• ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর
  • " />

     

    ১৫ উইকেটের দিনে সেঞ্চুরিয়নে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাই

    ১৫ উইকেটের দিনে সেঞ্চুরিয়নে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাই    

    ১ম দিন, স্টাম্পস
    দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ২৮৪ অল-আউট (ডি কক ৯৫, হামজা ৩৯, কারান ৪/৫৮, ব্রড ৪/৫৮) ও ২য় ইনিংস ৭২/৪* 
    ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ১৮১ অল-আউট (ডেনলি ৫০, ফিল্যান্ডার ৪/১৬, রাবাদা ৩/৬৮)
    দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭৫ রানে এগিয়ে 



    বোলাররা ব্যস্ত ছিলেন উইকেট নিতে- এদিন মোট ১৫ বার তারা মেতেছেন উল্লাসে। উইকেটকিপাররা বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন, এজগুলি ধরতে- এদিন উইকেটকিপারের কাছে গেছে ৮টি ক্যাচ। আর ব্যাটসম্যানরা ব্যস্ত ছিলেন যাওয়া-আসায়, আর এর মাঝে যা পারেন সংগ্রহ করে রাখতে। সেঞ্চুরিয়নে ছিল ব্যস্ত দিন। ১৫ উইকেটের দিনে ইংল্যান্ডই হারিয়েছে ১০টি, এনরিখ নরকিয়েকে নিয়ে রাসি ভান ডার ডুসেন দিন শেষ করার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ১৭৫ রানে। সেঞ্চুরিয়নের এ উইকেটে যে লিড দক্ষিণ আফ্রিকাকেই বসিয়ে দিবে দাপুটে পজিশনে। 

    প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮৪ রানে শেষ করে দেওয়ার পর ইংল্যান্ড একসময় ছিল ভাল অবস্থায়- ১৪২ রানে ৩ উইকেট ছিল তাদের, জো ডেনলির সঙ্গে বেন স্টোকসের জুটি ছিল ৭২ রানের। ডেনলির উইকেটে গুবলেট পাকিয়ে ফেলল ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকান পেসাররা তাদের ওপর চড়াও হলেন আরেকবার। ফল- ৩৯ রান তুলতে শেষ ৭ উইকেট নেই। ব্যাটিংয়ে নেমে ২৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তবে অসম বাউন্সের উইকেটে তাদের লিডের অঙ্কটা দ্বিতীয় দিনশেষে এগিয়ে রাখবে তাদের। 

    আগেরদিনের স্কোরের সঙ্গে আর ৭ রান যোগ করার পর শেষ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারনন ফিল্যান্ডারকে আউট করে ইনিংসে ৪র্থ উইকেট নিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ইংল্যান্ড শুরুটা করেছিল নড়বড়ে। প্রথমে ফিল্যান্ডারের বলে ররি বার্নস, পরে কাগিসো রাবাদার বলে ডম সিবলি- দুজনই হয়েছেন কট-বিহাইন্ড। কুইন্টন ডি কক এদিন নিয়েছেন আরও ৪টি ক্যাচ, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যা যৌথ রেকর্ড। ইংল্যান্ডের প্রথম ৬ জন ব্যাটসম্যানই ধরা পড়েছেন তার হাতে। 

    জো রুট ও ডেনলি একটু ধাতস্থ করেছিলেন ইংল্যান্ডকে, আবার ফিল্যান্ডার আঘাত করায় ভেঙেছে তাদের জুটি। ২৯ রান করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এরপর ব্যাটিংয়ে নিজেদের ভাল কিন্তু খুব-লম্বা-নয় সময়টা কাটিয়েছে ইংল্যান্ড। ডেনলি ফিফটি করলেন, এর পরপরই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রেকথ্রু দিলেন অভিষিক্ত ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। ইংল্যান্ডকে পরের দুই আঘাত করেছেন নরকিয়ে, ৩৫ রান করে স্টোকস ডি ককের হাতে ক্যাচ দেওয়ার পর বোল্ড হয়েছেন স্টোকস। 

    ইংল্যান্ডকে শেষ করার দায়িত্বটা নিয়ে নিয়েছেন এরপর ফিল্যান্ডার ও রাবাদা। ৪ চারে স্যাম কারানের ২০ বা ২ চারে জস বাটলারের ১২- তেমন পার্থক্য গড়তে পারেনি। ৫ রানের ব্যবধানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড- দুটি করে নিয়েছেন ফিল্যান্ডার ও রাবাদা। 

    ম্যাচে টিকে থাকতে হলে যা করতে হতো ইংল্যান্ডকে, জেমস অ্যান্ডারসনের পর স্টুয়ার্ট ব্রড ও জফরা আর্চার করলেন তেমন কিছুই। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রথম ওভারে সফল অ্যান্ডারসন- এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তটা রিভিউ করেও বাঁচেননি এইডেন মারক্রাম। জুবায়ের হামজা ও ডিন এলগার এরপর ডাউন দ্য লেগে বাটলারের হাতে ধরা পড়েছেন, প্রথমজন ব্রডের বলে, দ্বিতীয় জন আর্চারের বলে। 

    ভান ডার ডুসেনের সঙ্গে ৩১ রানের জুটির পর ডু প্লেসি আর্চারের শিকার, শর্ট বলে ক্যাচ তুলেছেন তিনি। শেষ কয়েক ওভার অবশ্য উইকেট না হারিয়েই কাটিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।