• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    সালাহ-মানেতে প্রিমিয়ার লিগে এক বছর অপরাজিত লিভারপুল

    সালাহ-মানেতে প্রিমিয়ার লিগে এক বছর অপরাজিত লিভারপুল    

    ফুল-টাইম

    লিভারপুল ২-০ শেফিল্ড ইউনাইটেড


    জানুয়ারি ৩, ২০১৯। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। ঠিক এক বছর কেটে গেছে এরপর। প্রিমিয়ার লিগে ৩৭ ম্যাচ খেলেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল, হারেনি একটিতেও। অপ্রতিরোধ্য অ্যানফিল্ডে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে মাত্র ৩য় দল (আর্সেনাল ২০০৩-০৪, ৪৯ ম্যাচ এবং চেলসি ২০০৪-০৫, ৪০ ম্যাচ) হিসেবে পূর্ণ এক বছর অপরাজিত থাকল 'অল রেড'রা। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে ২০ ম্যাচ পর ম্যানচেস্টার সিটির সর্বোচ্চ পয়েন্টের রেকর্ডে (২০১৭-১৮, ৫৮) ভাগ বসাল ক্লপের দল।

    অ্যানফিল্ডে ম্যাচের শুরুতেই একতা ধাক্কা খেয়েছিল লিভারপুল। ওয়ার্ম-আপের সময় ইনজুরিতে পড়ায় একাদশ থেকে শেষ মুহূর্তে ছিটকে যান নাবি কেইটা, তার জায়গায় আসেন জেমস মিলনার। খুব সম্ভবত এই মৌসুমে নিজেদের সেরাটা শেফিল্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচেই দিয়েছেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। নিজেদের মাঠে লিড নিতে এতটুকু সময় নেয়নি লিভারপুল। ৪ মিনিটে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের লম্বা পাসে হেড করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান জর্জ ব্যালডক। বাঁ-প্রান্তে বল পেয়ে ডিবক্সে মোহামেদ সালাহকে পাস বাড়ান লেফটব্যাক অ্যান্ড্রু রবার্টসন। বাঁ-পায়ের শটে দলকে লিড এনে দেন মিশরের ফরোয়ার্ড।

     

     

    প্রথমার্ধে গোলের কম সুযোগ পায়নি লিভারপুল, কিন্তু 'ব্লেইডস' গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। শেফিল্ডের মাঠে তরুণ ইংলিশ গোলরক্ষকের ভুলেই হারতে হয়েছিল ক্রিস ওয়াইল্ডারের দলকে, কিন্তু অ্যানফিল্ডে হেন্ডারসন ছিলেন দুর্দান্ত। ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল শেফিল্ডও, কিন্তু হেন্ডারসনের মত অন্য প্রান্তে দুর্দান্ত ছিলেন লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারও। জন লুন্ডস্ট্রাম এবং ডেভিড ম্যাকগোল্ডরিকের দুটি প্রচেষ্টা দারুণভাবে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

    প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল লিভারপুল। ভাগ্য সহায় হলে ৫০ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত ক্লপের দল, কিন্তু সালাহর দুর্দান্ত বাঁকানো শট হেন্ডারসনকে পরাস্ত করলেও প্রতিহত হয় ক্রসবারে। তবে ৬৪ মিনিটে আর ফেরানো যায়নি লিভারপুলকে। অ্যালিসনের লম্বা পাসে দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণে সালাহর সাথে 'ওয়ান টু' করে শেফিল্ড ডিবক্সে ঢুকে পড়েন সাদিও মানে। সেনেগাল ফরোয়ার্ডের প্রথম শট হেন্ডারসন ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি মানে।

    শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি শেফিল্ড, হেন্ডারসনের দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধানও বাড়ানো হয়নি ক্লপের দলের। অবশ্য সেজন্য আক্ষেপ থাকবে না লিভারপুল, এক ম্যাচ হাতে রেখেও লেস্টার সিটি থেকে ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে থাকল ক্লপের দল। এই মৌসুমে প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল হজম করছিল লিভারপুল। কিন্তু এখন আর সেটা নিয়ে ধুঁকতে হচ্ছে না লিভারপুলকে, শেফিল্ডের বিপক্ষে নিজেদের টানা চতুর্থ ক্লিনশিট পেয়ে গেছে তারা।