• ভারতের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    দলের বিপর্যয়ের সময় ছুটি নিয়ে সমালোচনার মুখে নিউজিল্যান্ড কোচ

    দলের বিপর্যয়ের সময় ছুটি নিয়ে সমালোচনার মুখে নিউজিল্যান্ড কোচ    

    ভারতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘরের মাঠে ধবলধোলাই হয়েছে কিউইরা। ওয়ানডে সিরিজটা তাই মান বাঁচানোর উপলক্ষ তাদের সামনে। কিন্তু ঠিক এই সময়েই পূর্ব নির্ধারিত এক সপ্তাহের ছুটি কাটাচ্ছেন দলটির কোচ গ্যারি স্টিড। আর দলের বিপর্যয়ের সময় কোচের ছুটি নেওয়া কোনোভাবেই মানতে পারছেন না নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক জেরেমি কোনি।

    এই গ্রীষ্মে নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটের ভরা মৌসুম। “বিগ থ্রি”র তিনটি দলের বিপক্ষেই খেলছে কিউইরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সফল একটি সিরিজ খেলার পর অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলতে গিয়েছিল কিউইরা। সেই সিরিজে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও ভারতের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে জ্বলে উঠার লক্ষ্য ছিল তাদের। কিন্তু সেটাও হলো না। কোনির রাগটাও এখানেই, এমন আঁটসাঁট ক্রিকেট মৌসুমেই কেন কোচকে ছুটিতে যেতে হবে? প্রশ্নটা কড়া ভাষায় নিউজিল্যান্ডের কোচ এবং ক্রিকেট কর্তাদের উদ্দেশ্য ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি, “গত এক দশকে নিউজিল্যান্ডে এমন ক্রিকেট মৌসুম আসেনি। আমরা বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলছি না। এবার আমরা তিনটি বড় দলের (ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত) বিপক্ষে খেলছি।  অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট হারের পর এবার টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সাথে ৫-০ তে হারলাম আমরা। আপনার কি মনে হয় না এমন সময় দলের কোচ এবং প্রধান নির্বাচকের দলের সঙ্গে থাকাটা জরুরী ছিল?”

    নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৫২ টেস্ট এবং ৮৮ ওয়ানডে খেলেছেন জেরেমি কোনি। খেলোয়াড়ি জীবনে অসাধারণ স্লিপ ফিল্ডার ছিলেন। ক্রিকেট অনুরাগীদের কাছে “মান্তিস” নামে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিলেন ছিলেন তিনি। বর্তমানে স্কাই টিভি এবং টেস্ট ম্যাচ স্পেশালের হয়ে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করছেন কোনি। তার মতে দলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনের সময় কোচকে না পাওয়াটা দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

    নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড তাকে এমন একটা সময়ে ছুটি কাটানোর অনুমতি কেন দিয়েছে, সে প্রশ্ন তুলে কিউই ক্রিকেট কর্তাদেরও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি, “এই ছুটি নেয়ার বিষয়টিকে আপনি কি বলবেন, কাজটা ঠিক হয়নি নাকি স্রেফ প্রতারণা? আমি যদি ডেভিড হোয়াইটের (নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী) জায়গায় থাকতাম, আমি কোচকে সরাসরি বলতাম যে, দুঃখিত গ্যারি, কিছুদিন পর তুমি ছুটি নাও। আর যদি তোমার একান্তই ছুটির প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা টি-টোয়েন্টির জন্য নতুন কোচ রাখার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করতে পারি।“

    তবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট কোচের ছুটি নেয়ার পক্ষেই সাফাই দিলেন, “আমি সমর্থকদের আবেগটা বুঝতে পারছি। কিন্তু প্রধান কোচ এবং কোচিং স্টাফের অন্যান্য সদস্যদের কাজের চাপের বিষয়টি নিয়েও আমাদের ভাবতে হয়। আগের কোচ মাইক হেসনকে আমরা হারিয়েছি, কারণ কাজের চাপের বিষয়টি ঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারিনি। তাই আমরা এই বিষয়টিতে একটি টেকসই সমাধানে পৌঁছুতে চাচ্ছিলাম। আর সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই প্রায় ছয় মাস আগে কোচের ছুটির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল।“

    টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাজেভাবে হারার পর সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে কিউইদের সামনে ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের প্রথম ধাপটা আজ সহজেই পেরুল নিউজিল্যান্ড। হ্যামিলটনে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ৩-ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল টম লাথামের দল।