• নিউজিল্যান্ডের অস্ট্রেলিয়া সফর
  • " />

     

    লায়নের ৫, সিডনিতে ধুঁকছে নিউজিল্যান্ড

    লায়নের ৫, সিডনিতে ধুঁকছে নিউজিল্যান্ড    

    ৩য় দিন, স্টাম্পস
    অস্ট্রেলিয়া ৪৫৪ ও ৪০/০* 
    নিউজিল্যান্ড ২৫১ (ফিলিপস ৫২, ল্যাথাম ৪৯, লায়ন ৫/৬৮) 
    অস্ট্রেলিয়া ২৪৩ রানে এগিয়ে 


    ন্যাথান লায়নকে বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলেছিলেন না শেন ওয়ার্ন? লায়ন রাজি ছিলেন না। কেন ছিলেন না, এসসিজিতে আজ সেটি দেখালেন তিনি। বোলিং মাস্টারক্লাস দেখিয়েছেন, নিয়েছেন ৫ উইকেট। আর তাতেই ২৫১ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২০৩ রানের লিড গুণেছে নিউজিল্যান্ড। টিম পেইন ফলো-অন করাননি, ডেভিড ওয়ার্নার ও জো বার্নস দিনশেষে অবিচ্ছিন্ন থেকে সে লিডকে এগিয়ে নিয়েছেন ২৪৩ রান পর্যন্ত। সিডনি টেস্টের পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন অস্ট্রেলিয়ার কাছে, নিউজিল্যান্ড ধুঁকছে আরেকবার। 

    আগেরদিন অস্ট্রেলিয়াকে অল-আউট করে দেওয়ার পর ৬৩ রানে উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড, এদিনও শুরু হয়েছিল তাদের আশা নিয়ে। লায়নই প্রথম বাগড়া বাধিয়েছেন, শর্ট বলটা ঠিকঠাক খেলতে না পেরে পা থেকে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন টম ব্লান্ডেল। টম ল্যাথাম ও জিট রাভাল এরপর ভাল একটা সময়ই কাটিয়েছেন ক্রিজে বলতে হবে, বিশেষ করে রাভাল। ৪টি চার মেরেছেন, সবকটিতেই ছিল দারুণ নিয়ন্ত্রণ। 

    এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ালেন লায়ন। তার সোজা হওয়া বলে রাভালের শেষ হলো এলবিডব্লিউ হয়ে, শেষ মুহুর্তে রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি তিনি। টম ল্যাথামের ধৈর্য্যের বাঁধও ভেঙে গেছে শীঘ্রই, প্যাট কামিন্সের বলে সফট ডিসমিসাল হয়ে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ১ রানের জন্য মিস করেছেন ফিফটি। ৩ উইকেটে ১৪১ রান নিয়ে লাঞ্চে গেছে নিউজিল্যান্ড। 

    বিরতির পরপরই রস টেইলর নেই, প্যাট কামিন্সের ফুললেংথ থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে তিনি হয়েছেন প্লাম্বড। রাভালের মতো শেষ মুহুর্তে রিভিউ বাঁচাতে পারেনি তাকেও। মিচেল স্টার্কের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে বল স্টাম্পে ডেকে এনেছেন বিজে ওয়াটলিং, ১৬৩ রানে অর্ধেক ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। 

    অভিষিক্ত গ্লেন ফিলিপস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডোম প্রতি-আক্রমণ শুরু করেছিলেন, বিশেষ করে ডি গ্র্যান্ডোম। তিনটি বাউন্ডারি মারলেন, যখন তাকে বেশ দৃঢ় মনে হচ্ছিল, রান-আউটে ভেসে গেল সব। ডাবলস চুরি করতে গিয়ে ক্রিজে ঠিকঠাক পৌঁছাতে পারেননি তিনি, ২৪ বলে ২০ রান করেই ফিরতে হয়েছে। 

    টড অ্যাস্টলকে নিয়ে টিকে ছিলেন ফিলিপস, ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিও পেয়ে গেছেন কামিন্সকে দারুণ হুকে চার মেরে। এর আগে একটা জীবন পেয়েছিলেন অবশ্য। জেমস প্যাটিনসনের শর্ট বলের ফাঁদে পা দিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ লেগসাইড ফিল্ড-সেটিংয়ে ধরা পড়েছিলেন, তবে রিপ্লে দেখিয়েছিল প্যাটিনসনের পা ছিল লাইনের ওপরই। তবে দ্বিতীয় জীবনে আহামরি কিছু করা হয়নি ফিলিপসের, কামিন্সের বল তার ইনসাইড-এজ ফাঁকি দিয়ে ঢুকে ভেঙেছে স্টাম্প। অভিষেকে ফিফটিটা ৫২ রান পর্যন্তই নিতে পেরেছেন তিনি। 

    লায়ন এরপর করেছেন অন্যতম সেরা এক ওভার। ৬ বলের একটিও ব্যাটসম্যানরা ছোঁয়াতে পারেননি ব্যাটে, লায়ন নিয়েছেন ২ উইকেট। দারুণ সেট-আপের পর হুট করে স্টাম্পে বল ঢুকিয়েছেন লায়ন উইল সমারভিলের বিরুদ্ধে, তাতেই তিনি হয়েছেন বোল্ড। আর বিট হওয়ার পর হোয়্যাক করতে গিয়ে মিস করে সমারভিলের পরিণতি মেনে নিতে হয়েছেন নিল ওয়্যাগনারকেও। 

    ইনিংসের শেষ ও নিজের ৫ম উইকেটটি লায়ন অবশ্য পেয়েছেন টিম পেইনের উপস্থিত বুদ্ধিতে। ম্যাট হেনরির ইনসাইড-এজ তার কাছে গিয়ে পড়েছিল, তবে হেনরি পা টেনেও লাইনের ভেতরের নিতে পারেননি, পেইন স্টাম্প এলোমেলো করে দেওয়ার আগে।