• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লিভারপুলের অপেক্ষার ক্লিনশিট, সনের চমক : কী হলো প্রিমিয়ার লিগে?

    লিভারপুলের অপেক্ষার ক্লিনশিট, সনের চমক :  কী হলো প্রিমিয়ার লিগে?    

    লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগে শুধু ছুটছেই। প্রতি সপ্তাহেই শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে নিজেদের পার্থক্য বুঝিয়ে নিয়ে লিগ জয়ের পথে হাঁটছে তারা। দুর্দান্ত এই সময়েও একটা জায়গায় অস্বস্তি ছিল লিভারপুলের। ক্লিনশিট রাখতেই ভুলে গিয়েছিল তারা। শেষবার সেপ্টেম্বরে শেফিল্ড ইউনাইটেডের সঙ্গে ক্লিনশিটের দেখা পেয়েছিল লিভারপুল। ১৪ ম্যাচ পর এবার বোর্নমাউথে ক্লিনশিট পেলেন অ্যালিসন। ৩-০ গোলের আরও এক জয়ে শীর্ষস্থানে লিভারপুলের লিড দাঁড়িয়েছে ১১ পয়েন্টের। 

    এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে সাতটি বদল এনেছিলেন ইউর্গেন ক্লপ। লিভারপুল আবার দেখিয়েছে, যত বদল হোক, যেভাবেই বদল হোক এই দলের স্থিতিশীলতা দারুণ। একাদশে ফেরা অ্যালেক্স অক্সলেড চেম্বারলেইনের গোলে প্রথমার্ধে লিড নিয়েছিল লিভারপুল। জর্ডান হেন্ডেরসনের দারুণ লং বল থেকে বক্সের ভেতর ঢুকে এক টাচে গোল করেছেন চেম্বারলিন।



    বিরতির এক মিনিট আগেই আরেক নতুন নাবি কেইতা দুই গোলের লিড এনে দেন লিভারপুলকে। মোহামেদ সালাহর দারুণ এক ব্যাক হিল থেকে আউট অফ দ্য বুটে করা শটে গোল পেয়ে যান কেইতাও। কেইতা আর চেম্বারলিন হয়ে গেছেন লিগে লিভারপুলের হয়ে পনেরো ও ষোলতম গোলদাতা। প্রথমার্ধে ক্লপের হতাশা ছিল একটাই। দেয়ান লভ্রেন ইনজুরিতে পড়ায় তাকে বদলি করে অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ডকে নামিয়েছিলেন ক্লপ। দরকার না হলে হয়ত পুরোটা বিশ্রামটাই পেতেন আর্নল্ড।

    সালাহর উপহার অবশ্য বিরতির কিছুক্ষণ পরই শোধ করে দিয়েছেন কেইতা। তার পাস থেকে বাম পায়ের কোনাকুনি নিচু ফিনিশে তৃতীয় গোলটি করেন সালাহ। লিগে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সালাহ। গোল দিয়ে উপলক্ষ্য রাঙিয়ে দিয়ে নতুন রেকর্ডও গড়া হয়েছে তার। ১০০ ম্যাচ তার গোল দাঁড়িয়েছে ৬৩ টি। একশ ম্যাচের হিসাবে তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল অ্যালান শিয়ারার, রুড ফন নিস্টলরয় ও সার্জিও আগুয়েরোর।

    লিভারপুলের গোলবারের নিচে ফেরা অ্যালিসনকে ক্লিনশিট রাখতে মোটেই দুর্ভোগে পড়তে হয়নি। পুরো ম্যাচে একবারও গোলে শট করতে পারেনি বোর্নমাউথ। এই নিয়ে টানা ৫ ম্যাচ হারল তারা। লিভারপুল যে পুরো ম্যাচ আগা-গোঁড়া নিয়ন্ত্রণ করেছে তেমনটাও নয়। ডার্বি জয়ের নায়ক সাদিও মানেকে এদিন মাঠেই নামাননি ক্লপ। অদল-বদলে খুব বেশি ঝামেলা হয়নি লিভারপুলেরও। ৩০ বছর পর প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জয়ের পথে আপাতত কিছুই বাধা মনে হচ্ছে না এই লিভারপুলের সামনে। 

    সনের চমক, এভারটনের চমক



    হিউং মিন সন সম্ভবত মৌসুমের সেরা গোলটি করে ফেলেছেন বার্নলির বিপক্ষে। টটেনহাম বার্নলি উড়িয়ে দিয়ে ফিরেছে জয়ের ধারায়। হোসে মরিনহোর দল জিতেছে ৫-০ ব্যবধানে।

    ম্যাচের ৩২ মিনিটে নিজের অর্ধ থেকে বল নিয়ে একে একে বার্নলির প্রায় সব মিডফিল্ডার আর ডিফেন্ডারদের ছিটকে ফেলে একক কৃতিত্বে চোখ ধাঁধানো এক গোল করেছেন সন। এর আগেই অবশ্য টটেনহামকে জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছিলেন হ্যারি কেইন ও লুকাস মউরা। কেইন গোল করেছিলেন বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক বাঁকানো শটে, আর মউরা ক্লোজ রেঞ্জ ফিনিশে।

    দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক গোল করেছেন কেইন। ৭৪ মিনিটে শেষ গোলটি করেছেন মুসা সিসোকো। এর পর মরিনহোও চমক দেখিয়েছেন। বাকি সময়ে রায়ান সিসিনিয়ো, অলিভিয়ের স্কিপ, ট্রয় প্যারটদের মতো তরুণদের সুযোগ দিয়েছেন মরিনহো।

    লিভারপুল আর টটেনহামের সহজ জয়ের আগে অবশ্য দুঃসময় পার করেছেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। গুডিসন পার্কে চেলসি হেরে গেছে ৩-১ ব্যবধানে।  আগের ম্যাচে লিভারপুলের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এভারটন নতুন ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ডানকান ফার্গুসনকে। তার অধীনেই চেলসিকে চমকে দিয়ে ম্যাচের ৬ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। দ্বিতীয়ার্ধে ৫ মিনিটের ভেতর ক্লাভার্ট লুইনের গোলে আবার এগিয়ে যায় এভারটন। পরে মাতেও কোভাসিচ এক গোল শোধ করলেও, ক্লাভার্ট লুইন নিজের দ্বিতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন এভারটনের।