• বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ
  • " />

     

    'ছোটদের মরিশাস', অপরিচিত ফিলিস্তিন : বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে কার কেমন দল?

    'ছোটদের মরিশাস', অপরিচিত ফিলিস্তিন : বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে কার কেমন দল?    

    জানুয়ারির প্রথমদিকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ড্র অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নামেই ছিল বড় চমক। ভুগোল সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকলে অনেকগুলো দেশের নাম হয়ত প্রথমবারের মতো শুনেছেন এবারের গোল্ডকাপের কল্যাণে। এশিয়ার ৩ দেশের সঙ্গে এবার অংশ নিচ্ছে পূর্ব আফ্রিকার আরও তিনটি দেশ। স্বাগতিক বাংলাদেশ, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এ গ্রুপে, অন্য গ্রুপে বুরুন্ডি, সেইসেলস ও মরিশাস। এই ছয় দেশের ভেতর কেবলমাত্র বাংলাদেশ পূর্ণ শক্তির জাতীয় দল নিয়ে খেলছে এবারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। আর বাকি দেশগুলো এসেছে জোড়াতালি দিয়ে।

    ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ফিলিস্তিনের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। এর আগে বাফুফে ভবনে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে একরকম পরিচিতি পর্ব সেরেছে দলগুলো। বুরুন্ডি অবশ্য এখনও বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়নি।  


     

    ফিলিস্তিন 
    ২০১৮ সালে সবশেষ গোল্ডকাপে শিরোপা জিতে ফিরেছিল ফিলিস্তিন। এবার তারা টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছে জাতীয় দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে ছাড়াই। সবশেষ বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ফিলিস্তিনের স্কোয়াড থেকে মাত্র ৬ জন ফুটবলার দলের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছেন। স্কোয়াডের দুইজন খেলোয়াড় জার্মানির বিভিন্ন স্তরের ক্লাবের হয়ে খেলেন, আর বাকিরা সব স্থানীয় লিগে। এদের ভেতর ৭ জন আবার অনুর্ধ্ব-২৩ দলের খেলোয়াড়।

    দলের সঙ্গে মূল কোচ নুরুদ্দিন আলিও আসেননি। তার জায়গায় সহকারি কোচ তাবুদ আকরাম দায়িত্ব নিয়েছেন। মূল দল নিয়ে না এলেও ফিলিস্তিন এবারও শিরোপা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী।  

    মরিশাস

    ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশেরও ওপরে অবস্থান মরিশাসের। তবে সে দেশেই নেই কোনো ফুটবল লিগ। ঘরোয়া ফুটবল না থাকায় নিয়মিত খেলোয়াড়েরা বিভিন্ন পেশার ওপর নির্ভরশীল। তাদের ছুটি না মেলায় জোড়া তালির দল নিয়ে টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছে মরিশাস। দলের ছয়জনের বয়সই ১৭ বা তার নিচে। সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলারের বয়স ২৩ বছর। প্যাসকেল ডেমিয়ানই দলের অধিনায়ক। মরিশাস জানিয়েছে কেবল অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে এসেছে তারা।  

    সেইশেলস 
    ফিফা র‍্যাঙ্কিয়ের ২০০ তম দল সেইশেলসও এখনও বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়নি। তবে তাদের প্রতিনিধিরা হাজির হয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। দেশটির ফুটবল সংস্থার সহ সভাপতিও চলে এসেছেন ঢাকায়। তিনিই জানিয়েছেন, দলটির ৮০ শতাংশ খেলোয়াড়ই জাতীয় দলের।  

    শ্রীলঙ্কা 

    শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য গ্রুপ পর্বে একটি জয় আর একটি ড্র। অবশ্য শ্রীলঙ্কার আক্ষেপ আছে একটা, এসএ গেমসে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল তারা। দলের ম্যানেজার পাথামান্থান সেই খেদটা ঘোচাতে চান। এসএ গেমসের সেই দল থেকে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে খেলতে এসেছে শ্রীলঙ্কা।