• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগে: রোনালদোদের আটকাতে পারবে লিঁও?

    কিক অফের আগে: রোনালদোদের আটকাতে পারবে লিঁও?    

    কবে, কখন 

    অলিম্পিক লিওঁ - জুভেন্টাস 

    চ্যাম্পিয়নস লিগ, দ্বিতীয় রাউন্ড, প্রথম লেগ 

    ২৭ ফেব্রুয়ারি, রাত ২.০০

     

    গত আট মৌসুমে লিগে কেউ তাদের ছুঁতে পারেনি। ২০১১-১২ মৌসুম থেকে সিরি আ-র শিরোপা আর কাউকে জেতার সুযোগ দেয়নি তারা। তবে ইউরোপে এলেই কেন যেন ভড়কে যায় ইতালিয়ান ফুটবলে সবচেয়ে বেশি শিরোপার মালিক জুভেন্টাস। ইউরোপিয়ান কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ একবার করে জিতেছে জুভেন্টাস। ইউরোপে তাদের শেষ সাফল্য এসেছিল সেই ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে। গত মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে আয়াক্সের কাছে হেরে বাদ পড়েছিল বিয়ানকোনেরিরা। ইউরোপে ব্যর্থতার জেরেই অনেক ঘরোয়া সাফল্য পেয়েও চলে যেতে হয়েছে ম্যাসিমিলিয়ানো আলেগ্রিকে। মাউরিজিও সারির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে দলের দায়িত্ব।

    ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সারিকে তাই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার সঙ্গে তার চাকরি টিকে থাকার সম্পর্ক কতখানি। জবাবটা সরাসরিই দিয়েছেন তিনি, “আমি জানি না ক্লাবে আমার ভবিষ্যৎ কিসের ওপর নির্ভর করছে। তবে গতকাল প্রেসিডেন্টের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি ৩ বছরের একটি প্রজেক্টের কথা বলেছেন। আমি তাই তার কথাতেই আস্থা রাখতে চাই।”  

    চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার জন্য সেরা রসদ সারির কাছে রয়েছে। রেকর্ডের ফুলঝুরি ছুটিয়ে রোনালদো আছেন সেরা ফর্মে। টানা ১১ ম্যাচে গোল করে সিরি আ-তে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগের গান কানে পড়লেই আরও অদম্য হয়ে ওঠেন রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা তিনবার এই আসরের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন রোনালদো। ১২৮ গোল করে আসরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। তাই কাল লিওঁর বিপক্ষে ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেই চিরচেনা রোনালদোকেই চাইবে জুভেন্টাস। 

    তবে লিওঁ কোচ রুডি গার্সিয়া অবশ্য রোনালদোকে ঠেকানোর জন্যে কোনও বিশেষ পরিকল্পনা করেননি, “সে গ্রহের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তবে আমি তাকে নিয়ে আলাদাভাবে কোনও পরিকল্পনা করছি না। কারণ জুভেন্টাসের পুরো দলই শক্তিশালী। যদি রোনালদোকে নিয়ে পৃথক পরিকল্পনা করতে হয়, তাহলে দিবালা, হিগুয়েনদের জন্যও আলাদা প্ল্যান করতে হবে।”

    অতীত ইতিহাস, ফর্ম, শক্তিমত্তা; সব বিচারেই জুভেন্টাস লিঁওর চেয়ে এগিয়ে। ম্যাচে তাই জুভেন্টাসের সামনে কতটা বাধা হয়ে দাড়াতে পারে এই ফ্রেঞ্চ ক্লাব, সেটাই প্রশ্ন। তবে কোচ গার্সিয়া ম্যাচের আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী, “আমরা ম্যাচটি নিইয়ে আশাবাদী। যদিও এই মৌসুমটি আমাদের খুব একটা ভালো যাচ্ছে না, তবুও এই ম্যাচে আমরা একটি দল হয়েই খেলব।” 


    দলের খবর

    দীর্ঘ চোটের পর দলে ফেরা কিয়েলিনিকে ম্যাচের শুরু থেকে দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। চোটের কারণে ফর্মে ভাঁটা পড়ায় মিরালেম পিয়ানিচের বদলে উরুগুইয়ান বেনতানকুরকে প্রথম একাদশে রাখতে পারেন সারি। লিওঁ কোচ গার্সিয়াকে অবশ্য চোট সমস্যা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। ঘরের মাঠে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ঠেকাতে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে তৈরি লিওঁ।

    সম্ভাব্য একাদশ

    লিওঁ

    লোপেস, তেতেঁ, অ্যান্ডারসেন, ডেনায়ের, মার্সাল, টুসার্ট, মেন্ডেস, ট্রায়োরে, আওয়ার, টেরিয়ার, ডেম্বেলে

    জুভেন্টাস 

    শেজনি, দানিলো, বনুচ্চি, কিয়েলিনি, সান্ড্রো, রামসে, বেনতানকুর, মাতুইদি, কুয়াদ্রাদো, দিবালা, রোনালদো

    হেড টু হেড 

    চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ইউরোপা লিগে দুই বার করে মোট চারবার মুখোমুখি হয়েছে লিওঁ এবং জুভেন্টাস। চার ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি এই ফরাসি ক্লাব। ঘরের মাঠে দুবার খেলে দুবারই হারের স্বাদ পেয়েছে তারা। তবে চার ম্যাচের একটিতে ১-১ গোলে ড্র করে জুভের বিপক্ষে শতভাগ হারের রেকর্ড এড়িয়েছে লিওঁ।

    প্রেডিকশন 

    লিওঁ ০-৩ জুভেন্টাস