• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    বিপিএলে প্যাভিলিয়নের ওরা ১১ জন

    বিপিএলে প্যাভিলিয়নের ওরা ১১ জন    

    শেষ হয়ে গেছে এবারের বিপিএলের। গত আসরের মতো এবার ৫০০ রান হয়নি কারও, তবে বিদেশীদের পাশাপাশি দেশী ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ফর্মে। সেরা একাদশ বাছাই করতে গিয়ে এবার বেশ ভাবতে হয়েছে প্যাভিলিয়নকে।

    ওপেনার

    ডেভিড মালান (কুমিল্লা), ৪৯.৩৩ গড়ে ১৪৫.০৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৪৪ রান।

    খুব সম্ভবত গ্রুপ পর্বে বিপিএলের সেরা ব্যাটসম্যান। কুমিল্লা শুরু থেকে টেনেছেন একাই, দাসুন শানাকার পর করেছেন অধিনায়কত্ব। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তাঁর, দরকার হলে করেছেন ওপেনিংও।

    লিটন দাস (রাজশাহী), ৩২.৫ গড়ে ১৩৪.২১ স্ট্রাইক রেটে ৪৫৫ রান

    এবারের বিপিএলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ওপেনারদের একজন। ভালো শুরু পেয়েছিলেন অনেক ম্যাচেই, তবে সেই তুলনায় বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সেভাবে। তিনটি ফিফটি করেছেন, আফিফের সঙ্গে জুটিটা ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা।

     

    টপ  ও মিডল অর্ডার

    রাইলি রুশো (খুলনা) ৪৫ গড়ে ১৫৫.১৭ স্ট্রাইক রেটে ৪৯৫ রান

    তিন নম্বরে এবারের বিপিএলের অটোমেটিক চয়েস। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে ছিলেন ধারাবাহিক, সবচেয়ে বেশি ছয়ও এসেছে তার ব্যাট থেকে। গত বারের মতো এবারও বিপিএলের সবচেয়ে বেশি রান তার।

     

    মুশফিকুর রহিম (খুলনা) ৭০.১৭ গড়ে ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে ৪৯১ রান

    ক্যারিয়ারে সবচেয়ে স্মরণীয় বিপিএল কেটেছে এবার। রানের সঙ্গে এবার স্ট্রাইক রেট আর গড়ও ছিল ঈর্ষণীয়। অন্তত দুইটি সেঞ্চুরি পেতে পারতেন, একটুর জন্য পাওয়া হয়নি। তবে অধিনায়ক মুশফিক এবারের বিপিএল থেকে বেশ আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন।

    ইমরুল কায়েস (চট্টগ্রাম)) ৪৯.২২ গড়ে ১৩২.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৪৪২ রান

    এই জায়গায় ইম রুলের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারতেন শোয়েব মালিক আর সৌম্য সরকার। বিশেষ করে সৌম্য এবার ব্যাট-বল ব্যাট দুইটিতেই ছিলেন সফল। তবে কার্যকারিতার বিচারে ইমরুলই এসেছেন। চট্টগ্রামের হয়ে এবার নতুন একজন ইমরুলকে দেখা গেছে। শুরু থেকেই মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতিতে চট্টগ্রামকে পথে রেখেছেন, পরে অধিনায়কত্বও করেছেন।

     

    অলরাউন্ডার

    আন্দ্রে রাসেল (রাজশাহী) ১৮০ স্ট্রাইক রেটে ২২৫ রান ও ১৪ উইকেট

    ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন, সেই সঙ্গে বিপিএলের শিরোপাজয়ী অধিনায়ক। ছয়ে রাসেল তাই অটোমেটিক চয়েস। প্রথম দিকে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি, চোটেও ছিলেন। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন বল হাতেও। টুর্নামেন্টের সেরা স্ট্রাইক রেটও তার।

    মাহেদী হাসান (ঢাকা), ১৩৬.০৩ স্ট্রাইক রেটে ২৫৩ রান ও ১২ উইকেট

    এবার মূলত টপ অর্ডারেই ব্যাট করেছেন, তবে কম্বিনেশনের কারণে সাতেই আকে নামিয়ে আনতে হয়েছে। দারুণ কয়েকটি ইনিংস খেলেছেন, আবার বল হাতেও রেখেছেন অবদান। দেশি স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট এবার তার।

    বোলার

    মোহাম্মদ আমির (খুলনা), ১৭.৭৫ গড়ে ৭.০৫ স্ট্রাইক রেটে ২০ উইকেট

    এবারের বিপিএলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইক বোলার। উইকেট অবশ্য শুরু থেকে পাচ্ছিলেন না, তবে শেষদিকে ৬ উইকেট নিয়ে বিপিএলের এক আসরে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন।

    মেহেদী হাসান রানা (চট্টগ্রাম), ১৫.৮৩ গড়ে ৭.৫ ইকোনমিতে ১৮ উইকেট

    শেষ ম্যাচটা বাদ দিলে বিপিএলের বাকি সময় দুর্দান্ত কেটেছে এই তরুণ পেসারের। প্রতি ১২ বলে উইকেট পেয়েছেন, এবারের বিপিএলের সবচেয়ে ভালো স্ট্রাইক রেট তার। হাশিম আমলাকে করা উইকেটটা ছিল অনেক দিন মনে রাখার মতো।

    মুজিব উর রেহমান (কুমিল্লা), ১৫.৮৬ গড়ে ৫.০৫ ইকোনমিতে ১৫ উইকেট

    নতুন বলে বিপিএলের সম্ভবত সেরা বোলার। কুমিল্লার বোলিং টেনেছেন একাই, এবারের বিপিএলের সবচেয়ে কিপ্টে বোলার তিনি। উইকেট ঠিক বলছে না আসলে কতটা ভালো বল করেছেন।

    মোস্তাফিজুর রহমান (রংপুর), ১৫.৬ গড়ে ৭.০১ ইকোনমিতে ২০ উইকেট

    নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন না শুরুতে। তবে ধীরে ধীরে ফিরে পেয়েছেন নিজেকে, রংপুরের শেষ দিকের ম্যাচগুলোতে জয়ে বল হাতে রেখেছেন বড় অবদান।