• এফ এ কাপ
  • " />

     

    এবার এফএ কাপ থেকে লিভারপুলকে বিদায় করে দিল চেলসি

    এবার এফএ কাপ থেকে লিভারপুলকে বিদায় করে দিল চেলসি    

    লিভারপুলের দুঃস্বপ্ন চলছেই। শেষ ম্যাচে ওয়াটফোর্ডের কাছে হেরে প্রিমিয়ার লিগে অপরাজিত থাকার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে। তার আগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে হারে চ্যাম্পিয়নস লিগের সমীকরণও ভজকট পাকিয়ে গেছে একরকম। এবার চেলসির কাছে ২-০ গোলে হেরে এফএ কাপ মিশনেরও ইতি ঘটল। উইলিয়ান এবং রস বার্কলির গোলে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে অলরেডদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে চেলসি।

    এই ম্যাচের আগে শেষ তিন ম্যাচের দুটিতে হেরেছিল লিভারপুল, অপর ম্যাচটি জিততে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। তবুও চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে ক্লপ তারুণ্য ও স্কোয়াডে অনিয়মিত খেলোয়াড়দের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন। তবে ফল পক্ষে আসল না। 

    নিয়মিত গোলরক্ষক অ্যালিসনের বদলি হিসেবে চেলসির বিপক্ষে আদ্রিয়ানকে খেলিয়েছেন ক্লপ। সেই গোলরক্ষকের ভুলেই ম্যাচের ১৩ মিনিটে লিড পেয়ে যায় চেলসি। গোলরক্ষকের গা বরাবর করা উইলিয়ানের শটে বলের গতি বুঝতে অক্ষম আদ্রিয়ান হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে উল্টো তা জালে পাঠিয়ে দেন। সেই যে শুরু, তারপর ম্যাচে আর পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পায়নি লিভারপুল। একের পর এক আক্রমণে এরপর ক্লপের দলকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে স্বাগতিকরা। 

    যদিও প্রথমার্ধের ২২ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। তবে ৪ সেকেন্ডের ব্যবধানে ৩ টি সেভ করে সে যাত্রায় চেলসিকে স্বস্তি দেন কেপা আরিজাবালাগা। প্রথমে একেবারে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে সাদিও মানের শট ফিরিয়ে দেন তিনি, এরপর ডিভক অরিগি এবং ক্রিস জোনসের শটও দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন এই গোলরক্ষক। 

    এরপর ম্যাচের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে থাকে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে চেলসি। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে বেশ খানিকটা দৌড়ে প্রায় ২০ মিটার দূর থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন বার্কলি। তার একক প্রচেষ্টায় করা এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয় চেলসির। এরপর ওয়ান-অন-ওয়ান পজিশন থেকে পেদ্রো মিস না করলে এবং অলিভিয়ের জিরুর শট বার পোস্টে না লাগলে আরও বড় ব্যবধানে হারতে হত ফন ডাইকদের। আর ২০১৬ সালের পর এই প্রথম টানা ৩ ম্যাচে দুই বা তার বেশি গোল হজম করল লিভারপুল।