• বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    যে কারণে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না মুশফিক

    যে কারণে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না মুশফিক    

    মুশফিকুর রহিম পাকিস্তানে যাচ্ছেন না, সেটা বেশ আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন বিসিবিকে। গণমাধ্যমের সূত্রে সেটা অনেকেরই জানা। তবে কেন যাচ্ছেন না, সেই কারণটা আজ বিপিএলের ফাইনাল শেষে খোলাখুলি বললেন মুশফিক।

    পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শুরুতে মুশফিকের পালটা প্রশ্ন, ‘কেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়া কী আছে? আমি তো আগেই বলেছি যে পাকিস্তানে যাব না।’ বললেন, বোর্ডও তাঁর প্রস্তাব মেনে নিয়েছে, ‘এটা অনেক আমি অনেক ঠিক রেখেই রেখেছি এবং সেটা আগেই জানিয়েছি বোর্ডকে। সেটা তারা মেনে নিয়েছে। আমি অনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছি।’ পরে পরিষ্কার করেছেন, শুধু টি-টোয়েন্টিই অয়, সামনের মাসের একটি টেস্ট ও পরে আরেকটি টেস্ট ও ওয়ানডে খেলতেও যাওয়া হচ্ছে না তাঁর।

    কারণটা পরে আবার জানতে চাওয়া হলে বিরক্তির সঙ্গে কিছুটা উষ্মা নিয়েই বললেন মুশফিক, ‘অন্য কী কারণ হতে পারে? আপনি না জানলে কী করার আছে? এটা যে পারিবারিক কারণ সেটা তারা বললেনই। আমি তো আগেই বলেছি, পরিবার শংকিত। তারা চাচ্ছে না আমি যাই। সেটা আমি আগেই বলেছি।’

    মুশফিক স্বীকার করলেন, এই সিরিজটা মিস দিতে গিয়ে তার নিজের কাছেই খারাপ লাগছে। তবে একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন পিএসএলের ড্রাফটে নিজের নাম আগেভাগেই উঠিয়ে নেওয়ার কথা, ‘অবশ্যই, যেটা আমি বললাম বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারব না এটার চেয়ে বড় পাপ আমার জন্য কিছু হতে পারে না। আবার একই সঙ্গে দেখুন, পিএসএলের মতো টুর্নামেন্ট সেখানে খেলার প্রস্তাব ছিল। আমি কিন্তু প্রথমেই ওদের না করে দিয়েছি। কারণ আমি জানি এবার পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে হবে। তখনই বলেছি , আমার পরিবার যেহেতু অনুমতি দিচ্ছে না। আর জীবনের আগে কখনোই ক্রিকেট না।’

    তবে সামনে পাকিস্তানে নিয়মিত ক্রিকেট হলে যেতে কোনো আপত্তি থাকবে না বলেই মনে করছেন মুশফিক, ‘একই সঙ্গে আমি মনে করি পাকিস্তানের অবস্থা অবশ্যই আগের চেয়ে ভালো। কিন্তু আমি চাই দুইটা বছর অন্যান্য দল গেলে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে যাওয়ার ওই আত্মবিশ্বাস আসবে। আর আমি কিন্তু পাকিস্তানে আগেও গিয়েছি। আমার কাছে ওটা অনেক ভালো জায়গা, আর সুবিধা অনুযায়ী দারুণ। উইকেটও ব্যাটিং বান্ধব। আশা করি ভবিষ্যতে দুই তিন বছরের মধ্যে যদি ওখানে ধারাবাহিকভাবে স্থিতিশীল অবস্থা থাকে তবে কেন যাব না?’

    কিন্তু মুশফিক না গেলে দলের শক্তি কতটা খর্ব হবে? মুশফিক শুরুতে বললেন, ‘বাংলাদেশ দলের বিকল্প হতে এক ঘন্টা সময় লাগে না। সেদিক থেকে বলব, অনেকে ভালো খেলছে। আমার মনে হয়, সবার জন্য এটা সুযোগ। সেটা যেই পাক, সে যেন ভালো খেলে।’

    পরে মনে করিয়ে দিলেন, তিনি থাকার পরেও ভারতে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের, ‘ভারতে আমি খেলে কী লাভ হয়েছে? আড়াই আর তিন দিনে হেরেছি। ক্রিকেট এমন একটা খেলা, পাঁচ জন সিনিয়র থাকার পরেও আমরা হেরেছি। আবার তাদের ছাড়াও ম্যাচ জিতেছি। আপনি বলতে পারেন, ওখানে আমার ভালো করার একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু এটাও ঠিক, অন্যদের জন্য এটা ভালো করার একটা সুযোগ। বাংলাদেশ ক্রিকেটও তো অনেক প্লেয়ার খুঁজছে, বাংলাদেশ দলের জন্য এটা সেটার একটা উপলক্ষ। আশা করি পাকিস্তানে গিয়ে সবাই ভালো খেলবে।