• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত টেস্ট খেলবে না আয়ারল্যান্ড

    বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত টেস্ট খেলবে না আয়ারল্যান্ড    

    বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০২০ সালে একটি টেস্ট আয়োজনের পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। আগামী বছরের গ্রীষ্মে এ টেস্ট আয়োজনের কথা ছিল তাদের, তবে তাদের বর্তমান আর্থিক অবস্থা সেটি সমর্থন করছে না বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রোম। টেস্টের পরিবর্তে একটি টি-টোয়েন্টি আয়োজন করবে তারা। এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের ভাবনাও বাদ দিয়েছে তারা। 

    ২০১৮ সালে মালাহাইডে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টেস্টই তাদের মাটিতে একমাত্র হয়ে আছে এখন পর্যন্ত। ওয়ানডে সিরিজের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশের টেস্ট খেলার কথা ছিল। তবে টেস্ট আয়োজনে আনুমানিক ১.১৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় করার সামর্থ্য তাদের নেই আপাতত। এর চেয়ে ২০২০ ও ২০২১ সালে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ সামনে রেখে সাদা বলের ক্রিকেট আয়োজনের দিকেই মনযোগ দিতে চায় তারা। 

    এক বিবৃতিতে ডিউট্রোম বলেছেন, “২০২০ সালে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রে লাল বলের চেয়ে সাদা বল এগিয়ে আছে আমাদের কাছে। অন্য সব আইরিশ সমর্থকদের মতো আমরাও টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি- তিন ফরম্যাটেই খেলতে চাই। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা পরের বছর টেস্ট আয়োজন বাদ দিতে হয়েছে।” 

    ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান সাইকেলে আয়ারল্যান্ড নেই, ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে এই টেস্টটি শুধুই ‘প্রীতি’ ম্যাচ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, “একমাত্র টেস্টের পেছনে তেমন তাৎপর্য নেই, যেহেতু এটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত না। ফলে কার্যত একটি প্রীতি ম্যাচের জন্য ১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ হবে, যা এই টেস্ট আয়োজনের লভ্যাংশ কাভার করতে পারবে না।” 
     
    ফলে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজের সঙ্গে তারা খেলবে বাড়তি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এছাড়া ইংল্যান্ড সফরের সময় দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল আয়ারল্যান্ডের, তবে এরই মাঝে তাদেরকে এই সিরিজ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিউট্রোম। 

    টেস্ট স্ট্যাটাস পেলেও লভ্যাংশের পরিমাণ প্রত্যাশিত নয় বলেও জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০২৩ সাল থেকে আইসিসির আর্থিক মডেল পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করছে আয়ারল্যান্ড। ডিউট্রোম বলেছেন, “জিম্বাবুয়ের চেয়ে প্রায় অর্ধেক বরাদ্দ আমাদের, আইসিসির পূর্ণ সদস্যের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লভ্যাংশ আসেনি এখনও। যদি আরও অনেক প্রতিষ্ঠিত সদস্যের চেয়ে আইসিসির বরাদ্দের বাইরে আমাদের আয় বেশি, তবে বর্তমান অবস্থায় রুপান্তরের প্রক্রিয়াটি মসৃণ করতে এটি যথেষ্ট নয়।”