• বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    বিপিএলে পাওয়া আত্মবিশ্বাস পাকিস্তান সফরে কাজে লাগাতে চান শান্ত

    বিপিএলে পাওয়া আত্মবিশ্বাস পাকিস্তান সফরে কাজে লাগাতে চান শান্ত    

    বিপিএলে প্রথম ৪ ম্যাচে করেছিলেন ৫ ম্যাচ, দুই ডাকসহ। নাজমুল হোসেন শান্তকে যেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা আরেকবার বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছিল। রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২২ বলে ৩০ রানের ইনিংস আত্মবিশ্বাস জোগাল হয়তো, এরপর ৪১ ও ৩৮ রানের আরও দুটি ইনিংস খেললেন যথাক্রমে ৩১ ও ২৯ বলে। এরপর ১ রান, আর সেটি পেরিয়ে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ৫৭ বলে ১১৫- নিজের ওপর বিশ্বাসটা রাখার ফল পেলেন তিনি। পরের ম্যাচে কোয়ালাইফায়ারে করলেন ৫৭ বলে ৭৮, তার দল খুলনা চলে গেল সরাসরি ফাইনালে। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন না হলেও বিপিএলে পাওয়া আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগাতে চান তিনি পাকিস্তান সফরে। 

    টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলে ঢোকা শান্তর সবার শেষে অভিষেক হয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। এখন পর্যন্ত তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৯ ইনিংসে করেছেন ৮৪ রান- শান্ত নিজের ঝলক সে অর্থে দেখাতে পারেননি একটুও। তবে এবার শান্ত নিজেকে দেখতে চান ভিন্ন রূপে, নিজের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে বলেই বিশ্বাস তার, “শেষের কয়েকটা ম্যাচ ভালো গেছে বিপিএলের। আলহামদুলিল্লাহ। তাই আত্মবিশ্বাস আছে। তাই ওই অনুযায়ী সেই আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারি তাহলে ওখানেও ভালো করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ্‌।”


    বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের অনিশ্চয়তার টাইমলাইন


    “আমার কাছে মনে হয় যে মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে অনেক”, বলছেন শান্ত, “বিশ্বাস এসেছে যে এই ফরম্যাটেও রান করা সম্ভব। যেহেতু প্রথমে কয়েকটি ম্যাচ রান করিনি, আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব ছিল। তো মানসিকভাবে ওভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি যে আমি এই ফরম্যাটেও রান করতে পারি। নিজের মধ্যে বিশ্বাস আনার চেষ্টা করেছি। তো এটা আসার কারণে শেষের কয়েকটি ম্যাচে রান হয়েছে।”

    বিপিএলে এক ম্যাচ ছাড়া বাকি সবকটিতেই ওপেনিংয়ে খেলেছেন এই বাঁহাতি, তবে পাকিস্তান সফরে সুযোগ পেলেও ওপেনিংয়েই পাবেন কিনা, সেটি নিশ্চিত নয়। তামিম ইকবাল, নাঈম শেখ, সৌম্য সরকারের সঙ্গে আছেন লিটন দাস, আফিফ হোসেনরাও। শান্ত অবশ্য পজিশন নিয়ে ভাবছেন না, “পজিশন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। যেহেতু দলে সুযোগ পেয়েছি, যেকোনো পজিশনে খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। যেখানেই খেলব চেষ্টা করব পারফর্ম করার। যেখানেই ব্যাটিং করি ভালো খেলার চেষ্টা করব।”

    অবশ্য টপ অর্ডারেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, জানালেন সেটিও, “সাধারণত আমি টপ অর্ডারে খেলি। ওখানে নামলে তো অবশ্যই ভালো। (তবে) যেটা আমি বললাম, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যেখানে নামানো হোক না কেন, যে কোনো পজিশনে রান করা উচিত। এখন যদি চিন্তা করা যায় বড় বড় ক্রিকেটাররা যে কোনো পজিশনে ব্যাটিং করে এবং রান করার ক্ষমতা রাখে। ওভাবেই আমি চিন্তা করছি যে যেখানে ব্যাটিংয়ের সুযোগ আসবে, সেখানেই পারফর্ম করার চেষ্টা করব।”

    সব মিলিয়ে পাকিস্তান সফরকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখলেও ভাল ফলের আশা আছে তার, “আমরা যদি দল হিসেবে সেখানে খেলতে পারি, তাহলে ওখানেও ভালো ফলাফল করা সম্ভব। যদিও ওদের দল নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তা করছি না। আমাদের নিজেদের যে পরিকল্পনা বা শক্তির জায়গা আছে, সেটা যদি আমরা ঠিক রাখতে পারি, তাহলে ওখানেও সফল হওয়া সম্ভব বলে মনে করি।”