• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ম্যানচেস্টার ডার্বিতেও এবার বর্ণবাদের থাবা

    ম্যানচেস্টার ডার্বিতেও এবার বর্ণবাদের থাবা    

    ম্যানচেস্টার ডার্বি শেষ হওয়ার আগেই ভিডিওটা ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ইতিহাস স্টেডিয়ামের কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে যাছিলেন ফ্রেড, পেছনে কিছু সিটি সমর্থকদের দেখা গেছে বানরের অঙ্গভঙ্গি করতে। পরে ব্যাপারটি নিয়ে তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে ম্যান সিটি। আর ইউনাইটেড মিডফিল্ডার ফ্রেড বলেছেন, এই যুগে এসেও এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক।

    বর্ণবাদের সমস্যা ফুটবলে গত কিছুদিন ধরে বাড়ছেই। ইতালি, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়া... সবখানেই এই সমস্যা প্রকট। ইংল্যান্ডে তুলনামূলক কম হলেও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা হচ্ছেই। কাল ওই বর্ণবাদী মন্তব্য করার সময়েই কিছু একটা উড়ে এসে পড়েছিল ফ্রেডের পাশে। মাথায়ও লেগেছিল, যদিও তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ফ্রেড পরে বলেছেন, ‘আমার দিকে একটা লাইটার উড়ে এসেছিল। ভাগ্য ভালো, ব্যথা পাইনি আমি। তবে ওরা কী বলেছে আমি শুনতে পাইনি। আমি আসলে ওদিকে কোনো মনযোগই দিতে চাইনি। আমার পুরো মনযোগ ছিল খেলায়।’

    বর্ণবাদের অভিজ্ঞতা ফ্রেডের আগেও হয়েছে। ইউক্রেনেও এই সমস্যা বেশ গুরুতর, সেখানকার অভিজ্ঞতা ভোলেননি ফ্রেড, ‘এমন না যে, ঘটনা শুধু এখানেই হচ্ছে। আরও অনেক জায়গায় এমন হচ্ছে। ইউক্রেনেও আমার বন্ধুদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েহে। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, আমরা ২০১৯ সালে বসবাস করছি। সমাজের একটা বড় অংশ এখনও পশ্চাৎপদ থেকে গেছে।’

    ফ্রেড ইউনাইটেড সতীর্থদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন, ‘আমাদের গায়ের চামড়া, চুল, লিং যাই হোক না কেন, আমরা সবাই একই। আমরা এক জায়গা থেকে এসেছি, দিন শেষে এক জায়গাতেই ফিরে যাব। ঈশ্বরক ধন্যবাদ ইউনাইটেডে আমার অনেক বন্ধু আছে যারা ম্যাচ শেষে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে, যেমন লিনগার্ড। আমি আর এসব নিয়ে একদমই ভাবতে চাই না। আমি এখন শুধু সামনের দিকে তাকাতে চাই।’

    কাল ম্যাচ শেষেই সিটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত করবে। দোষীকে ধরতে পারলে স্টেডিয়াম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করবে তারা। ইউনাইটেডও বলেছে, সিটিকে এই ঘটনার জন্য সম্ভাব্য সবভাবে সাহায্য করবে।