• ভারতের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    কোহলিদের মাটিতে নামিয়ে আনলেন সাউদি-বোল্ট

    কোহলিদের মাটিতে নামিয়ে আনলেন সাউদি-বোল্ট    

    ভারত ১৬৫ ও ১৯১

    নিউজিল্যান্ড ৩৪৮ ও ৯/০

    ফলঃ নিউজিল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী


    টানা সাত টেস্ট জেতার গৌরব নিয়ে নিউজিল্যান্ডে এসেছিল ভারত। অন্যদিকে স্বাগতিকদের সামনে ছিল টানা তিন টেস্ট হারের ধাক্কা সামলে ওঠার চ্যালেঞ্জ। তাতে কেন উইলিয়ামসনের দল এতোটাই সফল, ওয়েলিংটন টেস্টের চতুর্থ দিন সকালেই শেষ হয়ে গেল ম্যাচ। ১০ উইকেটের সহজ জয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আরেকটু এগিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আর শততম টেস্ট জয়ে এর চেয়ে ভালো উদযাপনও আর হতে পারত না!

    ওয়েলিংটনের প্রথম দিন থেকেই ব্যাকফুটে চলে গেছে ভারত। শুরুটা হয়েছে বিরাট কোহলির টসে হার দিয়ে,  প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে হয়েছে ভারতকে। অন্য সব জায়গায় পরের দিকে ব্যাট করা সহজ হলেও নিউজিল্যান্ডে তার উল্টোটাই হয় বেশি, প্রথম দিনের ধাক্কাটাই আর সামলে উঠতে পারেনি ভারত। প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ১৬৫ রানেই, চারটি করে উইকেট নিয়ে সর্বনাশ করেছিলেন টিম সাউদি ও অভিষিক্ত কাইল জেমিসন।

    এরপর নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসটাই আসলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। কেন উইলিয়ামসন খেলেছেন ৮৯ রানের ক্যাপ্টেনস নক, কিছু সঙ্গ পেয়েছেন রস টেলর ও কলিন গ্র্যান্ডোমের। তারপরও ২২৫ রানে কিউইদের ৭ উইকেট তুলে নিয়ে ভারত একদম ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়নি। কিন্তু দুই টেল এন্ডার জেমিসন আর বোল্টের শেষ দিকের ক্যামিওতে ৩৪৮ রানে পৌঁছে যায় তারা। ১৮৩ রানের এই ব্যবধান আর ঘোঁচাতে পারেনি ভারত।

    তৃতীয় দিন শেষেও অবশ্য ম্যাচে থাকার একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল। ৪ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল, ক্রিজে ছিলেন আজিঙ্কা রাহানে আর হনুমা বিহারী।  পুরনো বলে শুরু থেকেই ক্লাসিকাল কৌশলে ফিরে যান বোল্ট আর সাউদি। বাউন্সারের বদলে সুইং করে ঘায়েল করার চেষ্টা করেন। রাহানেকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এলবিডব্লু করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন বোল্ট। বিহারীকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে বোল্ড করেছেন সাউদি। ১৪৮ রানে দুই স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ম্যাচটা আসলে ওখানেই হেরে গেছে ভারত।

    অশ্বিনও ভেতরের দিকে ঢোকা বল বুঝতে না পেরে এলবিডব্লু হয়ে গেছেন সাউদির বলে। এরপর ঋশভ পান্টকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছিলেন ইশান্ত শর্মা, কিন্তু ১২ রান করে কলিন ডি গ্র্যান্ডোমের বলে এলবিডব্লু শর্মা। পান্টের এরপর মরিয়া হয়ে একটু ঝুঁকি নিতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়্যারে ক্যাচ দিলেন বোল্টকে। আর বুমরাকে ফিরিয়ে সাউদি পেলেন পঞ্চম উইকেট, মোট নয় উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। ৯ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড, সেটি টপকাতে ল্যাথাম আর ব্লান্ডেলকে খেলতে হয়েছে ১০ বল।