• ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর
  • " />

     

    আফ্রিকার 'আহত মহিষের পাল'-এর কবলে ইংলিশ সিংহরা

    আফ্রিকার 'আহত মহিষের পাল'-এর কবলে ইংলিশ সিংহরা    

    দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ২৮৪ অল-আউট (ডি কক ৯৫, হামজা ৩৯, কারান ৪/৫৮, ব্রড ৪/৫৮) ও ২য় ইনিংস ২৭২ অল-আউট
    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ১৮১ অল-আউট (ডেনলি ৫০, ফিল্যান্ডার ৪/১৬, রাবাদা ৩/৬৮) ও ২য় ইনিংস ২৬৮ অল-আউট (বার্নস ৮৪, রুট ৪৮; রাবাদা ৪/১০৩, নরকিয়া ৩/৫৬)
    দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৭ রানে জয়ী


    মার্ক বাউচার সতর্ক করে দিয়েছিলেন, বিশেষ করে আফ্রিকায় যাতে 'আহত মহিষের পাল' থেকে সতর্ক থাকা হয়। আহত মহিষ বলতে প্রোটিয়াদের বুঝিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড যে ঠিক সেরকম হিংস্র সিংহ হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা হয়ে গিয়েছিল, তা নয়। তবে যেরকমই হোক, ইংলিশ সিংহরা পাত্তা পেলো না দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। শেষদিন অসম্ভব কিছুর আশা ইংল্যান্ড করলেও শেষ পর্যন্ত আনরিখ নরকিয়া ও কাগিসো রাবাদার তোপে জয় থেকে ১০৭ রান দূরেই থামতে হয়েছে তাদের। সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

    জয়ের জন্য এদিন ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৫৫ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার লাগত ৯ উইকেট। আগেরদিন ওপেনিংয়ে ডম সিবলিকে নিয়ে বার্নসের ৯২ রানের মতো কোনও জুটি প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের, তবে তাদেরকে সেটি পেতে দেননি প্রোটিয়া বোলাররা- কখনও নরকিয়া, কখনও রাবাদা বা কখনও মহারাজ এসে করেছেন আঘাত। এদিন ৪৬ রানের বেশি কোনও জুটিতে ওঠেনি ইংল্যান্ডের। 

    ররি বার্নসকে ফিরিয়ে প্রথম হুঙ্কারটা দিয়েছিলেন নরকিয়া, ৮৪ রান করে শর্ট বলে ক্যাচ তুলেছেন বার্নস। লাঞ্চের আগে জো ডেনলিকেও হারিয়েছে ইংল্যান্ড, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ফুললেংথের বলে গিয়ে প্যাডে আছড়ে পড়েছিল ডেনলির। রিভিউ নিয়েছিল, তবে শেষরক্ষা হয়নি তার। 

    ২১৮ রান যখন প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের, ক্রিজে রুটের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন স্টোকস। হেডিংলি-রূপকথার সময়ও স্টোকস নামার সময় ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল সমানসংখ্যক রানই। আরেকটি রূপকথা? স্টোকস অবশ্য এদিন রুটের সঙ্গে জুটিতে শুধু ৪৬ রানই যোগ করতে পারলেন। কেশভ মহারাজকে কাট করতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন তিনি, লাঞ্চের পরপরই ফিরতে হয়েছে তাকে। 

    জনি বেইরস্টো আরেকবার সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি, রাবাদার অফস্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন গালিতে। এর আগে করতে পেরেছেন ৯ রান। বেইরস্টোর পর ফিরেছেন রুট, ইংল্যান্ডের শেষ আশাও হয়তো শেষ হয়ে গেছে তাতেই। নরকিয়া পেয়েছেন মূল্যবান এ উইকেট, তার বাড়তি পেসে খোঁচা দিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। 

    জস বাটলারের সঙ্গে এরপর বাকি ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং-লেজ। রাবাদার বলে কট-বিহাইন্ড হয়েছেন স্যাম কারান, নরকিয়ার বলে স্লিপে ধরা পড়েছেন জফরা আর্চার। বাকি ছিলেন বাটলার, রাবাদার শর্ট বলে টপ-এজড হয়ে ফিরেছেন তিনি। ফলে ক্রিজে একসঙ্গে ছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। তবে ব্যাটিংয়ে তাদের জুটি টিকেছে মাত্র ৪ বল, বোল্ড হয়ে রাবাদার চতুর্থ শিকারে পরিণত হয়েছেন ব্রড।