সন্তানের অপেক্ষায় অশ্রুসিক্ত মারে
আবারো পরাজয়। প্রতিপক্ষ চিরচেনা। নোভাক জোকোভিচের কাছে এই নিয়ে চারবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে হারলেন অ্যান্ডি মারে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে ৬-১,৭-৫,৭-৩ (৩) সেটে হেরে অশ্রুসিক্ত চোখেই স্ত্রীকে কথা দিলেন, পরের ফ্লাইটেই বাড়ি আসছেন তিনি। কারণ শীঘ্রই বাবা হতে চলেছেন এই স্কটিশ খেলোয়াড়।
গত দু’টি সপ্তাহ মারের জন্যে বিভীষিকার মতই কেটেছে। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কিমকে লন্ডনে রেখেই অস্ট্রেলিয়া এসেছিলেন টেনিসের টানে। তবে ক’দিন আগে শ্বশুরের অসুস্থতার কথা জানার পর আরো ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি। মারের শ্বশুর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এসেছিলেন আনা ইভানোভিচের কোচ হিসেবে। তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নাইজেল সিয়ার্স কোর্টের পাশেই ছিলেন । সেখানেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর দেশে পাঠানো হয়েছে।
এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পাঁচটি ফাইনালে হেরেছেন অ্যান্ডি মারে। আর তাই রূপার ট্রফিটি হাতে নিয়ে অকপটেই পরাজয়টা মেনে নিলেন তিনি, “মনে হচ্ছে আমি এখানে আগেও এসেছি। কোর্টের বাইরে গত দু’টি সপ্তাহ ছিল অনেক কঠিন।” এই দুঃসময়ে সবসময় নিজের ছায়া হয়ে থাকা মানুষটিকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেন নি মারে, “আমার স্ত্রী কিম, আমি নিশ্চিত সে এখন বাড়িতে বসে আমাকে দেখছে। গত দুই সপ্তাহ সে আমাকে সাহস দিয়ে গেছে। ...ধন্যবাদ তোমাকে পাশে থাকার জন্য। আর আমি পরের ফ্লাইটেই বাড়ি আসছি।”
মারে-কে হারিয়ে জোকোভিচ ভাগ বসিয়েছেন রয় এমারসনের রেকর্ডে। দু’জনই ছয়বার করে জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের টাইটেল। অন্যদিকে আরো একবার জোকোভিচের কাছে হেরে একই গ্রান্ডস্ল্যামের পাঁচটি ফাইনালে হারার রেকর্ড গড়েছেন অ্যান্ডি মারে। এই রেকর্ডের আরেকজন হলেন মারের সাবেক কোচ ইভান লেন্ডল। তবে এই চেক খেলোয়াড় তাঁর ব্যর্থতার গ্লানি দূর করেছেন ইউএস ওপেনের তিনটি শিরোপা জয় করে।