• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    সালমারা ২৫৫, মালদ্বীপ ৬ রানে অলআউট!

    সালমারা ২৫৫, মালদ্বীপ ৬ রানে অলআউট!    

    বাংলাদেশে ২০ ওভারে ২৫৫/২

    মালদ্বীপ ১২.১ ওভারে ৬ রানে অলআউট

    বাংলাদেশ ২৪৯ রানে জয়ী


    স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি হলে এতক্ষণে বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে দিনটি অমরই হয়ে যেত। কিন্তু মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটা যে টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস পাচ্ছে না। সেজন্য নিগার সুলতানা আর ফারজানা হকের সেঞ্চুরিও রেকর্ডবুকে উঠছে না। মালদ্বীপের সঙ্গে এসএ গেমসে বাংলাদেশে মেয়েদের ২৪৯ রানের জয়টাও তাই কোনো ইতিহাস গড়ছে না। ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, এমন বড় জয়ে সালমারা এখন ছুটছেন দারুণ।

    পোখারায় আজ শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আজ কিন্তু বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। স্কোরকার্ডে ১৯ রান ওঠার মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছেন দুই ওপেনার সানজিদা ইসলাম ও শামীমা সুলতানা। এরপর জুটি বাঁধেন নিগার সুলতানা ও ফারজানা হক। দুজন মিলে শুরু করেন ঝড়। নিগার ৩৫ বলে পেয়েছেন ফিফটি, আর ফারজানা সেটি পেয়েছেন ৩০ বলে। এরপর ১৫তম ওভার থেকে নিগার একাই নিয়েছেন ২৪ রান, পৌঁছে গেছেন ৮০ রানে। ১৭তম ওভারে পর পর তিনটি চারে ফারজানাও পৌঁছে গেছেন আশির ঘরে। পরের ওভারেই নিগার পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরি, সেটি মাত্র ৫৯ বলে। তবে ফারজানার অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০তম ওভার পর্যন্ত। ৪৮ বলেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ১১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নিগার, ১৪টি চারের সঙ্গে মেরেছেন তিনটি ছয়। আর ফারজানা ৫৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ১১০ রানে, কোনো ছয় না মারলেও মেরেছেন ২০টি চার। মালদ্বীপের বোলারদের মধ্যে একমাত্র শাম্মা আলী ছাড়া বাকি সবাই ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন দশের বেশি।

    এই রান তাড়া করতে গিয়ে প্রথম ওভারে কোনো রান ওঠার আগেই দুই উইকেট হারায় মালদ্বীপ। সেই দুইটিই আবার রান আউট। এরপর রিতু মনি এক ওভারে তুলে নেন আরও দুই উইকেট। এরপর সালমাও এক ওভারে নিয়েছেন ২ উইকেট, ২ রান তুলতে গিয়ে ৬ উইকেট নেই মালদ্বীপের। ৪ রানের ভেতর পড়ে গিয়েছিল ৮ উইকেট। সর্বোচ্চ ২ রান যোগ হয় নবম উইকেটে, শেষ পর্যন্ত ১২.১ ওভারে ৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে মালদ্বীপ। ম্যাচ হেরেছে ২৪৯ রানে।