• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ২০১৯-২০
  • " />

     

    অলরাউন্ডার নাহিদুলে মাহেদি আর গাজী গ্রুপকে টপকে গেল প্রাইম ব্যাঙ্ক

    অলরাউন্ডার নাহিদুলে মাহেদি আর গাজী গ্রুপকে টপকে গেল প্রাইম ব্যাঙ্ক    

    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন


    ১৫৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা প্রাইম ব্যাংককে প্রথমে উদ্ধার করলেন নাঈম হাসানের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটিতে। এরপর এক ওভারে তার ২ উইকেটের আঘাতেই অনেকখানি পিছিয়ে গেল গাজী গ্রুপ। আকবর আলির পর মাহেদি হাসান শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন, তবে গাজীকে পার করাতে পারেননি তারা। নাহিদ আর প্রাইম ব্যাঙ্কের কাছে হেরেই লিগ শুরু হয়েছে তাদের। 

    মিরপুরে টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া গাজীকে দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য এনে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ, টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিড-অনে ক্যাচ দিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। তামিম ইকবাল টিকে ছিলেন কিছুক্ষণ, তবে স্ট্রাইক রেটটা বাড়াতে পারেননি আর- নাসুম আহমেদকে স্লগ করতে গিয়ে লিডিং-এজ হয়ে ধরা পড়েছেন শর্ট থার্ডম্যানে। পরের ওভারে নাসুম আঘাত করেছেন এবার, ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন রকিবুল। 

    মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে এরপর ৪৫ রানের জুটি গড়েছেন শুরুতে দারুণ টাইমিং করা রনি তালুকদার, ব্রেকথ্রু দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। বড় সুইপেরে চেষ্টা মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন মিঠুন, ৩৯  বলে ২৭ রান করে। রনি টিকেছেন আরও কিছুক্ষণ, মাহমুদউল্লাহ আঘাত করেছেন আবার। জোরের ওপর করা ডেলিভারিটা সোজা খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন রনি, ১০৩ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৭৯ রান করার পর। এরপর অলক কাপালিকেও ফিরিয়ে মাহমুদউল্লাহ দারুণ চাপে ফেলে দিয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংককে, ১৫৫ রানে তারা হারিয়েছিল ৬ উইকেট। 

    নাহিদুল ইসলাম ও নাঈম হাসান ঘুরে দাঁড়ালেন এরপরই। ৭ম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৬৫ বলে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৯৬ রান। তিনটি করে চার-ছয়ে  নাহিদ করেছেন ৪৩ বলে ৫৩ রান, ৬ চারে ৩৬ বলে ৪৬ রান নাঈমের। 

    প্রাইম ব্যাঙ্কের মতো ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে প্রথম উইকেট হারিয়েছে গাজী গ্রুপও। নাঈমের জোরের ওপর করা ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়েছেন জাকির আলি। সৌম্যর সঙ্গে মুমিনুল সে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিছুক্ষণ, ৪৯ রানের জুটিতে। শরিফুলের অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে ডিপে ধরা পড়েছেন মুমিনুল, ৪২ বলে ২৮ রান করার পর। 

    মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সৌম্যর জুটিতে উঠলো ৫১ রান, প্রাইম ব্যাংক এগুচ্ছিল শক্ত অবস্থানে। দারুণ টামিংয়ে আলগা বল পেলেই সুবিধা আদায় করছিলেন সৌম্য, মাহমুদউল্লাহ এ জুটিতে ছিলেন সমর্থকের ভূমিকাতেই। বিপত্তি ঘটলো নাহিদের এক ওভারেই। নীচু হওয়া বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হলেন সৌম্য, এক বল পর যেন কিছু বুঝে উঠার আগেই বোল্ড হলেন ইয়াসির রাব্বিও। তীক্ষ্ণ টার্ন নিয়েছিল বলটা, তবে ব্যাট-প্যাডের মাঝে ফাঁক ছিল রাব্বির। 

    অ-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর এরপর যোগ দিলেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে, অলক কাপালিকে চার মেরে শুরু করলেন। তবে এ দুজনের জুটি অবশ্য যোগ করতে পারলো ২৩ রান। কাপালির বলেই এক্সট্রা কাভারে ক্যাচে পরিণত হলেন মাহমুদউল্লাহ, তবে তামিম সেটি ঠিকঠাক নিতে পারেননি বলে দাবি করছিলেন তিনি। আম্পায়ার অবশ্য গাজীর অধিনায়ককে দিয়েছেন আউটই, ৬০ বলে ৩২ রানের ইনিংসটাও তার হয়েছে হতাশায়। 

    আকবর-মাহেদির জুটি শেষ আশা জোগাচ্ছিল গাজিকে, আকবর ইনিংস গড়ছিলেন দারুণভাবে। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছয় মারলেন, তবে মাহেদির সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে মিডউইকেট থেকে রাব্বির দারুণ ডিরেক্ট থ্রোয়ে হলেন রান-আউট। এর আগে করেছেন ২৮ বলে ৩১ রান। 

    শেষ ৩০ বলে ১ উইকেট নিয়ে গাজীর প্রয়োজন ছিল ৫১ রান, মাহেদি চেষ্টা করলেন। তবে তার ৪৮ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংসটা যথেষ্ট হলো না শেষ পর্যন্ত।