• বিসিএল ২০২০
  • " />

     

    জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে শান্তর ডাবল সেঞ্চুরি

    জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে শান্তর ডাবল সেঞ্চুরি    

    ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন- বিসিবি সাউথ জোন
    ৩য় দিন, স্টাম্পস
    সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ২৩৫ অলআউট, ২য় ইনিংস ৩৮৫/৮ ডিক্লে. (শান্ত ২৫৩*, রকিবুল ৩৯, মুস্তাফিজ ৩*; নাসুম ৪/৮৫)
    সাউথ জোন ১ম ইনিংস ১১৪/৪ ডিক্লে., ২য় ইনিংস ১৫৯/৪ (এনামুল ৮৩, শামসুর ৪৪*; মিরাজ ২/৫৫)
    সাউথ জোনের জয়ের জন্য দরকার ৩৪৮ রান।


    প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাউথ জোনের বিপক্ষে বিসিএল তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সেন্ট্রালকে জয়ের পথে রাখার প্রধান কারিগর তিনি। তার ব্যাটে চড়েই সাউথকে ৫০৭ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে সেন্ট্রাল জোন। তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৫৯ রান করা সাউথ জোন জয় থেকে এখনও ৩৪৮ রান দূরে। 

    জাতীয় দলের হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে খেলেছেন শান্ত। খুব বড় কিছু না কর‍তে পারলেও সেই টেস্টে ২ ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ৮২ রান। ফিরে এসে এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮ রানে আউট হন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে দলের প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠলেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।

    আগের দিনের ১২২ রান নিয়ে যেখানে শেষ করেছিলেন, আজ সেখান থেকেই শুরু করলেন শান্ত। অপর প্রান্তে নতুন ব্যাটসম্যান জাবিদ হোসেনকে নিয়েই সচল রাখলেন রানের চাকা। দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে চার উইকেট হারানো সেন্ট্রাল তাই এদিন কক্ষপথেই থাকল। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৩৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সেন্ট্রাল, ২৫৩ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন শান্ত।


    সপ্তম উইকেটে জাবিদের সঙ্গে ৯১ রানের জুটি গড়েন শান্ত। মাহেদি হাসানের বল এক্সট্রা কাভার দিয়ে সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ১৫০ করেন তিনি। ডাবল সেঞ্চুরিতে ছুঁতে অবশ্য আর মাত্র ৬২ বল খরচ করেছেন তিনি। ২৯১ বলে তিনি যখন ২০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন, সেন্ট্রাল তখন শান্তর ব্যাটে চড়ে সাউথের সামনে পাহাড় গড়ে তুলেছে। 
     

    মাঝে ৩৬ রান করে জাবিদ এবং ৫ রানে আরাফাত সানি ফিরে গেলেও নবম উইকেটে মোস্তাফিজের সঙ্গে আরেকটি জুটি গড়ে তোলেন শান্ত। সেই জুটিতে আসে ৬৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে যখন ইনিংস ঘোষণা করে সেন্ট্রাল, সাউথের সামনে তখন বিশাল লক্ষ্য। ৩১০ বলে ২৫ চার ও ৯টি ছয়ে ২৫৩ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন শান্ত, ডাবল সেঞ্চুরির পর ৫৩ রান করেছেন মাত্র ১৯ বলে! 
     

    ৫০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সাউথ জোন। দলীয় ৫ রানের মাথায় মোস্তাফিজের খাটো লেংথের বলে এজ হয়ে স্লিপে ধরা পড়েন শাহরিয়ার নাফীস। তবে তিনে নামা ফজলে মাহমুদকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন এনামুল হক। ক্রিজে পুরোপুরি সেট হয়েও ব্যক্তিগত ২৫ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন রাব্বি। ৮৩ রান করে সেঞ্চুরির পথে থাকা এনামুল দিনের শেষ ভাগে সেন্ট্রাল অধিনায়ক শুভাগত হোমের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লং লেগে ক্যাচ হয়ে ফিরে যান। এনামুল ফিরে যাওয়ার পরের ওভারে রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান নতুন ক্রিজে আসা ইরফান শুক্কুর।

    দিন শেষ ৪৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন শামসুর রহমান, আর ১ রান করে ক্রিজে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন নাসুম আহমেদ।