তিনজন মিলে  সেই সংশয় একেবারেই স্থায়ী হতে দেননি সাদিও মানে। ১৭ মিনিটের ভেতর দুই সতীর্থ অরিগি ও শাকিরিকে দিয়ে দুই গোল করান মানে। ৭ মিনিটে এভারটনের বক্সের ঠিক সামনে থেকে এগিয়ে আসা জর্ডান পিকফোর্ডকে এক ঝটকায় কাটিয়ে গোল করেন অরিগি। মিনেট দশেক পর শাকিরি মানের পাস পেয়েছিলেন বক্সের ভেতর, বাম পায়ের নিচু ফিনিশে গোল পেয়ে যান তিনিও। 

    এভারটন অবশ্য কিছুক্ষণ পরই ম্যাচে ফিরে এসেছিল ময়েসে কিনের গোলে। তবে বাকি সময়ে আরও দুই গোল দিয়ে লিভারপুল একরকম জয় নিশ্চিত করে ফেলেছিল প্রথমার্ধে। ৩১ মিনিটে দেয়ান লভ্রেনের লম্বা পাস ধরে অরিগি পেয়ে যান দ্বিতীয় গোল। লভ্রেন অন্যপ্রান্তে দারুণ এক ব্লক করে এভারটনকে আরও একবার ফিরতে বাধা দিয়েছিলেন এরপর। প্রথমার্ধ শেষের আগেই মানে নিজের প্রাপ্য গোলটি করে নিশ্চিত করে রেখেছিলেন এভারটনকে ফিরতে হলে নাটকীয় কিছুই করতে হবে।

    সেই নাটক অবশ্য একেবারে শেষে গিয়ে আরেকটু হলেই জমে যেত। ৮০ আর ৮৪ মিনিটে দারুণ দুইটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগানো হয়নি মানের। মানের মতো ৮৫ মিনিটে জোড়া গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন কিনও। দারুণ একটি সুযোগ থেকে শট লক্ষ্যেই মারতে পারেননি ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড। নইলে এভারটন শেষদিকে জমিয়েও তুলতে পারত খেলা। সুযোগ হাতছাড়া করার পর এভারটনে আর দয়া দেখাননি জর্জিনিয়ো ওয়াইনাল্ডাম। ৯০ মিনিটে ম্যাচের শেষ গোলটি করে লিভারপুলের বড় জয় নিশ্চিত করেন ডাচ মিডফিল্ডার। 

    আরও একটি জয়ে দুইয়ে থাকা লেস্টার সিটির সঙ্গে পয়েন্ট ৮ পয়েন্টের ব্যবধান ধরে রেখেছে লিভারপুল। আর ১৫ ম্যাচ শেষে এভারটনের জায়গা হয়েছে রেলিগেশন জোনে। ১৭ নম্বরে নেমে গেছে তারা। রাতে নিজেদের ম্যাচে জয় পেয়েছে লেস্টার সিটি ও চেলসিও। লেস্টার জিতেছে ২-০ তে, আর অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২-১ এ জিতেছে চেলসি। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দলের হয়ে গোল করেছেন ট্যামি আব্রাহাম ও মেসন মাউন্ট।