• ফেডারেশন কাপ
  • " />

     

    অঘটনের ফেডারেশন কাপে পুলিশ এফসির ইতিহাসে বাদ পড়ল সাইফ

    অঘটনের ফেডারেশন কাপে পুলিশ এফসির ইতিহাসে বাদ পড়ল সাইফ    

    ফুলটাইম 
    সাইফ স্পোর্টিং ১-৩ বাংলাদেশ পুলিশ এফসি 


    একই দিনে বাদ পড়েছিল ঢাকা আবাহনী ও চট্টগ্রাম আবাহনী। রহমতগঞ্জ, মোহামেডানের পর এবার চমক দেখাল বাংলাদেশ পুলিশ এফসিও। সাইফ স্পোর্টিংকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবারের মতো খেলতে আসা দলটি। ফেভারটিরদের বিদায়ের টুর্নামেন্টে তাই বাদ পড়ে গেল সাইফ স্পোর্টিংও। আর তাতে ইতিহাস গড়া হয়ে গেছে পুলিশ এফসির। প্রথমবারের মতো শীর্ষ পর্যায়ে ফুটবল খেলতে আসা পুলিশ এফসি উঠে গেছে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে। 

    সাইফ আসলে ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করে। ৩১ মিনিটে মাঝামাঠে পাওয়া ফ্রি-কিক উড়ে গিয়ে পড়েছিল সাইফের বক্সের মাথায়। সেটপিসে সাইফের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বল পেয়ে যান এসএম বাবলু। বুক দিয়ে বল নামিয়ে ডান পায়ের  হাফ ভলি শটে দেখার মতো এক গোল করে পুলিশ এফসিকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি।


    সাইফের দুর্দশা আরেক দফা বেড়েছে বিরতির আগে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে যুক্তরাষ্ট্র স্ট্রাইকার সিডনি রিভেরার প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে আরও একটি চোখ ধাঁধানো গোল করে পুলিশ এফসিকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন। অবশ্য এরপরও দলটা সাইফ বলেই হয়ত দ্বিতীয়ার্ধেও সুযোগ ছিল ফিরে আসার। কিন্তু বিরতির পর ঘটল উলটোটা। সাইফের দুঃস্বপ্ন সত্যি করে রিভেরা আবারও গোল করে বসেন। দুই ম্যাচ খেলেই যুক্তরাষ্ট্র স্ট্রাইকারের গোল সংখ্যা তাই দাঁড়াল ৪।

    ওই গোলে অবশ্য বড় দায় আছে রিয়াদুল হাসান রাফির। সাইফ ডিফেন্ডার বক্সের ভেতর বল হারিয়েছিলেন। এর পর লুকা রতকোভিচের মাপা ক্রস থেকে ফাঁকায় থাকা রিভেরা আরেক টোকা দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন সাইফের জালে। পুলিশ এফসি তিন  গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সাইফের কাজটা প্রায় অসম্ভবই ছিল। তবে ম্যাচশেষে আসলে আফসোস সঙ্গী হয়েছে তাদের। 

    ৫৫ মিনিটে মুরোলিমঝন আখমেদোভ  বক্সের ঠিক কোণা থেকে পাওয়া ফ্রি-কিক থেকে সরাসরি টপ কর্নারে বল জড়ালে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় সাইফ। সেই ইঙ্গিত সত্যি করার মতো অবস্থাও তৈরি করেছিল সাইফ। একের পর এক আক্রমণ করে পুলিশ এফসির রক্ষণকে তটস্থ করে রেখেছিল মোহাম্মদ নিজামের দল। তবে সহজ সব সুযোগ হাতছাড়া করে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি তাদের। 

    ৬৮ মিনিটে জাহাঙ্গির এরগাশেভের শট বারপোস্টে লেগে ফেরত আসার পর  বক্সের ভেতর রাহিম উদ্দিনের কাছেও গোল করার সুযোগ ছিল। কিন্তু গোলের সামনে থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি তিনি। এর কিছুক্ষণ পর অবশ্য আরও মামুলি সুযোগ হাতছাড়া করেছেন সাইফের কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার আন্দ্রেস কর্দোবা। জাহাঙ্গিরের দারুণ কাটব্যাক গোল থেকে মাত্র ৮ গজ দূরে ফাঁকায় পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকেও শট মেরেছিলেন আকাশে উড়িয়ে। এর পর বাকি সময়ে সাইফ আক্রমণ করে গেলেও পুলিশ এফসির রক্ষণ গলে আর গোলের দেখা পায়নি। তাই ম্যাচেও ফেরা হয়নি তাদের। 

    ইতিহাস গড়া উপলক্ষ্য রাঙাতে পুলিশ এফসি খেলোয়াড়দের পুরস্কারও ঘোষণা করেছে। সাইফকে হারানোয় পুরো দল পাচ্ছে দুই লাখ টাকা পুরস্কার। ফেডারেশন কাপের প্রাইজমানিই যেখানে ৫ লাখ টাকা, সেখানে মোটা অঙ্কের এই বোনাস বলে দিচ্ছে পুলিশের এই জয়ের মাহাত্ম্য।