• নিউজিল্যান্ডের অস্ট্রেলিয়া সফর
  • " />

     

    কামিন্সের দিনে নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া

    কামিন্সের দিনে নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া    

    তৃতীয় দিন শেষে

    অস্ট্রেলিয়া ৪৬৭ ও ১৩৭/৪

    নিউজিল্যান্ড ১৪৮ অলআউট


    মেলবোর্ন টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে এখন সম্ভাব্য ফল দুইটি। অস্ট্রেলিয়ার জয়, নয়তো ড্র। নিউজিল্যান্ডের জয় দূরে থাক, হার ঠেকাতে হলেও এখন অলৌকিক কিছু করতে হবে। তৃতীয় দিন শেষে এর মধ্যেই ৪৫৬ রানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া, হাতে আছে ৬ উইকেট। ফলো অন না করিয়ে নিউজিল্যাণ্ডকে আবার ব্যাট করতে পাঠিয়েছে আজ, আর জয়ের ভিতটা এনে দিয়েছেন প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে পেসাররা।

    উইলিয়ামসন আর ব্লান্ডেলকে কালই হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ দিনের তৃতীয় ওভারেই আরেকটি উইকেট তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শরীর থেকে দূরে ব্যাট চালিয়েছেন রস টেলর, সেটি চলে যায় তৃতীয় স্লিপে। মারনাস ল্যাবুশেইন ধরতে না পারলেও বলটা উঠিয়ে দিয়েছিলেন, সেটি সহজেই প্রথম স্লিপে লুফে নেন জো বার্নস। হেনরি নিকোলসকে করা পরের বলটা লাগল প্যাডে, কামিন্সের আবেদনে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি নিকোলস। বিশ্বাস করতে কষ্টই হবে, টেস্টে এ নিয়ে মাত্র ষষ্ঠবার এলবিডব্লুতে উইকেট পেলেন কামিন্স। হ্যাটট্রিকটা যদিও পায়া হয়নি তার।

    তবে নিউজিল্যান্ড কাঁপছিল তখনই। সেই কাঁপুনি বেড়ে যায় যখন খানিক পর যখন বিজে ওয়াটলিংও প্যাটিনসনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপে বার্নসকে ক্যাচ দেন। ৫৮ রানে ৫ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ড, টপ অর্ডারের মধ্যে ল্যাথাম ছাড়া বাকিরা সবাই ফিরেছেন দুই অংক না ছুঁয়েই।

    এরপর কলিন ডি গ্র্যান্ডোম ও ল্যাথাম কিছুক্ষণ ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলেন। দুজন মিলে ৩৯ রান যোগ করলেন, যদিও এর মধ্যে ডি গ্র্যান্ডোম অনেকবার খোঁচা দিতে দিতে বেঁচে গেছেন। শেষ পর্যন্ত স্টার্ক এসেই করলেন বাজিমাত। ১১ রান করে ডি গ্র্যান্ডোমকে গালিতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন। ৯৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড।

    ল্যাথাম এরপর ফিফটি পেয়ে যান, বাকিদের আসা যাওয়ার মিছিলে তিনিই দাঁত কামড়ে লড়ছিলেন। কিন্তু দারুণ এক পেস বোলিং প্রদর্শনীতে তাঁকে ভুল করতে বাধ্য করলেন কামিন্স। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে ল্যাথাম ক্যাচ দিলেন পেইনকে, ফিরলেন ঠিক ফিফটি করেই। এরপর সাউদিকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে পঞ্চম উইকেট তুলে নিয়েছেন কামিন্স। আর বোল্টকে বোল্ড করে ইনিংস শেষ করে দিয়েছেন স্টার্ক। নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১৪৮ রানেই।

    ফলো অন না করিয়ে নিজেরাই ব্যাট করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। বার্নস আর ওয়ার্নার প্রথম ২০ ওভার কোনো ভুল না করেই পার করে দিলেন। এর মধ্যে রান উঠল ৬২, এরপরেইনিজের ৩৮ রানে ওয়াগনারের বলে কাভারে ক্যাচ তুলে দিলেন ওয়ার্নার। ল্যাবুশেইন বড় কিছুর আশা দেখাচ্ছিলেন, কিন্তু ১৯ রান করে হয়ে গেলেন রান আউট। বার্নসও ৩৫ রান করে ফিরেছেন স্যান্টনারের বলে। ক্রিজে এরপর স্টিভ স্মিথ, ওয়াগনারের সাথে আরেকটি খন্ডযুদ্ধ। এবারও ওয়াগনারের শর্ট বল, স্মিথ পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন ব্যাকওয়ার্ড স্কয়্যার লেগে। সিরিজে চার বারই ওয়াগনারের শিকার স্মিথ, শর্ট বলেই হয়েছেন ঘায়েল। রিচার্ড হ্যাডলির পর দ্বিতীয় দ্রুততম কিউই বোলার হিসেবে ২০০ উইকেটও হয়ে গেছে ওয়াগনারের। তবে ওয়েড আর হেড বাকি সময়টা পার করে দিয়েছেন। স্মিথ না পারলেও অস্ট্রেলিয়া যে পারবে, সেটিও প্রায় নিশ্চিত।