• ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর
  • " />

     

    'অসদাচরণ'-এর অভিযোগে প্রধান নির্বাহীকে বরখাস্ত করলো ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা

    'অসদাচরণ'-এর অভিযোগে প্রধান নির্বাহীকে বরখাস্ত করলো ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা    

    চলমান সঙ্কটের মাঝে ‘অসদাচারণ’-এর অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী থাবাং মোরোইকে। সাম্প্রতিক সময়ে চলা ডামাডোলের মাঝে এলো এমন সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি পাঁচজন ক্রিকেট সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি, পরে অবশ্য তাদের অ্যাক্রিডিটেশন ফিরিয়ে দিয়ে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। 

    মোরোইয়ের বরখাস্তের দিনে প্রোটিয়াদের ছেড়ে চলে গেছে তাদের টাইটেল স্পন্সর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সমস্যা তাদের ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’ করেছে বলে চুক্তি নবায়ন করছে না তারা। এর আগে অন্য স্পন্সরদের পক্ষ থেকেও মোরোই ও বোর্ড প্রধান ক্রিস নেনজানিকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। 

    এমজানসি সুপার লিগের সময় অ্যাক্রিডিটেশন প্রত্যাহার করা হয়েছিল সেই পাঁচ সাংবাদিকের। এর পেছনে কোনও কারণ না দেখালেও মোরোই জাতীয় রেডিও স্টেশনে বলেছিলেন, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সেসব সাংবাদিকের ‘কাভারেজ’-এ খুশি নয়। 

    এসব রিপোর্টের মাঝে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের বিভিন্ন সমস্যা- দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশন (সাকা) এর সঙ্গে সিএসএ-এর সঙ্কট, ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো ঠিক করতে আদালতে মামলা, ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট নিয়োগে বিলম্ব, ইংল্যান্ড সিরিজের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে নির্বাচক প্যানেলের অনুপস্থিতিতিসহ সিএসএ-র ঋণ ও দেনা।

    এর মাঝে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছিল সাকা। যদিও ইংল্যান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের সময় এমন কিছু তারা করবে না বলে জানিয়েছিলেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী টনি আইরিশ। ধর্মঘট তাদের 'শেষ অবলম্বন' বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।  

    অবশ্য মোরোইয়ের চলে যাওয়ার পর ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট পদে সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের আসার সম্ভাবনা বেড়ে গেল এখন। মূলত মোরোইয়ের কারণেই তার নিয়োগে বিলম্ব হচ্ছিল বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলি। 

    এদিকে মোরোইয়ের বরখাস্তের পর আইসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন, হারুন লরগাতসহ কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও এ পদে কাউকে নিশ্চিত করা হয়নি এখনও।